প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় | প্রতিদিন ১০০ টাকা ইনকাম
প্রতিদিন ১০০ টাকা আয়ের উপায় খুঁজছেন? অনেকেই চায় দিনে অন্তত ১০০ টাকা আয় করতে, বিশেষ করে শিক্ষার্থী, গৃহিণী, বেকার তরুণ তরুণী ও অনলাইনের নতুন ব্যবহারকারীরা।ভালো খবর হচ্ছে আজকের দিনে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে সহজেই ঘরে বসে প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় | প্রতিদিন ১০০ টাকা ইনকাম
নিচে প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. পেইড সার্ভে (Paid Surveys)
অনেক আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারীদের মতামত সংগ্রহের জন্য পেইড সার্ভে অফার করে। প্রতি সার্ভে শেষ করলে আপনি ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন। বিশ্বস্ত কিছু সার্ভে সাইট:
- Toluna
- Swagbucks
- Freecash
- AttaPoll
এই সাইটগুলোতে প্রতিদিন ৩–৫টি সার্ভে অংশ নিলে সহজেই ১০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
২. মাইক্রো টাস্ক (Micro Tasks)
ছোট ছোট অনলাইন কাজ যেমন: ভিডিও দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড করা, ক্যাপচা পূরণ, ওয়েবসাইট টেস্ট ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করতে পারেন। এই ধরণের কাজ পাওয়া যায়:
- TimeBucks
- Remotasks
- Clickworker
এসব প্ল্যাটফর্মে কাজ করে প্রতিদিন ১০০ টাকা বা তার বেশি আয় করা যায় নিয়মিতভাবে।
৩. কন্টেন্ট শেয়ারিং ও রেফার ইনকাম
অনেক অ্যাপ যেমন Toffee, Likee, SnackVideo ব্যবহারকারীদের ভিডিও শেয়ার ও রেফার করার মাধ্যমে টাকা দেয়।
একজন নতুন ব্যবহারকারী রেফার করলে আপনি ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। দিনে ২–৩ জন রেফার করলেই ১০০ টাকা আয় সম্ভব।
৪. মোবাইল অ্যাপ দিয়ে ইনকাম
বাংলাদেশে জনপ্রিয় কিছু ইনকাম অ্যাপ আছে যেগুলোতে রেফার, ভিডিও দেখা ও ইন-অ্যাপ কাজ করে আয় করা যায়। যেমন:
- BdTask App
- CashTree
এই অ্যাপগুলো নিয়মিত ব্যবহার করলে দিনে ১০০ টাকা ইনকাম সম্ভব।
৫. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
আপনার ফেসবুক, টিকটক বা ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার থাকলে আপনি স্পন্সর পোস্ট করে বা কোনো পণ্যের প্রচার করে ইনকাম করতে পারেন। ছোট ব্যবসার জন্য প্রোমোশন করলেও তারা ১০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করে থাকে।
৬. ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ মডারেশন করে আয়
অনেক বড় ফেসবুক পেজ, অনলাইন দোকান বা কমিউনিটি গ্রুপ মডারেটর নিয়োগ দেয়। আপনার যদি টাইম ম্যানেজমেন্ট ও কমিউনিকেশন স্কিল থাকে,
তাহলে আপনি দিনে ২–৩ ঘণ্টা কাজ করে ১০০ টাকা বা তার বেশি আয় করতে পারেন। অনেকেই আপনাকে প্রতি মাসে ফিক্সড পেমেন্ট দেয় অথবা দৈনিক কাজ অনুযায়ী পে করে।
৭. ডিজিটাল মার্কেটিং এর ছোট কাজ
আপনি যদি SEO, Facebook Boosting বা YouTube Promotion বিষয়ে একটু ধারণা রাখেন, তাহলে Fiverr, Workana, বা Freelance.bd এর মতো ফ্রিল্যান্স সাইটে কাজ করতে পারেন।
ছোট ক্লায়েন্টের কাজ ধরেও দিনে ১০০ টাকা আয় করা সম্ভব। যারা একদম নতুন, তারা ফেসবুকের ফ্রিল্যান্স গ্রুপে গিগ দিয়ে শুরু করতে পারেন।
৮. ইউটিউব শর্টস বা ভিডিও বানিয়ে ইনকাম
আপনার মোবাইলে যদি ভালো ভিডিও রেকর্ড হয়, তাহলে ইউটিউব শর্টস বানাতে পারেন। আপনি যদি নিয়মিত কন্টেন্ট দেন এবং মনোযোগ দেন,
তাহলে ইউটিউব থেকে AdSense ইনকাম ও রেফার ইনকাম মিলিয়ে প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় করা সহজ। অনেক সময় লোকাল স্পনসরও পাওয়া যায়।
৯. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
Daraz, Rokomari, BDShop, Amazon এমন অনেক প্ল্যাটফর্ম অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে। আপনি যদি লিংক শেয়ার করে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, তাহলে কমিশন পেতে পারেন প্রতি সেল থেকে।
দিনে মাত্র ২–৩টি সেল হলেই ১০০ টাকা ইনকাম সম্ভব। ফেসবুক পেজ, হোয়াটসঅ্যাপ, বা ব্লগ ব্যবহার করে শুরু করতে পারেন।
১০. টাইপিং ও ডাটা এন্ট্রি কাজ
অনলাইন অনেক ক্লায়েন্ট টাইপিং, এক্সেল ডাটা এন্ট্রি, বা PDF to Word কনভারশন কাজ দিয়ে থাকেন। Fiverr, Freelancer, PeoplePerHour ছাড়াও বাংলাদেশে
SoftBd এবং Fiverr Group BD ফেসবুক গ্রুপে নিয়মিত কাজ পাওয়া যায়। দিনে ১–২ ঘণ্টা টাইপিং করলেই ১০০ টাকা আয়ের সুযোগ থাকে।
১১. রেফার অ্যাপ ব্যবহার করে ইনকাম
বর্তমানে অনেক অ্যাপ রেফার বোনাস দিয়ে থাকে। যেমনঃ আপনি কাউকে অ্যাপ ডাউনলোড ও সাইনআপ করালে আপনি পেয়ে যান ২০–৫০ টাকা করে।
যদি দিনে মাত্র ২–৩ জনকেও রেফার করেন, তাহলে দিনে ১০০ টাকার বেশি ইনকাম সম্ভব। জনপ্রিয় কিছু রেফার ইনকাম অ্যাপ:
- Bikroy App
- Toffee Live TV
- Shareit Lite
- BdCash App
রেফার কোড আপনার ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটকে শেয়ার করলে রেসপন্স আসবে দ্রুত।
১২. ই-লার্নিং সাইটে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আয়
আপনি যদি পড়াশোনায় ভালো হন, তাহলে প্রশ্নের উত্তর লিখে আয় করতে পারেন। কিছু বিশ্বস্ত সাইট:
- StudyPool
- Chegg
- Course Hero
এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন করে এবং আপনি উত্তর দিয়ে পার-অ্যন্সার ৫০–২০০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। দিনে ১–২টি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেই ১০০ টাকার আয় সম্ভব।
১৩. ফটো তোলা ও বিক্রি
আপনার মোবাইল ক্যামেরা ভালো হলে, আপনি নিজের তোলা ছবি Shutterstock, iStock, Adobe Stock এ আপলোড করে বিক্রি করতে পারেন।
প্রতিটি ছবির ডাউনলোডে আপনি পেতে পারেন ১০–২০ টাকা পর্যন্ত। দিনে ৫টি ফটো ডাউনলোড হলেই ১০০ টাকা ইনকাম। বাংলাদেশি সংস্কৃতি, প্রকৃতি বা খাবার বিষয়ক ছবি আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি জনপ্রিয়।
১৪. স্ক্রিনশট বা স্ক্রিন রেকর্ডিং রিভিউ
অনেক নতুন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট তাদের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের স্ক্রিনশট বা স্ক্রিন রেকর্ডিং রিভিউ চায়। আপনি এসব অ্যাপ ১–২ মিনিট ব্যবহার করে রিভিউ দিলে তারা ২০–৩০ টাকা পেমেন্ট করে।
দিনে ৩–৪টি রিভিউ দিলেই ১০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এসব কাজ Fiverr, Upwork বা ReviewX এর মতো প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়।
১৫. অনলাইন ট্রান্সক্রিপশন কাজ
যারা ইংরেজিতে ভালো, তারা অডিও শুনে টেক্সট লেখার কাজ (Transcription) করতে পারেন। দিনে ২০–৩০ মিনিটের অডিও টাইপ করে ৫–১০ ডলার আয় করা যায়। জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম:
- Rev.com
- GoTranscript
- Scribie
আপনি যদি প্রতিদিন ৩০ মিনিট সময় দেন, তাহলে ১০০–২০০ টাকা আয় করতে পারবেন।
১৬. WhatsApp মার্কেটিং করে আয়
আপনার WhatsApp বা Messenger কন্টাক্ট ব্যবহার করে আপনি বিভিন্ন পণ্যের প্রচার করতে পারেন। ছোট অনলাইন ব্যবসায়ীরা বা ড্রপশিপিং মার্কেটাররা অনেক সময় লোক খোঁজে যারা প্রোডাক্টের লিংক বা ছবি শেয়ার করবে।
এর বিনিময়ে ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত পার ডেলিভারি লিড দিয়ে থাকে। দিনে মাত্র ২টা লিড জোগাড় করলেই ১০০ টাকা আয়।
১৭. অনলাইন কোর্স রিভিউ লেখা
অনেক লার্নিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Coursera, Udemy, 10 Minute School, বা SkillShare নতুন ইউজারদের রিভিউ চায়। আপনি যদি নির্দিষ্ট কোর্সে এনরোল করে রিভিউ দেন,
অনেক সময় সেই রিভিউয়ের জন্য ৫০–১৫০ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। আপনি Upwork বা Freelancer সাইটেও এই ধরণের রিভিউ প্রজেক্ট পেতে পারেন।
১৮. ব্লগ বা মাইক্রোব্লগ লিখে আয়
আপনি যদি লিখতে পারেন, তাহলে মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম যেমন Telegra.ph, Medium, বা Quora Space এ লিখে আয় করতে পারেন।
অনেক সময় ক্লায়েন্টরা স্পন্সর পোস্ট লেখার জন্য আপনাকে দিয়ে ১০০–২০০ টাকা পরিশ্রমিক দিতে পারে। SEO-সম্মত লেখালেখির অভ্যাস গড়ে তুললে দিনে একাধিক ব্লগ লেখার মাধ্যমে আয়ের পথ খুলে যাবে।
১৯. অডিওবুক বা ভয়েসওভার কাজ
আপনার কণ্ঠস্বর যদি পরিষ্কার ও শুদ্ধ উচ্চারণে হয়, তাহলে আপনি ভয়েস রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে অডিওবুক তৈরির কাজ করতে পারেন। অনেক স্টার্টআপ বাংলা ভাষার অডিওবুক তৈরিতে ভয়েস আর্টিস্ট খোঁজে।
আপনি Fiverr বা Facebook Freelancer গ্রুপে ছোট প্রজেক্ট ধরতে পারেন যেখানে ১ মিনিট ভয়েস রেকর্ডিংয়ের জন্য ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট হয়।
২০. ফেসবুক লাইভ সেলস/প্রমোশন
আপনার যদি আত্মবিশ্বাসী ও উপস্থাপন দক্ষতা থাকে, তাহলে ফেসবুক লাইভে পণ্যের প্রচার করে আয় করতে পারেন।
অনেক অনলাইন দোকান লাইভে পণ্য উপস্থাপনার জন্য পার-লাইভ ১০০–৩০০ টাকা পর্যন্ত দেয়। দিনে ১টা লাইভ করলেই ইনকাম হয়ে যায়। কিছু লাইভ সেলস জব Fiverr বা Freelance marketplace এও পাওয়া যায়।
২১. Telegram চ্যানেল তৈরি করে ইনকাম
আপনি যদি Telegram ব্যবহার করেন, তাহলে একটি নির্দিষ্ট বিষয় ভিত্তিক চ্যানেল খুলে সদস্য বাড়িয়ে ইনকাম করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ: ফ্রি কোর্স, পিডিএফ বই, অফার নিউজ, ডেইলি ইনকাম অ্যাপ রিভিউ ইত্যাদি।
যখন চ্যানেলে সদস্য বাড়ে, তখন স্পনসর কোম্পানি বা অ্যাপ থেকে রিভিউ পোস্ট বা অ্যাড দিয়ে আপনি প্রতিদিন ১০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। বোনাস টিপস: ডিজিটাল পণ্যের অ্যাফিলিয়েট লিংক শেয়ার করেও ইনকাম বাড়ানো যায়।
২২. বিকাশ/নগদ পেমেন্ট রিসিভ করে কমিশন আয়
আপনি চাইলে স্থানীয়ভাবে অনেকে যাদের বিকাশ/নগদ অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের পক্ষে টাকা রিসিভ করে প্রান্তিক পর্যায়ে ক্যাশআউট বা পেমেন্টে সাহায্য করতে পারেন।
এর জন্য প্রতি ট্রান্সাকশনে ১০–২০ টাকা পর্যন্ত কমিশন নেওয়া যায়। দিনে ৫টি ট্রান্সাকশন করলেই ১০০ টাকা ইনকাম সম্ভব। উল্লেখ্য: এটি স্থানীয়ভাবে ট্রাস্টেড ক্লায়েন্টদের জন্য প্রযোজ্য। সাবধানতা অবলম্বন আবশ্যক।
২৩. মোবাইল গেম রেফার ও ইন-গেম পেমেন্ট
অনেক মোবাইল গেম যেমন: WinZO, MPL, Ludo Empire, Qureka ইত্যাদি নতুন ব্যবহারকারী রেফার করার জন্য ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত দেয়। এছাড়া আপনি যদি গেম ভালো খেলেন,
তাহলে ইন-অ্যাপ রিওয়ার্ড জিতে সেই পয়েন্ট ক্যাশ করে দিনে ১০০ টাকা পর্যন্ত তুলতে পারেন। টিপস: প্রতি সপ্তাহে কিছু সময় গেম খেলে ও রেফার করে আপনি সহজেই মাসে ৩০০০+ টাকা ইনকাম করতে পারেন।
২৪. Caption Writing বা Status লেখা
আপনার যদি শব্দ চয়নে দক্ষতা থাকে, তাহলে Facebook পেজ, Instagram অ্যাকাউন্ট কিংবা Meme পেজের জন্য ক্যাপশন বা স্ট্যাটাস লেখার কাজ করতে পারেন। অনেক পেজ প্রতিটি ক্যাপশনের জন্য ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করে।
দিনে ৩টি ক্যাপশন লিখলে ১০০ টাকার বেশি ইনকাম নিশ্চিত। এই কাজগুলো Facebook এর “Freelance Content Writer BD” জাতীয় গ্রুপে খুঁজে পাওয়া যায়।
২৫. Google Opinion Rewards ব্যবহার করে আয়
Google Opinion Rewards হলো একটি বৈধ ও বিশ্বস্ত অ্যাপ, যেখানে আপনি ছোট ছোট জরিপে অংশ নিয়ে Google Play Credit পেতে পারেন। যদিও এটি সরাসরি নগদ টাকা দেয় না, তবে আপনি এটি দিয়ে অ্যাপ কিনতে পারেন
বা অন্য পদ্ধতিতে পেমেন্টে রূপান্তর করতে পারেন (যেমনঃ Payeer/Task Exchange মাধ্যমে)। সঠিকভাবে ব্যবহার করলে প্রতিদিন ১০–৩০ টাকা এবং সাপ্তাহিক ১০০–২০০ টাকা ইনকাম হয়।
২৬. অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা
বর্তমানে অনেক অ্যাপ ও ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইনকাম করা যায়। যেমন:
- Qureka
- BrainBaazi
- Loco Live Trivia
এই অ্যাপগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশ্ন আসে (জেনারেল নলেজ, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, খেলাধুলা ইত্যাদি)। আপনি যদি ৩–৪টি কুইজে অংশগ্রহণ করেন এবং ভালো স্কোর করেন, তাহলে ১০০ টাকা আয় একদম সহজ ব্যাপার।
২৭. মোবাইল অ্যাপ টেস্টিং
অনেক ডেভেলপার নতুন অ্যাপ রিলিজ করার আগে ব্যবহারকারীদের ফিডব্যাক নিতে চান। আপনি একটি অ্যাপ ব্যবহার করে তার সম্পর্কে মন্তব্য বা বাগ রিপোর্ট দিলে তারা আপনাকে ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট করে। এই ধরণের কাজ পাওয়া যায়:
- UserTesting
- TestBirds
- BetaFamily
বাংলাদেশি ডেভেলপাররাও Facebook গ্রুপে মাঝে মাঝে লোক নেয় অ্যাপ টেস্টিংয়ের জন্য।
২৮. স্কিনশট টাস্ক বা রিভিউ পোস্ট
বিভিন্ন নতুন অ্যাপ বা ওয়েবসাইট চায় আপনি তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে কিছু স্ক্রিনশট নেন এবং Facebook, Instagram, Play Store বা WhatsApp এ পোস্ট করেন।
এর বিনিময়ে তারা প্রতি পোস্ট বা স্ক্রিনশটের জন্য ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে। দিনে ২–৩টি পোস্ট করলেই ১০০ টাকা আয় সম্ভব।
২৯. ব্যাকলিংক তৈরি করে আয় (SEO Task)
যারা SEO সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা রাখেন, তারা ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য ব্যাকলিংক তৈরি করার কাজ পেতে পারেন।
এই কাজগুলো সাধারণত Fiverr, Freelancer বা Facebook এর Digital Marketing গ্রুপগুলোতে পাওয়া যায়। একেকটি ব্যাকলিংকের জন্য ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট হয়। দিনে ১–২টি ব্যাকলিংক করলেই আয় হয়ে যায়।
৩০. রিমোট কল সেন্টার বা কাস্টমার সার্ভিস
আজকাল অনেক দেশি-বিদেশি কোম্পানি রিমোট কাস্টমার সার্ভিস বা টেলিমার্কেটিংয়ের জন্য পার্ট-টাইম কর্মী খোঁজে।
আপনি যদি সুন্দরভাবে কথা বলতে পারেন এবং কম্পিউটার বা মোবাইলে দক্ষ হন, তাহলে রিমোট কল সেন্টার জব করে প্রতিদিন ১০০–৫০০ টাকা আয় করতে পারেন। এই কাজগুলো পাওয়া যায়:
- BdJobs
- RemoteTask
- Facebook কল সেন্টার জব গ্রুপ
৩১. মোবাইল স্ক্রিন লক অ্যাপ দিয়ে আয়
কিছু স্মার্টফোন অ্যাপ আপনার মোবাইলের লক স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন দেখায় এবং প্রতিবার আনলক করার সময় পয়েন্ট দেয়। এই পয়েন্ট জমিয়ে আপনি টাকা তুলতে পারেন। যেমনঃ
- Slidejoy
- S’more Lock Screen
- CashMagnet
প্রতিদিন নিয়মিত ফোন ব্যবহার করলে ১০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। কিছু অ্যাপ বিকাশ/পেওনিয়ার/পেপাল পেমেন্ট সাপোর্ট করে।
৩২. Social Media Manager হিসেবে কাজ
অনেক ছোট ব্যবসা, অনলাইন পেজ বা ইউটিউবার খোঁজে একজন Social Media Manager, যিনি পোস্ট করবে, কমেন্ট রিপ্লাই দেবে, মেসেজ চেক করবে। এই কাজ করতে বিশেষ স্কিল না থাকলেও ধৈর্য ও টাইম ম্যানেজমেন্ট দরকার।
প্রতি দিন ১–২ ঘণ্টা কাজ করে ১০০–৩০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। Fiverr, Freelancer এবং Facebook এর “Social Media Jobs BD” গ্রুপে নিয়মিত পোস্ট পাওয়া যায়।
৩৩. ভিজিট করে আয় (Paid To Visit Websites)
কিছু PTC বা ভিজিট ভিত্তিক সাইট রয়েছে, যেখানে শুধু ওয়েবসাইটে ঢুকে নির্দিষ্ট সময় থাকা বা ভিডিও দেখা বাবদ টাকা দেয়। যেমনঃ
- Ojooo
- Scarlet Clicks
- Neobux
প্রতিদিন কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক লিঙ্ক ভিজিট করলেই ৫০–১০০ টাকা আয় হয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে সব সাইট বিশ্বাসযোগ্য নয়, তাই পরিচিত ও পুরনো PTC সাইট বেছে নিতে হবে।
৩৪. ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম পেজে পণ্য বিক্রি করে কমিশন
আপনার যদি ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে ভালো ফলোয়ার থাকে, তাহলে আপনি কোন কোম্পানির বা ই-কমার্স শপের প্রোডাক্ট শেয়ার করে প্রতি বিক্রিতে কমিশন পেতে পারেন।
ধরুন, আপনি ৫০০ টাকার একটি প্রোডাক্ট শেয়ার করলেন, আর প্রতি সেলে ১০% কমিশন – মানে ৫০ টাকা। দিনে ২টি অর্ডারেই ১০০ টাকা আয় সম্ভব। এই পদ্ধতি অনেকটা লোকাল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মতো।
৩৫. টেমপ্লেট বা ডিজাইন বিক্রি
যারা Canva, Adobe Photoshop বা PowerPoint ব্যবহার করতে পারেন, তারা বিভিন্ন ডিজাইন (CV, YouTube Thumbnail, Facebook Post, Business Card, Presentation Slide) তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এই ডিজাইন বিক্রি করা যায়:
- Etsy
- Creative Market
- Fiverr
একটি ডিজাইন ৫০–৩০০ টাকায় বিক্রি হয়। দিনে মাত্র ১টি বিক্রি করলেই ১০০ টাকা ইনকাম সম্ভব। শুরুতে কিছু ফ্রি টেমপ্লেট বানিয়ে প্রচার করুন।
৩৬. গুগল ম্যাপ রিভিউ দিয়ে আয়
আপনি হয়তো জানেন না, Google Maps এ লোকাল গাইড হিসেবে যোগ দিয়ে রেস্টুরেন্ট, দোকান, প্রতিষ্ঠান বা জায়গার রিভিউ লিখে Google থেকে রিওয়ার্ড পাওয়া যায়।
যদিও সরাসরি টাকা না, তবে কিছু ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে Google Local Guide লেভেল বাড়ানোর জন্য কাজ পাওয়া যায়।
একজন ১০০+ রিভিউ দিতে সক্ষম লোক দৈনিক ১০০–২০০ টাকা আয় করতে পারে। সাথে Google Local Guide লেভেল ৬ বা তার উপরে গেলে অনেক অফার বা সুযোগ মেলে।
৩৭. WhatsApp Broadcast List ব্যবহার করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনার যদি WhatsApp কন্টাক্টে ৫০+ পরিচিত মানুষ থাকে, তাহলে আপনি অ্যাফিলিয়েট লিংক পাঠিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
প্রতিদিন বিভিন্ন অফার (Daraz, Rokomari, Amazon, BDShop) এর লিংক দিয়ে ২–৩ জন ক্লিক করলেই কমিশন চলে আসে। অল্প খাটনিতে দিনে ১০০ টাকা আয় সম্ভব বিশেষ করে সেল সিজনে।
৩৮. পিডিএফ বই বা কনটেন্ট বানিয়ে বিক্রি
আপনি যদি কোন বিষয়ে জানেন, যেমন: গণিত শর্টকাট, ইংরেজি শেখা, ফ্রি ল্যান্সিং গাইড ইত্যাদি, তাহলে সেটি PDF আকারে তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। এটা বিক্রি করতে পারেন:
- Facebook Page/Group
- Telegram Channel
- Sellfy / Gumroad প্ল্যাটফর্মে
প্রতি বিক্রিতে আপনি ৫০–২০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। দিনে ১টা বিক্রিই যথেষ্ট ১০০ টাকার জন্য।
৩৯. ওয়েবসাইট টেস্টিং করে আয়
অনেক কোম্পানি ও ওয়েবসাইট তাদের ইউজার ইন্টারফেস (UI/UX) টেস্ট করার জন্য সাধারণ ব্যবহারকারী নিয়োগ করে।
আপনাকে শুধু নির্দিষ্ট সাইটে গিয়ে কাজের অভিজ্ঞতা জানাতে হয় (ভিডিও বা টেক্সটে)। এর বিনিময়ে ৫–১০ ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট পাওয়া যায়। বিশ্বস্ত কিছু সাইট:
- UserTesting.com
- TryMyUI
- UserFeel
আপনার যদি ইংরেজিতে বেসিক দক্ষতা থাকে, তাহলে এটা দারুণ আয় করার সুযোগ।
৪০. Keyboard Typing Competitions
অনলাইনে অনেক টাইপিং ওয়েবসাইট ও প্রতিযোগিতা আছে, যেখানে দ্রুত টাইপ করলেই আপনি রিওয়ার্ড পান। যেমন:
- TypingTest.com
- NitroType
- 10FastFingers
অনেকে বাংলাদেশে Typing Champion নামে ফেসবুক পেজে প্রতিযোগিতা চালায়, যেখানে প্রতি রাউন্ডে টাকা বা মোবাইল রিচার্জ পেয়ে থাকেন বিজয়ীরা। আপনি যদি ফাস্ট টাইপ করতে পারেন, তাহলে খুব সহজেই দিনে ১০০ টাকা আয় করা সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট
৪১. ভিজিটর ড্রাইভিং (Website Traffic Sending)
বেশ কিছু ওয়েবসাইট ও ব্লগার নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাঠাতে টাকা দেয়। আপনি যদি WhatsApp, Facebook বা Telegram ব্যবহার করে কোন লিংকে ভিজিটর পাঠাতে পারেন, তাহলে তারা প্রতি ১০০ ভিজিটে ৫০–১০০ টাকা পর্যন্ত দেয়।
এই কাজে বেশি ট্রাফিক পাঠাতে পারলে রেগুলার ইনকাম সম্ভব। বাংলাদেশি কিছু ছোট ব্লগ ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার এই কাজ দিয়ে থাকেন। কাজ পাওয়া যায় Facebook গ্রুপে: “Website Traffic Exchange”, “Digital Marketing BD” ইত্যাদি।
৪২. Facebook অটো-রিপ্লাই বা কমেন্ট রিপ্লাই অপারেটর
বিজনেস পেজ বা দোকানদাররা তাদের Facebook ইনবক্স ও কমেন্টে উত্তর দেওয়ার জন্য অপারেটর খোঁজে। দিনে ১–২ ঘণ্টা কমেন্ট/মেসেজ রিপ্লাই দিলেই তারা ১০০–৩০০ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
এটা একদম সহজ ও নিরবিচারে করা যায়, বিশেষ করে যারা ফোনে টাইপিং করতে অভ্যস্ত। অনেক সময় “Shopify/Instagram Store Assistant” নামেও এই কাজ Fiverr বা Freelancer এ পাওয়া যায়।
৪৩. অনলাইন ফর্ম ফিলআপ করে আয়
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মার্কেট রিসার্চ সংস্থা ও ডেটা সংগ্রাহক প্রতিষ্ঠানে ফর্ম ফিলআপের ছোট ছোট কাজ পাওয়া যায়। সাধারণত নাম, বয়স, পছন্দ, অভ্যাস ইত্যাদি বিষয় টাইপ করে ফর্ম পূরণ করতে হয়।
প্রতিটি ফর্মের জন্য ১০–৩০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট পাওয়া যায়। দিনে ৪–৫টি ফর্ম ফিলআপ করলেই ১০০ টাকা আয় সম্ভব। বিশ্বস্ত কিছু প্ল্যাটফর্ম:
- Toluna Influencers
- LifePoints
- Opinion World
৪৪. অনলাইন ট্রেনিং সেশনের স্লাইড বা সারাংশ তৈরি
অনেকে অনলাইন ট্রেনিং বা ওয়েবিনারে অংশ নেয় এবং তারপর সেই ট্রেনিংয়ের রিসোর্স, সারাংশ বা স্লাইড তৈরি করতে অন্যদের সাহায্য করে। আপনি যদি ভালোভাবে নোট তৈরি করতে পারেন,
তাহলে এই সেক্টরটি দারুণ উপার্জনের সুযোগ তৈরি করে দেয়। বাংলাদেশে অনেক EdTech বা অনলাইন কোচিং সেন্টার এমন সহকারী নিয়োগ দেয় (অনলাইন ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে)। প্রতি টাস্কে ৫০–১৫০ টাকা পর্যন্ত পেমেন্ট হয়ে থাকে।
৪৫. গুগল ফর্ম বা কুইজ তৈরি করে ইনকাম
অনলাইন শিক্ষক, কোচিং সেন্টার, কিংবা ইউটিউবারদের অনেক সময় Google Form, Quiz বা Assignment তৈরির লোক লাগে। আপনি যদি Google Form বানাতে পারেন,
তাহলে Fiverr বা Facebook এ গিগ দিয়ে সহজেই ক্লায়েন্ট পেতে পারেন। প্রতি কুইজ বা ফর্ম বানানোর জন্য ১০০ টাকা পর্যন্ত চার্জ করা যায়। দিনে ১টি কাজ পেলেই ইনকাম নিশ্চিত।
৪৬. অনলাইন কন্টেস্টে অংশগ্রহণ
অনেক ওয়েবসাইট, ইউটিউব চ্যানেল এবং অ্যাপ বিভিন্ন ধরণের কনটেস্ট বা গিভওয়ে আয়োজন করে যেমন: কুইজ, ফটো এডিটিং, ভিডিও তৈরির প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।
এতে অংশ নিয়ে বিজয়ী হলে ১০০–১০০০ টাকা বা তার বেশি পুরস্কার পাওয়া যায়। বাংলাদেশি ফেসবুক পেজ, ইনস্টাগ্রাম পেজ, বা EdTech প্ল্যাটফর্মেও মাঝেমধ্যে এই প্রতিযোগিতাগুলো হয়। কিছু বিশ্বস্ত কন্টেস্ট প্ল্যাটফর্মঃ
- YouthOp.com
- 99Designs (ডিজাইন কনটেস্ট)
- Freelancer (Contest Section)
৪৭. ইউটিউব চ্যানেল বুস্টিং সার্ভিস
আপনি যদি মোবাইল দিয়ে YouTube সাবস্ক্রাইবার বাড়ানো, ভিডিও শেয়ার করা, কিংবা কমেন্ট করে এনগেজমেন্ট বাড়াতে পারেন, তাহলে অনেক নতুন ইউটিউবার এই সার্ভিসের জন্য আপনাকে টাকা দিতে প্রস্তুত থাকে।
একজন ইউটিউবার হয়তো ৫০ টাকা দিয়ে চায় তার ভিডিও ১০০ জন দেখুক বা ২০টি কমেন্ট হোক। আপনি নিজের গ্রুপ বা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এই কাজগুলো করে আয় করতে পারেন। ফেসবুক গ্রুপে কাজের সুযোগ:
- “YouTube Channel Grow BD”
- “YouTube Subscribers Exchange BD”
৪৮. অনলাইন কুকিং রেসিপি বা হেলথ টিপস লিখে আয়
আপনি যদি রান্না বা স্বাস্থ্য বিষয়ে জানেন, তাহলে Fiverr বা Freelance সাইটে রেসিপি লেখা বা ব্লগের জন্য টিপস লিখে আয় করতে পারেন।
প্রতি ৫০০ শব্দের রেসিপির জন্য ১–৩ ডলার আয় সম্ভব। দিনে মাত্র ১টি অর্ডার পেলেই ১০০–৩০০ টাকা ইনকাম নিশ্চিত। কাজ শুরু করতে পারেন:
- Fiverr (Gig বানিয়ে)
- iWriter
- Upwork (Food Content Writing job খুঁজে)
৪৯. টেলিগ্রাম গ্রুপ/চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট
টেলিগ্রামে এখন অনেক বড় বড় চ্যানেল ও গ্রুপ চালু আছে যারা একজন অ্যাডমিন খোঁজে মেসেজ পিন, বট সেটআপ, স্প্যাম কন্ট্রোল এবং পোস্ট শিডিউল করার জন্য।
আপনি এই কাজে অভিজ্ঞ হয়ে উঠলে প্রতি চ্যানেল থেকে দৈনিক ১০০–৫০০ টাকা আয় সম্ভব। বিশেষ করে যদি আপনি Cryptocurrency বা Earning Niche চ্যানেলে কাজ করতে পারেন তাহলে আয় অনেক বেশি হয়। খোঁজ পেতে পারেন:
- Fiverr এ “Telegram Group Moderator” গিগ খুলে
- Facebook Group: “Telegram BD Job”
৫০. PDF টাইপিং ও স্ক্যান কপি থেকে লেখা টাইপ করা
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্ররা স্ক্যান করা PDF ফাইল বা হাতে লেখা কাগজের তথ্য কম্পিউটারে টাইপ করে দিতে বললে সেটা আপনি ঘরে বসে করতে পারেন।
প্রতি পৃষ্ঠায় ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। দিনে মাত্র ২–৩ পৃষ্ঠা টাইপ করলেই ১০০ টাকা সহজে পাওয়া যায়। কাজের উৎস:
- Facebook গ্রুপ: “Typing Job BD”
- Fiverr ও Freelancer এ গিগ খুলে
আরও পড়ুনঃ ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
FAQs:
১. অনলাইনে কি সত্যিই প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় সম্ভব?
হ্যাঁ, সম্পূর্ণ সম্ভব। আজকের ডিজিটাল যুগে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্স কাজ, রেফারেল, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, টাইপিং, কুইজ,
অ্যাপ রিভিউ, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংসহ অনেক মাধ্যমে প্রতিদিন ১০০ টাকা বা তার বেশি আয় করা যায়। তবে ধৈর্য, নিয়মিত সময় দেওয়া এবং সতর্কতা প্রয়োজন।
২. অনলাইন ইনকাম শুরু করার জন্য কি কোনো টাকা বিনিয়োগ দরকার?
অনেক ক্ষেত্রে বিনিয়োগ ছাড়াই শুরু করা যায়। যেমন: রেফারেল, সার্ভে, টাইপিং, কুইজ, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং।
তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম কোর্স বা কিছু সরঞ্জামে বিনিয়োগ করলে ইনকাম বাড়তে পারে। নতুনদের জন্য বিনিয়োগ ছাড়া শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. মোবাইল দিয়ে কি ইনকাম করা সম্ভব?
অবশ্যই। আজকাল বেশিরভাগ কাজ মোবাইল দিয়ে করা যায়। যেমন অ্যাপ রিভিউ, ভিডিও দেখা, কুইজ, রেফারেল, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি।
তবে কিছু কাজ যেমন গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং বা ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে ল্যাপটপ বেশি সুবিধাজনক।
৪. অনলাইনে টাকা আয় করতে গিয়ে কিভাবে স্ক্যাম এড়াব?
- কোনো কাজের জন্য আগে টাকা দিতে হবে বললে সন্দেহ করুন।
- ব্যক্তিগত তথ্য (যেমন ব্যাংক পাসওয়ার্ড, পিন) কাউকে দিবেন না।
- বিশ্বস্ত ও পরিচিত ওয়েবসাইট বা অ্যাপ ব্যবহার করুন।
- Google এ সার্চ করে বা ইউটিউব রিভিউ দেখে প্ল্যাটফর্ম যাচাই করুন।
- কাজের আগেই Terms & Conditions ভালো করে পড়ে নিন।
৫. বিকাশ, নগদ বা রকেট মাধ্যমে কি দ্রুত পেমেন্ট পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, বেশিরভাগ অনলাইন কাজের জন্য বিকাশ, নগদ ও রকেট খুবই জনপ্রিয় পেমেন্ট মাধ্যম। অনেক ফ্রিল্যান্স সাইট, অ্যাপ
বা ক্লায়েন্ট সরাসরি এই পদ্ধতিতে পেমেন্ট করে থাকে। পেমেন্ট দ্রুত পাওয়ার জন্য নিজের পেমেন্ট অ্যাকাউন্ট ভেরিফাইড রাখা জরুরি।
৬. অনলাইন ইনকামে কি সব সময় ধৈর্য ধরা লাগে?
অবশ্যই। অনলাইন ইনকাম শুরুতে হয়তো ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। কিন্তু নিয়মিত সময় দিলে, দক্ষতা বাড়ালে আয় দ্রুত বেড়ে যায়। প্রথম দিন থেকেই বড় অংকের আয় আশা না করে ধৈর্য ধরে কাজ করাই সেরা।
৭. কোন কাজগুলো বেশি জনপ্রিয় ও সহজ?
রেফারেল, সার্ভে, টাইপিং, অ্যাপ রিভিউ, ইউটিউব শর্টস তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এসব কাজ জনপ্রিয় এবং সহজে শুরু করা যায়। যদিও আয় একটু ধীরে হয়, ধৈর্য থাকলে বড় আয় সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ চাকা ঘুরিয়ে টাকা ইনকাম
৮. আমি নতুন, তাহলে প্রথমে কোন কাজটি করা উচিত?
নতুনদের জন্য রেফারেল বোনাস পাওয়া অ্যাপ, অনলাইন সার্ভে, টাইপিং, ফেসবুক পেজ মডারেশন, ইউটিউব শর্টস ভিডিও তৈরি ইত্যাদি কাজ ভালো। এগুলোতে স্কিল কম লাগবে এবং শুরু করা সহজ।
৯. কি ভাবে অনলাইন ইনকাম বাড়ানো যায়?
- নতুন নতুন কাজ শিখুন এবং চেষ্টা করুন।
- বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল তৈরি করুন।
- নিজের কাজের মান বাড়ান ও ক্লায়েন্টের সাথে ভালো যোগাযোগ রাখুন।
- সময় ব্যবস্থাপনা শিখুন ও নিয়মিত কাজ করুন।
- শেখার জন্য ইউটিউব, ব্লগ, অনলাইন কোর্স ব্যবহার করুন।
১০. অনলাইন ইনকামের জন্য কি ইংরেজি জানা আবশ্যক?
সাধারণ অনেক কাজ বাংলায় করা যায়। তবে ফ্রিল্যান্সিং, রাইটিং, গ্রাফিক ডিজাইন বা টেকনিক্যাল কাজের ক্ষেত্রে ইংরেজি জানা অনেক সাহায্য করে। তাই ইংরেজি শেখার চেষ্টা করা ভালো।