অনলাইন ইনকাম

প্রতিদিন ১০০ টাকা আয়

প্রতিদিন ১০০ টাকা আয় এই কথাটি লিখে গুগলে অনেকেই সার্চ করছেন এবং তারা অনেকেই চান অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় তার সঠিক উপায়গুলো জানাতে চলেছি।প্রতিদিন ১০০ টাকা আয়অনেকে হয়তো এখনও জানেন না মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। যারা জানে তারা তো ঠিকই প্রতিমাসে মোবাইল দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।

কিন্তু কখনো কেউ আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে ইনকামের পথ ধরিয়ে দিবে না। তাই অনলাইন থেকে ইনকাম করতে চাইলে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

অনলাইন ইনকাম?

অনলাইন ইনকাম হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল বা কম্পিউটার দিয়ে অর্থ উপার্জন করা। বর্তমানে অনলাইন থেকে ইনকাম করার অনেক প্রকার উপায় রয়েছে।

তবে তার মধ্যে ছোটখাটো কাজ করার জন্য মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা সম্ভব। আপনি যদি অনলাইন ইনকামের উপর অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনার মোবাইল, ডেক্সটপ বা কম্পিউটার থাকতে হবে।

তবেই আপনি লাইফ টাইমের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর মোবাইল দিয়ে যেসব ছোটখাটো ইনকাম করা হয়। সেসব লাইফ টাইম জন্য একেবারেই নয়। আপনি যদি সঠিকভাবে সহজপন্থায় মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান।

তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পযন্ত পড়তে থাকুন। কেননা আজকের এই আর্টিকেলে আমি মোবাইল দিয়ে এ টু জেড আলোচনা করব কিভাবে সহজপন্থায় অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৫

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার সহজ কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোতে আপনি ছোট ছোট কিছু কাজ করে বেশ ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

যেমনঃ সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে মাইক্রো ওয়ার্কার। মাইক্রো ওয়ার্কার এ ছোট ছোট কাজ যেমনঃ ইমেইল খুলে দেওয়া, ADS দেখা, ইউটিউব ভিডিও দেখা, ফেসবুক আইডি খুলে দেওয়া, লাইক কমেন্ট করা ইত্যাদি কাজ করে ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

এছাড়াও ঠিক এরকমই বাংলাদেশী কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমনঃ workuplace.com. এই সাইটটিতেও ঠিক একইভাবে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। এরকম আরও অনেক মাইক্রো জব সাইট রয়েছে, এই সাইট গুলোতে কাজ করার মাধ্যমে মোবাইল দিয়েই মাস শেষে বেশ ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করা যেতে পারে।

স্টুডেন্ট অনলাইন ইনকাম?

বর্তমানে একমাত্র স্টুডেন্টদের জন্যই অনলাইনে ইনকাম করার একটি বড় ধরণের সুযোগ রয়েছে। স্টুডেন্টরা চাইলে সহজেই তাদের লেখাপড়ার পাশাপাশি ঘরে বসেই অনলাইন ইনকাম করতে পারে।

তবে এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর ধৈর্যশক্তি ও ধারাবাহিকতা। কারণ অনলাইন সেক্টরে কাজ করতে গেলে ধারাবাহিকতা ও ধৈর্য না থাকলে কখনোই সফল হওয়া সম্ভব নয়।

বর্তমান চাকরির বাজারে যে পরিমাণে কম্পিটিশন সেই কম্পিটিশনের মাঝে পড়াশুনা করে চাকরি করার স্বপ্ন না দেখাই ভাল বলে আমি মনে করি। তাই স্টুডেন্ট লাইফ থেকে যদি অনলাইনে নিজের ক্যারিয়ার করা যায়।

তাহলে ভবিষ্যতে চাকরি নিয়ে আর কোন চিন্তা করা লাগবে না। সেজন্য স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই চাইলে ইউটিউব অথবা ব্লগিং করেও টাকা ইনকাম করা যেতে পারে। এবং ইউটিউব মার্কেটিং করেও নিজের লাইফ সেটেল করা যেতে পারে।

পাশাপাশি ব্লগিং তো আছে এই ব্লগিং করেও নিজের লাইভ সেটেল করা যেতে পারে। কারণ এই কাজগুলোর ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল। দিন যত যাচ্ছে এসব কাজের চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাই অনলাইনে ইনকামের জন্য ব্লগিং আপনার একটি ভাল মাধ্যম হতে পারে। তবে মনে রাখবেন এই কাজগুলো করার জন্য অনেক পরিমান ধৈর্য থাকা প্রয়োজন। একটি ওয়েবসাইট দাঁড় করাতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগে।

এছাড়াও আপনি চাইলে স্টুডেন্ট লাইফ থেকেই যেকোন কাজের প্রতি দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। যেমনঃ ফটো এডিট করা, ফটোশপের কাজ শেখা, ভিডিও এডিটিং করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা ইত্যাদি।

যেকোন একটি স্ক্রিল রক্ত করতে পারলেই ভবিষ্যতে আপনি ফাইবার, আপ ওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডট কম ইত্যাদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের লাইফ সেটেল করা করতে পারবেন।

সরকারি অনলাইন ইনকাম?

আপনারা যদি সরকারি অনলাইন ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে সব সময় নজর রাখতে হয়।

তাছাড়া সরকার আবার প্রতি তিন বছর চার বছর পর পর আদমশুমারি জরিপ ও অন্যান্য ছোট ছোট কাজের জন্য কর্মী নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আপনিও যদি আদমশুমারি, জরিপ ও অন্যান্য ছোট কাজের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন।

তাহলে আদমশুমারি কিংবা জরিপ করে অল্প কিছুদিন কাজ করার মাধ্যমে প্রায় দশ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এই কাজটির জন্য আবার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকা প্রয়োজন। নতুবা আপনি এই চাকরি কোন ভাবেই পাবেন না।

অনলাইন ইনকাম সাইট?

অনলাইন ইনকামের জন্য বর্তমানে যে ওয়েবসাইট গুলো রয়েছে। আপনি চাইলে সেই ওয়েবসাইট গুলোতে লাইফটাইম কাজ করতে পারেন। কিন্তু এর জন্য লাগবে আপনার দক্ষতা ও স্কিল এবং ধৈর্যশক্তি ও ধারাবাহিকতা।

এই দুইটি জিনিস যদি আপনি ভালভাবে রপ্ত করতে পারেন। তাহলে আমার দেওয়া যে ওয়েবসাইটগুলো রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে অনেক ভাল পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। আমি নিম্নে অনলাইন ইনকামের জন্য কিছু সাইট নিয়ে আলোচনা করছি। যেমনঃ

Stutter stock

শাটার স্টক হচ্ছে অনলাইনে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটের মধ্যে আপনি ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি ছবি তোলায় বেশ ভাল পারদর্শী হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি এই ওয়েবসাইটে আপনার তোলা ছবি বিক্রি করার মাধ্যমে প্রতিমাসে মাসে ভাল পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন।

Fiverr

ফাইবার হচ্ছে অনলাইন জগতের সবথেকে বড় মার্কেটপ্লেস। এখানে দেশি বিদেশি অনেক ফ্রিল্যান্সার কাজ করে মাসে ভাল পরিমাণে ইনকাম করছে। বর্তমানে নির্ভরযোগ্য ও সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস হচ্ছে এই Fiverr.com

এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কে কাজে লাগিয়ে মাস শেষে ভাল পরিমণে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনার অনলাইন ভিত্তিক যে কোন কাজে দক্ষতা থাকা অবশ্যই থাকতে হবে। তা না হলে আপনি এগুলো সাইটে কাজ করতে পারবেন না।

যেমনঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কোডিং করা, ধরুন ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন জানা ইত্যাদি কাজ জানা থাকতে হবে।

Upwork

ফাইবারের মতো upwork.com ও একটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস। এখানে আপনার স্কিল কে আপনি কাজে লাগিয়ে মাস শেষে হিউজ পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে আগে স্কিলফুল হতে হবে।

যেমনঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্টিং করার দক্ষতা, ভিডিও এডিট করার দক্ষতা, কোডিং করার দক্ষতা, ফটোশপ এর সমস্ত কিছু জানা ইত্যাদি। এগুলো থেকে যেকোন একটি বিষয়ে আপনাকে খুব ভালভাবে জানতে হবে। তাহলে ওই সেক্টরের কাজ করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।

YouTube

বর্তমানে অনলাইন ইনকামের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম ইউটিউব। এই ইউটিউব এর মধ্যে আপনি চাইলে সারা জীবন কাজ করতে পারবেন ভিডিও বানিয়ে। এমনকি সে চ্যানেল যদি ভাল থাকে তাহলে আপনি মারা যাওয়ার পর আপনার পরবর্তী প্রজন্ম সেখান থেকে ইনকাম করতে পারবে।

তবে এক্ষেত্রে আপনার ভিডিও বানানোর দক্ষতা থাকতে হবে এবং ভিডিও এডিট করার দক্ষতা থাকতে হব। তাহলে আপনি মাস শেষে অনেক ভাল পরিমাণে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

Facebook

ইউটিউবের মতো একিভাবে ফেসবুকেও আপনি একটি পেজ খুলে সেখানে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে আপনার ভিডিও বানানোর দক্ষতা ও ভিডিও এডিট করার দক্ষতা থাকতে হবে। এছাড়া আপনার ধৈর্য ও কাজ করার মন-মানসিকতা থাকতে হবে।

বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম সাইট?

বর্তমানে অনলাইনে টাকা ইনকামের জন্য অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। কিন্তু বিশ্বস্ততার সাথে ইনকাম করা যায় এমন ওয়েবসাইট হাতে গোনা মাত্র কয়েকটি রয়েছে। তাও আবার সেগুলো খুজে পাওয়া অনেক কঠিন হয়ে যায়।

তাই আমি আজকে এমন কয়েকটি বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটের সন্ধান দিব। যেগুলোর মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে ধৈর্য ও দক্ষতার সাথে কাজ করার মাধ্যমে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমনঃ

  • Fiverr.com
  • Upwork.om
  • Freelancer.com
  • YouTube.com
  • Facebook.com
  • Tiktok.com
  • Workup.com
  • Workuplace.com
  • Sutterstok.com
  • Microwokers.com

সরকার অনুমোদিত অনলাইন ইনকাম সাইট?

বর্তমানে আমাদের দেশে সরকার অনুমোদিত কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে চাইলে আপনি সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

এদের মধ্যে যেমনঃ বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম, নগদ অ্যাপের মাধ্যমে ইনকাম কিংবা আপনি চাইলে Ubber ride share এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এবং Pathao ওয়েবসাইটে কাজ করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

Google থেকে টাকা ইনকাম?

বর্তমান এই আধুনিক যুগেআপনি চাইলে গুগল থেকে ইনকাম করতে পারবেন। গুগল থেকে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ একটি মাধ্যম হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করা।

গুগলে আপনার যদি একটা ওয়েবসাইট তৈরি থাকে। তাহলে সেখান থেকে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে প্রতিমাসে মাসে অনেক ভাল একটি এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।

কিন্তু এর জন্য দরকার আর্টিকেল লেখার দক্ষতা ও ধৈর্যশক্তি এবং ধারাবাহিকতা। গুগলে ব্লক স্পট বানিয়ে অনেকেই টাকা ইনকাম করছে এবং সফলতা অর্জন করেছে। আপনি চাইলে এই কাজ করে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।

গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয়?

গুগল এডসেন্স থেকে অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনার একটি ব্লগ স্পট কিংবা ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন। ওয়েবসাইট ছাড়াও বর্তমানে গুগলের অনেক সার্টিফাইড প্ল্যাটফর্ম রয়েছে।

যেখান থেকে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স থেকে মূলত টাকা উপার্জন হয় বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার মাধ্যমে।

অর্থাৎ আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেখানে গুগলের বিজ্ঞাপন শো করার মাধ্যমে আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণে অর্থ যোগ হবে। এভাবে মাস শেষে আপনি ভাল পরিমাণের একটি এমাউন্ট ইনকাম হবে।

শেষ কথা

আশা করছি অনলাইনে কিভাবে ইনকাম করা যায়। সে সম্পর্কে একটি বিস্তারিত ধারণা আপনারা ইতিমধ্যে পেয়ে গেছেন। আমি সমস্ত তথ্য গুলো নিয়েছি ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে।

আপনি যদি আমার দেওয়া সকল পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেন তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সফলতার মুখ দেখতে পারবেন। তবে ধৈর্য্যর সাথে অবশ্যই কাজ করতে হবে। কারণ এসব কাজ আপনি সাথে সাথে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।

আপনি যদি ধৈর্য নিয়ে ছয় মাস থেকে এক বছর মনোযোগ সহকারে কাজ করেন। তাহলে সফলতা আপনার একদিন আসবেই। এবং আপনি অনেক ভাল পরিমাণে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আমি আশা করছি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ বুঝতে পারছেন তো আজকের মত এতটুকুই। দেখা হবে নতুন কোন ইনফরমেটিভ আর্টিকেল নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button