২২ ক্যারেট সোনার দাম
সোনা একটি অত্যান্ত মূল্যবানী ধাতু, যা বিভিন্ন উদ্যোগের মৌলিক অংশ। বর্তমান বাজারে স্বর্ণের ক্রয়মূল্য যা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবর্তিত হয়। স্বর্ণের দাম সাধারণত নির্ধারণ করা হয়, সরবরাহ ও চাহিদার উপর ভিত্তি করে।অর্থনীতির অন্যান্য উপাদান যেমনঃ মুদ্রার মান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বিনিয়োগকারীদের মানসিকতা স্বর্ণের দামের উপর বিস্তার প্রভাব ফেলে। এর থেকে ব্যতিক্রম নয় আমাদের দেশও। বর্তমানে আমাদের দেশে তিন ধরণের স্বর্ন পাওয়া যায়।
এই তিন ধরণের স্বর্ণের মাঝে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের বিশুদ্ধতা রয়েছে সবচেয়ে বেশি। একারণে যারা বেশি পিউর স্বর্ণ কিনতে চান বা বাংলায় যেটাকে খাঁটি সোনা বলে। তারা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ কিনে থাকেন। তো চলুন ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম কত টাকা তা নিচে বিস্তারিত জেনে আসি।
আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০ ২০০০০ টাকা প্রতি মাসে
২২ ক্যারেট সোনা কি?
সাধারণত গয়না তৈরিতে ২২ ক্যারেট সোনা ব্যবহার করা হয়। ২২ ক্যারেট স্বর্ণতে ৯১.৬৭ শতাংশ খাঁটি সোনা থাকে। এতে রূপা, দস্তা, নিকেল ও অন্যান্য মিশ্র ধাতুসমূহ মেশানো হয়। মিশ্র ধাতুর উপস্থিতি এটিকে আরও বেশি শক্ত করে তোলে। আর তাই ২২ ক্যারেট সোনা দিয়েই গয়না তৈরি করা যায়। যা খুবই টেকসইও হয়।
২২ ক্যারেট সোনার দাম?
আজকে বাংলাদেশে ২২ ক্যারেট সোনার রেট প্রতি ভরি ১,৩৪,৫০৯ টাকা। আমরা নিম্নে আপনাদের বুঝানোর জন্য ২২ ক্যারেট স্বর্ণ এর আনা প্রতি দাম তালিকা আকারে তুলে ধরেছি। যেমনঃ
২২ ক্যারেট সোনার দাম → বাংলাদেশি টাকায়
- ১ আনা সোনার দাম ৮,৪০৬.৮১ টাকা।
- ২ আনা সোনার দাম ১৬,৮১৩.৬২ টাকা।
- ৩ আনা সোনার দাম ২৫,২২০.৪৩ টাকা।
- ৪ আনা সোনার দাম ৩৩,৬২৭.২৫ টাকা।
- ৫ আনা সোনার দাম ৪২,০৩৪.০৬ টাকা।
- ৬ আনা সোনার দাম ৫০,৪৪০.৮৭ টাকা।
- ৭ আনা সোনার দাম ৫৮,৮৪৭.৬৮ টাকা।
- ৮ আনা সোনার দাম ৬৭,২৫৪.৫ টাকা।
- ৯ আনা সোনার দাম ৭৫,৬৬১.৩১ টাকা।
- ১০ আনা সোনার দাম ৮৪,০৬৮.১২ টাকা।
- ১১ আনা সোনার দাম ৯২,৪৭৪.৯৩ টাকা।
- ১২ আনা সোনার দাম ১,০০,৮৮১.৭৫ টাকা।
- ১৩ আনা সোনার দাম ১,০৯,২৮৮.৫৬ টাকা।
- ১৪ আনা সোনার দাম ১,১৭,৬৯৫.৩৭ টাকা।
- ১৫ আনা সোনার দাম ১,২৬,১০২.১৮ টাকা।
- ১ ভরি বা ১৬ আনা সোনার দাম ১,৩৪,৫০৯ টাকা
স্বর্ণের দাম বাড়ার কারণ?
- মুদ্রার অবমূল্যায়ন
- বিনিয়োগের চাহিদা
- সরবরাহের সীমাবদ্ধতা
মুদ্রার অবমূল্যায়ন
মুদ্রার মান কমলে স্বর্ণের দাম বাড়তে পারে। এটি মূলত কোন জাতি বা দেশের সেক্ষেত্রে কার্যকর হয়। কোন দেশের মুদ্রার মান কমলে সে দেশে স্বর্নের দাম বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুনঃ চ্যাট জিপিটি থেকে আয়
বিনিয়োগের চাহিদা
বিনিয়োগকারীরা স্বর্ণের জন্য নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কোন অঞ্চল বা দেশকে বিবেচনা করে থাকে। কিন্তু যখন কোন অঞ্চল বা দেশের অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা থাকে।
তখন বিনিয়োগকারীরা সেখানকার পরিবেশ বিবেচনা করে বিনিয়োগ করতে অসমর্থন করে, যার ফরে সেখানে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়।
সরবরাহের সীমাবদ্ধতা
আপনারা তো সকলেই জানেন স্বর্ণ একটি জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাজরে আসে। এই প্রক্রিয়ার প্রধান মাধ্যম হচ্ছে মাঠি খনন করা। এই খনন কার্যক্রমে সীমাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে স্বর্ণের সরবরাহ কম যায় এবং স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়।
স্বর্ণের দাম কমার কারণ?
- মুদ্রার মুল্যায়ন
- বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ
- বিকল্প বিনিয়োগ
মুদ্রার মুল্যায়ন
মুদ্রার মাধ্যমে যেকোন দেশের আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বিনিময় হার হিসাব পরিচালিত হয়। কোন দেশে মুদ্রার মান বাড়লে সেখানে স্বর্ণের দাম কমতে পারে।
আরও পড়ুনঃ বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহ
বেশি পরিমাণ স্বর্ণ বাজারে এলে দাম কমতে পারে। কারণ তখন দোকানদার তার চাহিদা মত স্বর্ণ বিক্রি করতে পারবে না।
বিকল্প বিনিয়োগ
শেয়ার বাজার কিংবা আরও অন্য কোন লাভজনক বিনিয়োগ মাধ্যমের চাহিদা বাড়লে স্বর্ণের দাম কমতে পারে।