ফ্রি টাকা ইনকাম | ৪০টি ফ্রি টাকা ইনকাম apps
অনলাইনে ফ্রি টাকা ইনকাম করা এখন অনেক সহজ ও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠেছে। বিশেষ কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আপনি বাড়ি বসেই সহজে আয় করতে পারেন বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে।যেমন: সার্ভে করা, ভিডিও দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড, গেম খেলা এবং ছোট ছোট কাজ সম্পন্ন করা। এই ব্লগে আমরা এমন কিছু প্রমাণিত ও বিশ্বস্ত উপায় নিয়ে আলোচনা করবো,
যা ব্যবহার করে আপনি নিরাপদে এবং দ্রুত ফ্রি টাকা উপার্জন শুরু করতে পারবেন। আপনার সময় ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে অনলাইনে আয় করার সহজ পথগুলো জানুন এখানে।
৪০টি ফ্রি টাকা ইনকাম apps | ফ্রি টাকা ইনকাম
নিম্নে ফ্রি টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. Google Opinion Rewards
Google Opinion Rewards হচ্ছে Google এর নিজস্ব একটি অ্যাপ, যেখানে আপনি ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে প্লে স্টোর থেকে ইনস্টল করে আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে হবে
এবং তারপর Google আপনাকে সময়মতো ছোট ছোট সার্ভে পাঠাবে। এই সার্ভেগুলো সাধারণত ৩০ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিটের মতো সময় নেয়। প্রশ্নগুলোর মধ্যে থাকতে পারে আপনার লোকেশন, কেনাকাটার অভ্যাস, বা অন্যান্য সাধারণ বিষয়ে মতামত।প্রতি উত্তর দেওয়ার জন্য আপনি ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৩০ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। এই আয় গুগল প্লে ব্যালেন্সে জমা হয় (বাংলাদেশে Play Credit হিসেবে), তবে VPN ব্যবহার করে PayPal পেমেন্টও সম্ভব কিছু দেশে।
এই টাকা দিয়ে আপনি প্লে স্টোরে অ্যাপ, গেম, বুক, অথবা মুভি কিনতে পারবেন। যদিও এটি সরাসরি নগদে পাওয়া যায় না, কিন্তু অন্যভাবে আপনি ইনডিরেক্টলি লাভবান হবেন।
২. CashZine – Read & Earn Money
CashZine একটি নিউজ পড়া ভিত্তিক অ্যাপ, যেখানে আপনি শুধু নিউজ পড়েই ইনকাম করতে পারেন। অ্যাপটি ইন্টারনেট থেকে জনপ্রিয় নিউজ সংগ্রহ করে তা ব্যবহারকারীদের পড়ার জন্য দেয়।
আপনি যত বেশি নিউজ পড়বেন, তত বেশি কয়েন পাবেন এবং এই কয়েনই টাকায় রূপান্তর হয়। CashZine এ ইনকাম করার জন্য শুধুমাত্র নিউজ পড়া নয়, আপনি বন্ধুদের রেফার করেও ইনকাম করতে পারেন।
রেফার বোনাস বেশ ভালো দেয় এবং দৈনিক রিডিং বোনাস বা স্পিন বোনাসও পাওয়া যায়। প্রতিদিন কিছুক্ষণ অ্যাপটি ব্যবহার করলে ৫০–১০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
যদিও সরাসরি বিকাশ পেমেন্ট না থাকলেও, কিছু বাংলাদেশি ইউজার Agent এর মাধ্যমে বিকাশে টাকা পাচ্ছেন। তাই এটি তুলনামূলক নিরাপদ এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে ভালো পরিমাণ আয় করা সম্ভব।
৩. Freecash.com
Freecash.com একটি GPT (Get Paid To) ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি অফার কমপ্লিট করে, গেম খেলে, অ্যাপ ডাউনলোড করে এবং সার্ভে পূরণ করে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এটি আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি প্ল্যাটফর্ম এবং অনেক ইউজার এটি থেকে দিনে ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত আয় করছে। এই সাইটে কাজ করতে হলে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
তারপর “Offer Wall” থেকে যেকোনো অফার বেছে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। যেমন: কোনো একটি অ্যাপ ডাউনলোড করে সেটিতে নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত খেললে আপনি ১–২ ডলার পেতে পারেন। এছাড়া বড় বড় অফারগুলোতে ৫–১০ ডলার পর্যন্ত আয় হয়।
Freecash এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এতে আপনি Bitcoin, Litecoin, PayPal, Google Gift Card, Amazon Card, এমনকি কিছু সময় Bkash এর এজেন্ট পেমেন্টও পেতে পারেন। সাইটটি খুবই ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং দ্রুত পেমেন্ট দেয়।
৪. MISTPLAY – Play and Earn
MISTPLAY মূলত একটি গেমিং অ্যাপ, যা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ব্যবহৃত হয়। আপনি এই অ্যাপের মাধ্যমে নতুন নতুন গেম খেলতে পারেন এবং সেই বিনিময়ে রিওয়ার্ড বা পয়েন্ট অর্জন করেন।
এই পয়েন্টগুলো আপনি বিভিন্ন গিফট কার্ডে রিডিম করতে পারবেন, যেমন: Google Play, Amazon, Visa Card ইত্যাদি। গেমগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় খেলে বা নির্দিষ্ট লেভেল অতিক্রম করে আপনি প্রতিদিন ২০-৫০ পয়েন্ট পর্যন্ত পেতে পারেন।
প্রতিটি গেম খেলার পর আপনার অ্যাকাউন্টে পয়েন্ট জমা হয়, যেগুলো আপনি যত বেশি করবেন, তত বেশি ইনকাম করা সম্ভব। যদিও এটি সরাসরি নগদ টাকা দেয় না, তবে আপনি এই গিফট কার্ডগুলো বিক্রি করে অনলাইনে টাকা পেতে পারেন।
বিশেষ করে ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস বা ফেসবুক গ্রুপে এসব গিফট কার্ড সহজেই বিক্রি করা যায়, যার মাধ্যমে আপনার ইনকাম নগদে রূপান্তর করা সম্ভব।
৫. Poll Pay – Survey App
Poll Pay একটি জনপ্রিয় সার্ভে অ্যাপ, যা ব্যবহারকারীদের সহজ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেয়। আপনি এই অ্যাপটির মাধ্যমে দৈনিক নানা ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে PayPal বা অন্যান্য পেমেন্ট মেথডে টাকা পেতে পারেন।
Poll Pay অ্যাপটির বিশেষত্ব হলো এখানে কাজের পরিমাণ অনেক বেশি এবং পেমেন্ট অনেক দ্রুত। শুধু যে সার্ভে করেই ইনকাম করা যায় তা নয়, বরং রেফার করেও অতিরিক্ত আয় করা যায়।
একজন বন্ধুকে রেফার করলে আপনি ১০% পর্যন্ত কমিশন পেতে পারেন। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি PayPal ব্যবহার করা না গেলেও কিছু ইউজার বিকল্প উপায়ে তাদের ইনকাম নগদে পাচ্ছেন,
যেমন: Payeer, Skrill বা এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ পেমেন্ট। এটি যারা সময় কম দিয়ে সহজ উপায়ে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য একটি ভালো অপশন।
৬. ClipClaps – Watch Videos & Earn
ClipClaps একটি ভিডিও দেখা ভিত্তিক ইনকাম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি শুধু মজার ভিডিও দেখে এবং কন্টেন্ট শেয়ার করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি নতুন ইউজারদের জন্য বেশ উপযোগী, যাদের মোবাইল ব্যালান্স দরকার কিংবা ফ্রি সময়ে কিছু ইনকাম করতে চান।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ভিডিও দেখার পর আপনি কয়েন অর্জন করবেন, যেগুলো আপনি পরে ডলার বা টাকা আকারে রিডিম করতে পারবেন। ভিডিও দেখার পাশাপাশি “Treasure Chest”, “Lucky Spin”, এবং “Daily Rewards” ফিচারগুলোও ইনকামের জন্য অত্যন্ত কার্যকর।
ClipClaps থেকে PayPal পেমেন্ট পাওয়া যায়, আর কিছু ইউজার বাংলাদেশে Agent-এর মাধ্যমে বিকাশেও ক্যাশ আউট করছেন। এটি একটি বিনোদনমূলক অ্যাপ হলেও ফ্রিলান্সিংয়ের বাইরে ফ্রি ইনকামের ভালো মাধ্যম হতে পারে।
৭. Swagbucks – Earn Gift Cards & Cash
Swagbucks একটি নামকরা Reward Program সাইট, যা আপনাকে সার্ভে পূরণ, ভিডিও দেখা, গেম খেলা, অ্যাপ ডাউনলোড ও ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার মতো কাজের বিনিময়ে ইনকাম করতে দেয়।
এটি দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম। এই সাইটে প্রতিটি কার্যক্রমের জন্য আপনি “SB” পয়েন্ট পান। এই পয়েন্টগুলো আপনি Amazon, PayPal, Walmart সহ বিভিন্ন গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারেন।আপনি যদি রেগুলারলি এই সাইটে কাজ করেন, তাহলে মাসে $10-20 পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশ থেকে সরাসরি PayPal ব্যবহার না হলেও কিছু বিশ্বস্ত এক্সচেঞ্জ সাইট
বা এজেন্টের মাধ্যমে আপনি ইনকামকৃত অর্থ বিকাশে নিতে পারেন। এটি যারা লো-স্কিল কাজ খুঁজছেন তাদের জন্য কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম।
৮. Toloka – AI Task Platform
Toloka একটি মাইক্রো-টাস্কিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি সহজ কিছু কাজ করে ফ্রি ইনকাম করতে পারেন। এই কাজগুলো মূলত আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন: ছবি চিহ্নিত করা, শব্দ শোনা, প্রশ্নের উত্তর যাচাই করা ইত্যাদি।
Toloka-তে প্রতিটি টাস্কের জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা অনুসরণ করতে হয়। কাজগুলো খুবই ছোট হলেও, প্রতিদিন নিয়মিত করলে ৫–১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। আর ভাল পারফরমেন্সের মাধ্যমে আপনি আরও উচ্চমূল্যের টাস্ক পেতে পারেন।
এই প্ল্যাটফর্মটি সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি বাংলাদেশ থেকে সরাসরি Payeer, Skrill, বা Payoneer এর মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়। আপনি চাইলে এগুলোর মাধ্যমে আপনার ইনকাম বিকাশ বা নগদে রূপান্তর করতে পারবেন।
৯. InboxDollars – Paid Emails & Tasks
InboxDollars একটি বহু পুরাতন এবং বিশ্বস্ত অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্ম, যা আপনাকে Paid Survey, ভিডিও দেখা, ইমেইল পড়া, অফার কমপ্লিট ইত্যাদির মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়। এটি মূলত US ভিত্তিক হলেও অনেক দেশ থেকে ব্যবহার করা যায়।
এই সাইটে কাজ করতে হলে প্রথমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে, তারপর বিভিন্ন কাজের তালিকা থেকে আপনার পছন্দ অনুযায়ী কাজ বেছে নিতে হবে। প্রতিটি কাজের পরিমাণ অনুযায়ী ০.২৫ থেকে ৫ ডলার পর্যন্ত ইনকাম হতে পারে।
InboxDollars সরাসরি PayPal ও অন্যান্য গিফট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়। বাংলাদেশি ইউজাররা সাধারণত PayPal ব্যালেন্স রূপান্তর করে বিকাশে টাকা তোলেন, তাই এটি একটি কার্যকর প্যাসিভ ইনকামের উৎস।
১০. Current – Earn by Listening to Music
Current হলো এমন একটি অ্যাপ যেখানে আপনি গান শুনে টাকা ইনকাম করতে পারেন। অ্যাপটি আপনাকে প্রতিবার গান শুনলে কয়েন দেয়, এবং সেই কয়েন আপনি ডলার বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করতে পারবেন।
এই প্ল্যাটফর্মে মূলত আপনার গান শোনার সময় অনুযায়ী ইনকাম নির্ধারণ হয়। যেমন: ২০ মিনিট গান শুনলে ১০০ কয়েন পেতে পারেন। এছাড়া, আপনি চাইলে রেফার করে অতিরিক্ত ইনকামও করতে পারবেন, যা নতুন ইউজারদের জন্য বেশ লাভজনক।
Current অ্যাপে আপনি পেমেন্ট নিতে পারেন PayPal বা Amazon Gift Card-এর মাধ্যমে। গান শুনতে শুনতে ইনকাম করাটা অনেকের কাছেই মজার মনে হয়, তাই এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে।
১১. Money Well – Play Games and Earn
Money Well হলো একটি গেম খেলে ইনকাম করার অ্যাপ। আপনি এখানে গেম খেললে সময় অনুযায়ী কয়েন পান। এই কয়েনগুলো আপনি PayPal পেমেন্ট বা গিফট কার্ডে রিডিম করতে পারবেন।
এই অ্যাপটি মূলত “পে-টু-প্লে” ধরনের না হলেও, আপনার খেলাধুলার সময় ও আগ্রহের ভিত্তিতে ইনকাম প্রদান করে। গেমের লেভেল যত বাড়বে, ইনকামের পরিমাণও তত বাড়ে। প্রতিদিন ১-২ ঘণ্টা খেললে ৩০–৭০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বিকাশে না পেলেও PayPal-এ ইনকাম নিয়ে আপনি Agent-এর মাধ্যমে সেটি নগদে তুলতে পারবেন। বিনোদন ও ইনকামের একসাথে সমন্বয় চাইলে এই অ্যাপটি হতে পারে উপযুক্ত।
১২. BuzzBreak – Watch News & Videos
BuzzBreak একটি সংবাদ ও ভিডিও ভিত্তিক অ্যাপ, যেখানে আপনি প্রতিদিন নিউজ পড়া, ভিডিও দেখা এবং রেফার করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এটি বিশেষভাবে মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য বানানো হয়েছে যারা প্রতিদিন কিছু সময় অনলাইনে কাটিয়ে আয় করতে চান।
BuzzBreak-এ ইনকাম হয় কয়েন আকারে। প্রতিটি নিউজ পড়া, ভিডিও দেখা বা লটারিতে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আপনি কয়েন পান। এরপর এই কয়েনগুলো নির্দিষ্ট সীমা পার হলে PayPal বা অন্যান্য মাধ্যম ব্যবহার করে আপনি টাকা রিডিম করতে পারেন।
বাংলাদেশে এই প্ল্যাটফর্মের সরাসরি পেমেন্ট না থাকলেও, অনেকেই PayPal ব্যালেন্স বিক্রি করে বিকাশে নিচ্ছেন। প্রতিদিন মাত্র ৩০–৪০ মিনিট সময় দিলেও আপনি নিয়মিত ১–২ ডলার ইনকাম করতে পারবেন। এটি নতুনদের জন্য সহজ ও ঝামেলাহীন একটি অপশন।
১৩. Ysense – Survey & Task Website
ySense (আগের নাম ClixSense) একটি জনপ্রিয় এবং পুরাতন GPT (Get Paid To) ওয়েবসাইট। এখানে আপনি সার্ভে ফর্ম পূরণ, ছোট ছোট কাজ (Microtasks), অফার কমপ্লিট, এবং রেফার করে ফ্রি ইনকাম করতে পারেন।
এই সাইটে রেজিস্ট্রেশন করলে আপনি প্রতিদিন অনেকগুলো নতুন সার্ভে ও কাজ পাবেন। প্রতিটি সার্ভে ৫–২০ মিনিট পর্যন্ত সময় নেয় এবং এতে আপনি ০.২০ ডলার থেকে ২ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
তাদের অফার ওয়াল থেকেও আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। ySense এর সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি বিভিন্ন পেমেন্ট মেথড সাপোর্ট করে, যেমন Payoneer, Skrill এবং PayPal।
আপনি Payoneer বা Skrill দিয়ে সহজেই বিকাশে ট্রান্সফার করতে পারবেন। যারা সিরিয়াসলি ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী ও বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম।
১৪. Make Money – Android Task App
Make Money একটি Android ভিত্তিক অ্যাপ যেখানে আপনি বিভিন্ন টাস্ক করে ইনকাম করতে পারেন। এখানে আপনি অ্যাপ ডাউনলোড, রেটিং দেয়া, গেম খেলা, ভিডিও দেখা, এবং প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মতো কাজ পাবেন।
প্রতিটি কাজ করার পর আপনি পয়েন্ট অর্জন করবেন এবং সেই পয়েন্ট নির্দিষ্ট সংখ্যক হলে আপনি PayPal ক্যাশ রিডিম করতে পারবেন। অ্যাপটি খুবই সহজ ব্যবহারযোগ্য এবং নতুন ইউজারদের জন্য বোনাস পয়েন্টও অফার করে।
বাংলাদেশে PayPal সরাসরি না থাকলেও অনেকেই বিদেশি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বা এক্সচেঞ্জারদের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করে থাকেন। তাই আপনি চাইলে এটি দিয়ে প্রতিদিন অল্প হলেও নিয়মিত ফ্রি ইনকাম করতে পারবেন।
১৫. Givvy Apps – Multiple Apps to Earn
Givvy মূলত একগুচ্ছ অ্যাপ নিয়ে তৈরি একটি ইনকাম প্ল্যাটফর্ম। যেমন: Givvy Videos, Givvy Surveys, Givvy Games ইত্যাদি। প্রতিটি অ্যাপে আপনি ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারেন ভিডিও দেখা, গেম খেলা, সার্ভে পূরণ ইত্যাদি।
এই অ্যাপগুলো খুব হালকা এবং ব্যবহার সহজ। প্রতিদিন কিছুটা সময় দিলেই আপনি কয়েকশো কয়েন অর্জন করতে পারবেন, যেগুলো আপনি PayPal বা Coinbase (Crypto) দিয়ে রিডিম করতে পারবেন।
বিশেষ করে Givvy র প্ল্যাটফর্মে আপনি ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট রিকোয়েস্ট করতে পারেন, যেটা অনেক অ্যাপে থাকে না। তাই নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি অনেকটাই নিশ্চিত ইনকামের উৎস।
১৬. Roz Dhan – Read News & Get Reward
Roz Dhan একটি জনপ্রিয় ভারতীয় অ্যাপ, যেখানে আপনি নিউজ পড়া, অ্যাপ শেয়ার করা, স্টেপ কাউন্ট করা এবং প্রতিদিন লগইন করার মতো কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।
এটি ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশি ইউজাররাও ব্যবহার করছেন VPN-এর মাধ্যমে। অ্যাপটি চালু করার পর আপনাকে প্রতিদিন বিভিন্ন টাস্ক দেওয়া হয়। প্রতিটি টাস্ক শেষ করলে আপনি কয়েন পান।
সেই কয়েন নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে Paytm অথবা PayPal এর মাধ্যমে টাকা তুলতে পারবেন। যেহেতু Paytm বাংলাদেশে সরাসরি কাজ করে না, আপনি PayPal ব্যবহার করে ইনকাম নিতে পারেন
এবং এক্সচেঞ্জার বা এজেন্টদের মাধ্যমে বিকাশে রূপান্তর করতে পারেন। এটি যারা প্যাসিভভাবে ইনকাম করতে চান তাদের জন্য একটি ভালো মাধ্যম।
১৭. FeaturePoints – Earn by Downloading Apps
FeaturePoints একটি বিশ্বস্ত ও পুরাতন ইনকাম প্ল্যাটফর্ম যা মূলত অ্যাপ ডাউনলোড, সার্ভে এবং শপিং ক্যাশব্যাকের মাধ্যমে ইউজারদের ইনকাম করার সুযোগ দেয়। এটি iOS এবং Android উভয় ডিভাইসে ব্যবহারযোগ্য।আপনি যদি নতুন অ্যাপ ডাউনলোড করে নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করেন, তবে FeaturePoints আপনাকে পয়েন্ট দেয়। এরপর এই পয়েন্ট রিডিম করে আপনি পেতে পারেন PayPal ক্যাশ, Bitcoin বা বিভিন্ন গিফট কার্ড।
বাংলাদেশি ইউজাররা সাধারণত PayPal ব্যালেন্স বিক্রি করে বিকাশে নিয়ে থাকেন। এটি খুবই সহজ এবং স্বল্প পরিশ্রমে ইনকামের একটি কার্যকর উপায় বিশেষ করে যাদের ফোনে ভালো RAM ও ইন্টারনেট কানেকশন রয়েছে।
১৮. Pocket Money – Android Reward App
Pocket Money হলো একটি Android অ্যাপ যা আপনাকে অ্যাপ ডাউনলোড, ভিডিও দেখা, এবং গেম খেলার মাধ্যমে ইনকাম করতে দেয়। আপনি প্রতিটি কাজ শেষ করলে নির্দিষ্ট পরিমাণ কয়েন পাবেন, যা পরবর্তীতে টাকা বা মোবাইল রিচার্জে ব্যবহার করা যাবে।
এই অ্যাপে প্রতিদিন নতুন টাস্ক আসে এবং আপনি চাইলে বন্ধুকে রেফার করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। প্রতিটি রেফারে ২০–৫০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যায়, যা একাধিকবার অর্জন করা সম্ভব।
যদিও বাংলাদেশে সরাসরি পেমেন্ট পদ্ধতি সীমিত, তবে অনেকেই মোবাইল রিচার্জ অথবা বিদেশি নম্বর দিয়ে পেমেন্ট নিচ্ছেন। এটি নতুনদের জন্য ভালো একটি “স্মার্টফোন ইনকাম” অ্যাপ।
১৯. Paidwork
Paidwork একটি অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ভিডিও দেখা, বিজ্ঞাপন দেখা, সার্ভে করা, আর্টিকেল পড়া এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া টাস্ক করে ইনকাম করতে পারেন। এটি নতুনদের জন্য সহজ ও নিরাপদ উপায়।
একাউন্ট খোলার পর আপনাকে প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু মিশন দেওয়া হয়। প্রতিটি টাস্কের জন্য আপনি ০.০৫ থেকে ০.৫০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। কাজের ধরন অনুযায়ী ইনকামের রেঞ্জ বাড়ে।
পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে আছে PayPal, Skrill, Bitcoin। বাংলাদেশে পেমেন্ট তুলতে চাইলে PayPal বা Skrill ব্যবহার করে পরে সেটা বিকাশে ক্যাশ আউট করা যায়। নিয়মিত কাজ করলে মাসে $10–$30 পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
২০. Pawns.app – Share Internet & Complete Surveys
Pawns.app আপনাকে দুটি পদ্ধতিতে ইনকাম করতে দেয়: ইন্টারনেট শেয়ার করে ও অনলাইন সার্ভে পূরণ করে। আপনি যদি বাড়তি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার না করেন, তাহলে সেটি শেয়ার করে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
যারা সার্ভে করতে আগ্রহী, তারা এই প্ল্যাটফর্মে প্রতিদিন ২–৩টি নির্ভরযোগ্য সার্ভে পেয়ে থাকেন। প্রতি সার্ভে পূরণে আপনি ০.২৫–২ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
পেমেন্ট নেওয়া যায় PayPal, Bitcoin, Skrill ইত্যাদিতে। এটি অনেকটাই প্যাসিভ ইনকামের উৎস এবং আপনি একবার সেটআপ করলেই প্রতিদিন কিছু ইনকাম হতেই থাকবে। এটি বিশেষ করে WiFi ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী।
২১. Givvy Trivia – Answer Quiz and Earn
Givvy Trivia একটি মজাদার কুইজ-ভিত্তিক অ্যাপ, যেখানে আপনি সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এই অ্যাপটিতে নানা বিষয়ের প্রশ্ন থাকে ইতিহাস, বিজ্ঞান, খেলাধুলা, সাধারণ জ্ঞান ইত্যাদি।
প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য আপনি কয়েন অর্জন করেন এবং এই কয়েন পরবর্তীতে PayPal অথবা Coinbase (ক্রিপ্টোকারেন্সি) দিয়ে ক্যাশ আউট করতে পারেন। আপনি চাইলে বন্ধুদের রেফার করেও আয় বাড়াতে পারেন।
Givvy Trivia মূলত শিক্ষামূলক এবং বিনোদনধর্মী ইনকাম মাধ্যম। এটি বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী ও কুইজ ভালোবাসা ব্যবহারকারীদের জন্য উপযোগী। পেমেন্ট তুলতে PayPal ব্যালেন্স বাংলাদেশের এজেন্টদের মাধ্যমে বিকাশে নেওয়া যায়।
২২. TGM Panel – Survey Site
TGM Panel হলো একটি গ্লোবাল সার্ভে সাইট যা আপনাকে নানা দেশের পণ্যের ওপর মতামত দিয়ে ইনকাম করতে দেয়। আপনি বাংলাদেশ থেকেও এতে অংশ নিতে পারবেন এবং প্রতি সার্ভে পূরণে ০.৫০ থেকে ২ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
প্রথমে সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে প্রোফাইল তথ্য দিতে হয়, এরপর তারা প্রাসঙ্গিক সার্ভে পাঠায়। এই সার্ভেগুলো সাধারণত ১০–২০ মিনিট সময় নেয় এবং প্রতিটি পূরণে নির্দিষ্ট পেমেন্ট মেলে।
পেমেন্ট নেওয়ার জন্য আছে PayPal ও Amazon Gift Card। অনেকেই PayPal ব্যালেন্স রূপান্তর করে বিকাশ বা নগদে তুলছেন। এটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ ইনকাম প্ল্যাটফর্ম।
২৩. Slidejoy – Unlock & Earn
Slidejoy অ্যাপটি আপনার ফোনের লকস্ক্রিনে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে টাকা ইনকাম করার সুযোগ দেয়। আপনি ফোন আনলক করলেই একটি অ্যাড দেখবেন, আর সেই বিনিময়ে আপনার একাউন্টে কয়েন জমা হবে।
এই অ্যাপটি এক ধরনের প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করে, কারণ আপনাকে আলাদা করে কিছুই করতে হয় না শুধু ফোন আনলক করলেই চলবে। প্রতিদিন আপনি কয়েকশো কয়েন পেতে পারেন।
Slidejoy-এ পাওয়া কয়েন আপনি PayPal বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে রিডিম করতে পারবেন। এটি যারা খুব ব্যস্ত, তাদের জন্য অল্প সময়ে অল্প ইনকামের ভালো উপায়।
২৪. AttaPoll – Short Survey App
AttaPoll হলো ছোট ও দ্রুত শেষ করা যায় এমন সার্ভে অ্যাপ, যেটা মোবাইল থেকেই সহজে ব্যবহার করা যায়। প্রতিটি সার্ভে খুবই ছোট মাত্র ২–৫ মিনিটে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু পেমেন্ট তুলনামূলক বেশি দেয়।
এই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করলে আপনাকে প্রোফাইল অনুযায়ী ম্যাচিং সার্ভে পাঠানো হয়। আপনি চাইলে “Notification” চালু করে সার্ভে আসার সাথে সাথেই উত্তর দিতে পারেন। সার্ভে প্রতি ০.২০ থেকে ১.৫০ ডলার আয় করা সম্ভব।
AttaPoll-এ পেমেন্ট সিস্টেম হিসেবে আছে PayPal। বাংলাদেশে সরাসরি না পাওয়া গেলেও এক্সচেঞ্জারদের মাধ্যমে সহজেই বিকাশে টাকা তোলা যায়। এটি যারা মোবাইলে কম সময় দিয়ে ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য আদর্শ।
২৫. Sweatcoin – Walk and Earn
Sweatcoin একটি স্বাস্থ্যভিত্তিক ইনকাম অ্যাপ, যেখানে আপনি হাঁটার মাধ্যমে কয়েন অর্জন করেন। এই কয়েনগুলো আপনি বিভিন্ন গিফট কার্ড, অফার বা PayPal ক্যাশে রিডিম করতে পারবেন (নির্বাচিত দেশসমূহে)।
অ্যাপটি আপনার ফোনের স্টেপ কাউন্টার ব্যবহার করে। আপনি যত বেশি হাঁটবেন, তত বেশি কয়েন পাবেন। দিন শেষে যদি আপনার হাঁটার অভ্যাস থাকে, তাহলে আপনি অটোমেটিক ইনকাম করতেই থাকবেন।
যদিও বাংলাদেশে সরাসরি PayPal ক্যাশ পাওয়া যায় না, কিন্তু Gift Card বা Agent এর মাধ্যমে ক্যাশ আউটের সুযোগ রয়েছে। এটি শরীরচর্চা ও ইনকামের সুন্দর মিশেল।
২৬. Lucky Money – Scratch Cards & Spin to Win
Lucky Money একটি ফান-ভিত্তিক ইনকাম অ্যাপ যেখানে আপনি স্ক্র্যাচ কার্ড ঘষে, লটারিতে অংশ নিয়ে বা স্পিন ঘুরিয়ে ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এটি অনেকটাই লটারি টাইপ মজা নিয়ে কাজ করে, তবে রিওয়ার্ড অনেকের জন্য বাস্তব। প্রতিদিন অ্যাপে ঢুকলেই আপনি কয়েকটি ফ্রি স্ক্র্যাচ কার্ড পাবেন। আপনি প্রতিটি কার্ড ঘষে কয়েন বা ডলার জিততে পারেন।
স্পিন এবং দৈনিক বোনাস থেকেও কিছু ইনকাম হয়। এই কয়েনগুলো আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে PayPal এর মাধ্যমে রিডিম করতে পারবেন। যদিও পুরোটাই ভাগ্যের ওপর নির্ভর,
তবে অনেকে নিয়মিত ব্যবহার করে ভালো অঙ্কের ইনকাম করেছেন। একঘেয়ে সার্ভে না করে মজার ইনকামের মাধ্যম চাইলে এটি একটি ভালো অপশন।
২৭. Honeygain – Share Your Internet & Earn
Honeygain এমন একটি অ্যাপ যেখানে আপনি আপনার বাড়তি ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ শেয়ার করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। অ্যাপটি আপনার ইন্টারনেট কানেকশনকে বিভিন্ন গবেষণা ও ডেটা সংগ্রহ প্রকল্পে ব্যবহার করে।আপনাকে শুধু অ্যাপটি ইনস্টল করে ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু রাখতে হবে। এরপর যত বেশি ইন্টারনেট শেয়ার হবে, তত বেশি ডলার জমা হবে আপনার অ্যাকাউন্টে। প্রতি ১০ গিগাবাইট ট্রাফিকে আপনি প্রায় $1 আয় করতে পারেন।
Honeygain এর বড় সুবিধা হলো এটি একেবারেই প্যাসিভ। কোনো টাস্ক করার দরকার নেই। ইনকাম PayPal ও Bitcoin এর মাধ্যমে ক্যাশ আউট করা যায়, তাই বাংলাদেশ থেকে Agent বা এক্সচেঞ্জার ব্যবহার করেও টাকা নেওয়া যায়।
২৮. Qmee – Answer & Browse to Earn
Qmee একটি রিওয়ার্ড অ্যাপ, যা সার্ভে, অনলাইন সার্চ এবং শপিং রিভিউয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে দেয়। এটি অন্যান্য সার্ভে অ্যাপের তুলনায় একটু বেশি পেমেন্ট দেয় এবং তাড়াতাড়ি পেমেন্ট দেয়ার জন্য পরিচিত।
প্রতিটি সার্ভের জন্য আপনি $0.30 থেকে শুরু করে $2 পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। পাশাপাশি, Qmee-এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হলো যখন আপনি কোনো কিছু Google বা Amazon এ সার্চ করেন, তখনও এটি আপনাকে পেমেন্ট দিতে পারে।
Qmee তে কোনো মিনিমাম উইথড্র নেই $0.01 থাকলেই PayPal এ ক্যাশ আউট করা যায়। এটি একজন নতুন ইউজারের জন্য অনেক বড় সুবিধা, কারণ অধিকাংশ অ্যাপ $5 বা $10 মিনিমাম রাখে।
২৯. CashKarma – Rewards by Doing Tasks
CashKarma একটি বহুল ব্যবহৃত GPT অ্যাপ যেখানে আপনি সার্ভে, অফার, ভিডিও দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড ও রেফারেলের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এটি Android এবং iOS উভয় প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায়।
প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজের তালিকা পাবেন। প্রতিটি কাজ শেষে আপনি Karma Points অর্জন করবেন। এই পয়েন্টগুলো পরে PayPal ক্যাশ বা গিফট কার্ডে রিডিম করা যায়।
বিশেষ করে যারা নিয়মিত ছোট কাজ করতে আগ্রহী তাদের জন্য এটি একটি ভালো অপশন। আপনি চাইলে প্রতিদিন মাত্র ৩০–৪৫ মিনিট দিয়ে দিনে ১০০–২০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। রেফার করলে আরও বেশি আয় হওয়ার সুযোগ থাকে।
৩০. Gamee – Play Games to Win Money
Gamee একটি গেমিং অ্যাপ, যেখানে আপনি ফ্রি গেম খেলে পয়েন্ট জিতে ইনকাম করতে পারেন। এখানে নিয়মিত টুর্নামেন্ট ও Lucky Draw হয় যেখানে অনেকেই বাস্তব অর্থ জেতে।
অ্যাপটি ইনস্টল করলে আপনি বিভিন্ন Arcade এবং Casual টাইপ গেম পাবেন। আপনি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সংখ্যক গেম খেললেই কয়েন পাবেন এবং সেই কয়েন দিয়ে আপনি লাকি ড্রতে অংশ নিতে পারবেন।
Gamee-তে ইনকাম করার সবচেয়ে ভালো দিক হলো এটি বিনোদন ও আয় একসঙ্গে দেয়। পেমেন্ট নেয়া যায় PayPal-এর মাধ্যমে এবং অনেকেই Agent দিয়ে বিকাশে নিচ্ছেন। আপনি যদি গেম খেলে সময় কাটান, তাহলে এই সময়টাই উপার্জনের মাধ্যম হতে পারে।
৩১. Clickworker – Microtasks Platform
Clickworker হলো একটি আন্তর্জাতিক ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি ছোট ছোট কাজ করে ফ্রি ইনকাম করতে পারেন। এখানে যেমন ডেটা এন্ট্রি, ওয়েব রিসার্চ, প্রুফরিডিং, অনুবাদ, অ্যাপ টেস্টিং এই ধরনের সহজ টাস্ক পাওয়া যায়।
প্রতিটি টাস্কের জন্য আপনি নির্দিষ্ট অর্থ পান, এবং আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে টাস্কের সংখ্যা ও মূল্য বাড়তে থাকে। নতুন ইউজারদের জন্য প্রাথমিক কিছু ট্রেনিং ও কোয়ালিফিকেশন টেস্টও রয়েছে, যেগুলো পাস করলে ভালো ইনকাম নিশ্চিত হয়।
Clickworker-এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি নিয়মিত PayPal এর মাধ্যমে পেমেন্ট করে এবং মিনিমাম উইথড্র সীমা খুব কম। অনেকেই এটি দিয়ে প্রতি সপ্তাহে $১০–২০ পর্যন্ত আয় করেন, যা একেবারে ফ্রিতে ঘরে বসেই সম্ভব।
৩২. LootUp – Paid Surveys & Offers
LootUp একটি নতুন কিন্তু দ্রুত জনপ্রিয়তা পাওয়া GPT (Get Paid To) সাইট। আপনি এখানে সার্ভে পূরণ, অ্যাপ ডাউনলোড, ভিডিও দেখা এবং রেফারেল করে ইনকাম করতে পারেন। এই সাইটে প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন অফার আসে।
প্রতিটি সার্ভে বা অফারের জন্য আপনি কয়েন/পয়েন্ট অর্জন করেন, যেগুলো আপনি PayPal, Bitcoin বা অন্যান্য গিফট কার্ডে রিডিম করতে পারবেন। এতে আছে “Cashback Offers” ফিচার, যা অনেকেই ব্যবহার করেন।
LootUp এর বিশেষ দিক হলো নতুন ইউজারদের জন্য ওয়েলকাম বোনাস এবং ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট সিস্টেম। এটি বাংলাদেশি ব্যবহারকারীদের জন্য ভালো অপশন, কারণ এখানে কাজ পাওয়া সহজ এবং এক্সচেঞ্জার ব্যবহার করে বিকাশে টাকা তোলা যায়।
৩৩. BigCash – Play Games & Watch Videos
BigCash একটি মোবাইল অ্যাপ যা আপনাকে গেম খেলা, ভিডিও দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড করা এবং সার্ভে করে পয়েন্ট অর্জনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে দেয়। অ্যাপটি খুবই ইউজার-ফ্রেন্ডলি এবং শুরুতেই সাইন আপ বোনাস দেয়।
এখানে আপনি প্রতিটি কাজ শেষে “Coins” পাবেন, এবং এই Coins নির্দিষ্ট পরিমাণ হলে আপনি PayPal-এ রিডিম করতে পারবেন। রেফার সিস্টেমও আছে, যেখানে আপনি আপনার বন্ধুদের ইনভাইট করে অতিরিক্ত ইনকাম করতে পারবেন।
BigCash এ PayPal এর মাধ্যমে ইনকাম তুলতে পারা যায়, যা অনেকেই বাংলাদেশে বিকাশে ট্রান্সফার করে থাকেন। এটি যারা নতুন মোবাইল ব্যবহারকারী, তাদের জন্য উপযোগী একটি ইনকাম প্ল্যাটফর্ম।
৩৪. MobileXpression – Share Mobile Data
MobileXpression এমন একটি অ্যাপ যা আপনার মোবাইলের ব্রাউজিং ও ইন্টারনেট ব্যবহার বিশ্লেষণ করে ডেটা সংগ্রহ করে এবং সেই বিনিময়ে আপনাকে উপহার দেয়। এটি মূলত একটি গবেষণা ভিত্তিক অ্যাপ।
এই অ্যাপ ইনস্টল করার পর এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে এবং আপনার ব্রাউজিং ডেটা এনালাইসিস করে। আপনি সপ্তাহে ১–২ বার রিওয়ার্ড পাবেন, যা ক্যাশ কিংবা গিফট কার্ড হিসেবে পেতে পারেন।
আপনার প্রাইভেসি নিশ্চিত রাখতে অ্যাপটি আপনার পার্সোনাল ডেটা বা মেসেজ পড়ার মতো কাজ করে না। এটি মূলত বড় বড় মার্কেটিং কোম্পানির গবেষণার জন্য ব্যবহৃত হয়। সেফ, প্যাসিভ ইনকামের একটি ভালো মাধ্যম এটি।
৩৫. Earnably – Quick Tasks for Quick Cash
Earnably একটি দ্রুত পেমেন্ট করা GPT ওয়েবসাইট, যেখানে আপনি ভিডিও দেখা, অফার পূরণ, অ্যাপ ডাউনলোড, মিউজিক শোনা এবং ছোট টাস্ক করে ইনকাম করতে পারেন। এটি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ইনস্ট্যান্ট PayPal পেমেন্টের কারণে।
এই সাইটে কাজ শুরু করতে হলে শুধুমাত্র একটি ফ্রি একাউন্ট খুললেই হবে। প্রতিটি কাজ শেষে আপনি পয়েন্ট পাবেন, এবং মাত্র $1 রিডিম করে নিতে পারবেন PayPal এ। আপনি চাইলে Amazon, iTunes বা Prepaid Visa গিফট কার্ডেও পেমেন্ট নিতে পারেন।
Earnably-তে রেফারেল প্রোগ্রামও রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি আজীবন কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। এটি যারা সময় কম দিয়ে প্যাসিভ ও ছোট ছোট ইনকাম খুঁজছেন তাদের জন্য আদর্শ প্ল্যাটফর্ম।
৩৬. Rewardia – Earn from Games, Quizzes & Surveys
Rewardia হলো একটি মাল্টি-অপশন ইনকাম সাইট, যেখানে আপনি গেম খেলতে পারেন, কুইজের উত্তর দিতে পারেন, এবং সার্ভে পূরণ করে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এটি অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে বেশি জনপ্রিয় হলেও অন্যান্য দেশ থেকেও ব্যবহার করা যায়। এই সাইটে প্রতিটি কার্যক্রমের মাধ্যমে আপনি “Reward Points” অর্জন করবেন, যেগুলো নির্দিষ্ট সংখ্যায় পৌঁছালে আপনি PayPal ক্যাশ বা Gift Card এ রিডিম করতে পারবেন।
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, আপনি নিজের পছন্দের কুইজ বা গেম বেছে নিতে পারেন। Rewardia র লয়ালটি রিওয়ার্ড ও রেফারেল সিস্টেম রয়েছে যা আপনাকে নিয়মিত ব্যবহার করলে অতিরিক্ত ইনকামের সুযোগ দেয়।
একবার শুরু করলে, দিনে ২০–৩০ মিনিট ব্যয় করেই আপনি ভালো একটা প্যাসিভ ইনকাম তৈরি করতে পারবেন।
৩৭. Panel Station – Opinion Surveys for Cash
Panel Station একটি গ্লোবাল সার্ভে সাইট, যেখানে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন কোম্পানির পণ্যের বিষয়ে মতামত দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এটি মূলত রিসার্চ কোম্পানিগুলোর জন্য কাজ করে যারা বাজার বিশ্লেষণ করতে চায়। আপনি রেজিস্ট্রেশন করার সময় কিছু প্রোফাইল তথ্য দিয়ে থাকবেন, যাতে আপনাকে উপযুক্ত সার্ভে পাঠানো হয়।
প্রতিটি সার্ভে ৮–১৫ মিনিট সময় নেয় এবং প্রতিবার আপনি ৩০০–৫০০ পয়েন্ট পর্যন্ত পেতে পারেন। এই পয়েন্টগুলো আপনি PayPal, Flipkart, বা Amazon গিফট কার্ডে রিডিম করতে পারবেন।
বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা মূলত PayPal এর মাধ্যমে ইনকাম করে তা বিকাশে রূপান্তর করছেন। এটি বিশ্বাসযোগ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী ইনকামের জন্য কার্যকর একটি উপায়।
আরও পড়ুনঃ বিকাশে গেম খেলে টাকা ইনকাম
৩৮. TimeBucks – Multi-Task Earning Platform
TimeBucks (বর্তমানে Paidwork নামে পরিচিত হলেও পুরাতন নামে এখনও অনেকেই চেনে) এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনি নানা ধরণের কাজ করতে পারেন, যেমন: ভিডিও দেখা, ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা, সাইন আপ, টিকটক ভিডিও দেখা, কন্টেন্ট শেয়ার ইত্যাদি।
এখানে প্রতিটি টাস্কের জন্য নির্দিষ্ট পেমেন্ট নির্ধারিত থাকে এবং কিছু কাজ একবারেই ১–৫ ডলার পর্যন্ত ইনকাম দিতে পারে। তাদের “Daily Checklist” পূরণ করলেও বোনাস পাওয়া যায়।
TimeBucks থেকে ইনকাম করা যায় Payeer, Skrill, Bitcoin বা TransferWise এর মাধ্যমে, এবং বাংলাদেশের ইউজাররা সাধারণত এসব প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিকাশে টাকা তুলেন। যারা বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এটি খুবই উপযোগী।
৩৯. Zap Surveys – Paid Surveys with Cash Back
Zap Surveys একটি সার্ভে ভিত্তিক অ্যাপ, যা শুরুতেই $৬ পর্যন্ত বোনাস দেয়। এটি অন্যান্য সার্ভে অ্যাপের তুলনায় একটু বেশি পে করে এবং নির্ভরযোগ্য কোম্পানির সাথে যুক্ত।
এই অ্যাপে আপনি প্রতিদিন “Daily Survey” ও “Location-Based Survey” পেতে পারেন। এর পাশাপাশি, কিছু ক্ষেত্রে আপনি ক্যাশব্যাক অফার ও বিজ্ঞাপন দেখেও ইনকাম করতে পারেন। প্রতিটি সম্পূর্ণ করা সার্ভের জন্য পেমেন্ট হয় $০.৫০–২.০০ পর্যন্ত।
Zap Surveys থেকে ইনকাম তুলতে পারবেন PayPal-এর মাধ্যমে, এবং কিছু গিফট কার্ড অপশনও রয়েছে। অ্যাপটি ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং যারা দিনে ৩০ মিনিটের মতো সময় দিতে পারেন তাদের জন্য আদর্শ।
৪০. Skillz Platform – Competitive Game Tournaments
Skillz একটি গেমিং কম্পিটিশন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি বাস্তব অর্থের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ইনকাম করতে পারেন। এটি কিছু জনপ্রিয় গেমের মাধ্যমে ইউজারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করে এবং বিজয়ীদের নগদ অর্থ দেয়।
Skillz-এর অ্যাপগুলো (যেমন: 21 Blitz, Solitaire Cube, Bubble Shooter) আপনাকে অনুশীলনের সুযোগ দেয় এবং তারপর আপনি বাস্তব প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারেন। কিছু গেমে ফ্রি এন্ট্রি রয়েছে, আবার কিছুতে ছোট অঙ্কের এন্ট্রি ফি দিতে হয়।
Skillz পেমেন্ট দেয় PayPal ও অন্যান্য ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে। অনেক বাংলাদেশি গেমার এখন এ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আয় করছেন এবং এজেন্টদের মাধ্যমে বিকাশে টাকা তুলছেন।
এটি যারা ভালো গেম খেলতে পারেন, তাদের জন্য মোবাইল গেমের মাধ্যমে ফ্রি টাকা ইনকামের অসাধারণ মাধ্যম।
FAQs: ফ্রি টাকা ইনকাম | ৪০টি ফ্রি টাকা ইনকাম apps
১. ফ্রি টাকা ইনকাম কি সত্যিই সম্ভব?
হ্যাঁ, ফ্রি টাকা ইনকাম করা সম্ভব, তবে এটি এক রাতের মধ্যে বড় অঙ্কে টাকা আনার মতো নয়। বেশিরভাগ ফ্রি ইনকাম পদ্ধতি ছোট ছোট কাজ, সার্ভে, ভিডিও দেখা বা গেম খেলা দ্বারা হয়। নিয়মিত ও ধারাবাহিক কাজ করলে অল্প সময় ও পরিশ্রমে আয় করা যায়।
অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো সাধারণত পেমেন্ট করতে পছন্দ করে PayPal, Payoneer বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে। বাংলাদেশে সরাসরি PayPal না থাকলেও এক্সচেঞ্জার ও এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশে টাকা নেওয়া যায়।
২. ফ্রি টাকা ইনকাম করতে কি কোনো টাকা খরচ করতে হয়?
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ফ্রি ইনকাম করতে কোনো ধরনের আর্থিক বিনিয়োগ বা টাকা খরচ করার দরকার হয় না। তবে কিছু সাইট বা অ্যাপ মাঝে মাঝে প্রিমিয়াম ফিচার বা দ্রুত পেমেন্ট পাওয়ার জন্য পেইড সাবস্ক্রিপশন অফার করে।
সতর্ক থাকুন, যেখানে টাকা দিয়ে বেশি ইনকাম করার প্রলোভন দেখানো হয়, সেসব অনেক সময় স্ক্যাম বা প্রতারণা হতে পারে। সুতরাং যাচাই-বাছাই করে বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা জরুরি।
৩. কত দ্রুত আমি পেমেন্ট পেতে পারি?
অনেক প্ল্যাটফর্মে মিনিমাম উইথড্রয়াল মানি থাকে, যা সাধারণত $১ থেকে $১০ পর্যন্ত হতে পারে। কাজের পর পেমেন্ট প্রসেস হতে সময় লাগতে পারে ২৪ ঘণ্টা থেকে ৭ দিন পর্যন্ত।
কিছু সাইট ইনস্ট্যান্ট পেমেন্ট দেয়, যেখানে পেমেন্ট মিনিটের মধ্যে পাওয়া যায়। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় করার পর উইথড্রয়াল রিকোয়েস্ট করতে হয়।
৪. বাংলাদেশ থেকে কি আমি PayPal এ টাকা নিতে পারি?
বাংলাদেশে PayPal সাপোর্ট না করলেও, আপনি বিদেশি পরিচিত বা Agent-এর মাধ্যমে PayPal ব্যালেন্স বিকাশ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রূপান্তর করতে পারেন।
আরো কিছু বিকল্প পেমেন্ট মাধ্যম হলো Payoneer, Skrill, Payeer, যা অনেক প্ল্যাটফর্ম সাপোর্ট করে।
৫. ফ্রি ইনকামের জন্য কি আমার বিশেষ কোনো স্কিল থাকা প্রয়োজন?
অধিকাংশ ফ্রি ইনকাম কাজ যেমন সার্ভে, ভিডিও দেখা, অ্যাপ ডাউনলোড ইত্যাদির জন্য কোনো বিশেষ স্কিল দরকার হয় না। তবে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা কন্টেন্ট ক্রিয়েশন করেন, তাহলে ইনকামের সুযোগ আরও বৃদ্ধি পায়।
স্কিল ছাড়াই কাজ শুরু করতে চাইলে প্রথমে ছোট ছোট কাজগুলো চেষ্টা করতে পারেন। ধৈর্য ও নিয়মিত সময় দিলে আয় বাড়ানো সম্ভব।
৬. অনলাইন ইনকামের সময় কি কোনো ঝুঁকি আছে?
অনলাইন ইনকাম করার সময় কিছু ঝুঁকি থাকতে পারে, যেমন: স্ক্যাম সাইট, ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার, বা অনিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে। তাই বিশ্বস্ত ও ভালো রিভিউ বিশিষ্ট সাইট/অ্যাপ ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ব্যাংক একাউন্ট, পাসওয়ার্ড, বা ফোন নম্বর কখনোই অজানা সাইটে শেয়ার করবেন না। সঠিক গাইডলাইন ও সতর্কতা অবলম্বন করুন।
৭. ফ্রি টাকা ইনকাম কি নিয়মিত আয়ের উৎস হতে পারে?
ফ্রি টাকা ইনকাম সাধারণত পার্ট-টাইম বা সাইড ইনকাম হিসেবে ভালো কাজ করে। এটি নিয়মিত ও বড় আয়ের পরিবর্তে ছোট ছোট আয় করতে সাহায্য করে। তবে সময় ও দক্ষতা বাড়ালে কিছু প্ল্যাটফর্মে মাসিক আয়ের সুযোগও তৈরি হয়।
যদি আপনি অনলাইন কাজের প্রতি ধৈর্যশীল ও পরিকল্পিত হন, তাহলে এটি নিয়মিত আয় করার উপযোগী মাধ্যম হতে পারে।
৮. অনলাইন ইনকাম করার জন্য কী ধরনের ডিভাইস প্রয়োজন?
অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য সাধারণত একটি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার লাগবে। বেশিরভাগ কাজ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে করা যায়, তবে কিছু ক্ষেত্রে ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ ব্যবহার করলে সুবিধা হয়,
বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং বা ডেটা এন্ট্রির জন্য। ইন্টারনেট সংযোগ অবশ্যই ভালো ও স্থিতিশীল হওয়া জরুরি। ধীরগতির ইন্টারনেট অনেক সময় কাজের গতি কমিয়ে দেয়।
৯. ফ্রি ইনকামের জন্য কি আমি বাংলাদেশ থেকে কোনো সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন হবো?
বাংলাদেশ থেকে বেশিরভাগ ফ্রি ইনকাম ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। তবে পেমেন্টের ক্ষেত্রে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, যেমন PayPal সরাসরি সাপোর্ট না করা।
তাই বাংলাদেশি ইউজাররা সাধারণত PayPal বা Payoneer ব্যালেন্স এক্সচেঞ্জার বা এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশে কনভার্ট করেন। এছাড়া Skrill, Payeer ইত্যাদি পেমেন্ট মাধ্যমও ব্যবহার করা যায়।
১০. কীভাবে ফ্রড বা স্ক্যাম থেকে নিজেকে রক্ষা করবো?
ফ্রড থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই অফিসিয়াল ও বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ শুরু করুন। যে সাইট বা অ্যাপ থেকে খুব বেশি অল্প সময়ের মধ্যে বিশাল ইনকাম করার প্রলোভন দেখায়, তা এড়িয়ে চলুন।
ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার সময় সতর্ক থাকুন। পেমেন্ট স্ক্রিনশট বা ইউজার রিভিউ দেখে যাচাই করে নিন।
১১. অনলাইন ইনকামের জন্য রেফারেল সিস্টেম কি কতটা কার্যকর?
অনেক ফ্রি ইনকাম প্ল্যাটফর্মে রেফারেল সিস্টেম থাকে যা আয়ের একটি বড় উৎস হতে পারে। আপনার বন্ধুবান্ধব বা পরিবারকে রেফার করলে আপনি কমিশন বা বোনাস পাবেন।
কিন্তু রেফারেল ইনকাম বাড়াতে হলে আপনাকে সত্যিকার অর্থেই তাদের সাহায্য ও গাইড করতে হবে। শুধু লিঙ্ক শেয়ার করলেই কাজ হয় না।
১২. আমি কি একসাথে একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারি?
অবশ্যই! একাধিক প্ল্যাটফর্ম থেকে একই সাথে কাজ করা যায়, যা আপনার ইনকাম বাড়ানোর সুযোগ করে দেয়। তবে সময় এবং মনোযোগ সঠিকভাবে ভাগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রতিদিন ১০০ টাকা আয়
প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিয়মকানুন বুঝে ও সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করলে আপনি ভালো ফল পাবেন।
১৩. কত সময় দিলে ভালো ইনকাম সম্ভব?
দৈনিক ১–২ ঘণ্টা সময় দিলেই আপনি শুরুতেই ভালো ইনকাম পেতে পারবেন। নিয়মিত ও ধারাবাহিক কাজ করলে আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
শুধু সময় নয়, কাজের দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ধৈর্য ধরে শিখতে থাকুন এবং নতুন নতুন প্ল্যাটফর্ম চেষ্টা করুন।
১৪. অনলাইন ইনকাম কি কর দিতে হবে?
বাংলাদেশে অনলাইন ইনকামেও কর দিতে হতে পারে, বিশেষ করে যদি তা মাসিক আয়ের বড় অংশ হয়। বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী আপনি আয়ের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিতে বাধ্য।
তাই বড় ইনকাম হলে আইনানুগ পরামর্শ নিয়ে কর ফাইল করা ও যথাযথ ট্যাক্স প্রদান করা উচিত।