সেরা ২০টি ইনকাম করার অ্যাপস
বাংলাদেশে এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেই ঘরে বসে ইনকাম করা সম্ভব। অনলাইনে বিভিন্ন ইনকাম করার অ্যাপ ব্যবহার করে সহজ কাজ, ভিডিও দেখা, সার্ভে পূরণ, লাইভে আসা কিংবা অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি করে প্রতিদিন আয় করা যায়।Daraz Seller, Likee Live, YouTube Shorts, Freecash, Toloka এর মতো নির্ভরযোগ্য অ্যাপগুলো বাংলাদেশে জনপ্রিয় এবং বিকাশ, নগদ বা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের সুবিধা দেয়।
যারা ছাত্র, গৃহিণী বা ফ্রিল্যান্সার, তাদের জন্য এই ইনকাম অ্যাপগুলো হতে পারে ঘরে বসে উপার্জনের সবচেয়ে সহজ উপায়।
সেরা ২০টি ইনকাম করার অ্যাপস?
নিচে সেরা ২০টি ইনকাম করার অ্যাপস সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. Fiverr – ফ্রিল্যান্সিং ইনকাম
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে Fiverr বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়। এখানে আপনি আপনার স্কিল যেমন: আর্টিকেল রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি, লোগো ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।
একজন নতুন ইউজার শুরুতে দিনে কয়েকশ টাকা আয় করতে পারলেও, ধীরে ধীরে অভিজ্ঞতা বাড়লে দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। Fiverr থেকে ইনকাম ডলার আকারে আসে।
আপনি তা Payoneer এর মাধ্যমে উত্তোলন করে খুব সহজেই বিকাশ বা নগদে নিতে পারবেন। অনেকেই এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ফুলটাইম ক্যারিয়ারও গড়ে তুলেছেন। তবে এখানে সফল হতে হলে কিছুটা সময়, ধৈর্য ও পেশাদারিত্ব প্রয়োজন।
২. Bohubrihi – শিক্ষামূলক ইনকাম অ্যাপ
বাংলাদেশি অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্ম Bohubrihi আপনাকে আয়ের সুযোগ দেয়। এখানে শিক্ষক বা বিশেষজ্ঞরা তাদের কোর্স আপলোড করে, যা শিক্ষার্থীরা কিনে শিখতে পারে।
আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন, যেমন ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, গ্রাফিক্স, কিংবা ভাষা শেখানো তবে কোর্স তৈরি করে আয় করতে পারবেন। Bohubrihi আপনাকে রেভিনিউ শেয়ার দেয়।
সঠিকভাবে প্রচার করতে পারলে কোর্স বিক্রি থেকে মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। এখানেও আয়ের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে আসে, যা পরবর্তীতে বিকাশে নেওয়া যায়।
৩. Toloka – মাইক্রো টাস্ক ইনকাম
Toloka হলো একটি আন্তর্জাতিক মাইক্রো-টাস্কিং অ্যাপ। এখানে আপনাকে সহজ কিছু কাজ করতে হয়, যেমন: সার্ভে ফর্ম পূরণ, ছবি ট্যাগ করা, ডাটা সংগ্রহ বা ক্যাপচা এন্ট্রি।
প্রতিটি কাজের জন্য ছোট অঙ্কের টাকা পাওয়া যায়। তবে নিয়মিত কাজ করলে দৈনিক ৫০০–১০০০ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই প্ল্যাটফর্ম PayPal বা Payoneer এর মাধ্যমে টাকা পাঠায়।
সেখান থেকে সহজেই বিকাশ বা নগদে ট্রান্সফার করতে পারবেন। নতুনদের জন্য এটি ভালো একটি পার্ট-টাইম ইনকাম সোর্স।
৪. Daraz Seller – প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম
Daraz বর্তমানে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম। শুধু ক্রেতার জন্য নয়, বিক্রেতাদের জন্যও এটি একটি দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে।
Daraz Seller App এর মাধ্যমে আপনি নিজস্ব পণ্য বিক্রি করে প্রতিদিনই ভালো অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন। যদি সঠিক প্রোডাক্ট বাছাই করেন, তবে প্রতিদিন ১০০০ টাকা ইনকাম করা খুব একটা কঠিন হবে না।
প্রথমদিকে বিক্রি কম হলেও নিয়মিত প্রচার, মানসম্মত পণ্য এবং দ্রুত ডেলিভারি সার্ভিস দিয়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করলে আপনার ইনকাম কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
আয়ের টাকা Daraz থেকে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়, যা পরবর্তীতে সহজেই বিকাশে তুলতে পারবেন।
৫. Likee & TikTok – লাইভ স্ট্রিমিং ও গিফট ইনকাম
বাংলাদেশে TikTok ও Likee বর্তমানে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে ছোট ভিডিও বানিয়ে ফলোয়ার বাড়াতে পারলে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে ফ্যানদের কাছ থেকে গিফট পাওয়া যায়।
এই গিফটগুলো পরবর্তীতে কয়েনে কনভার্ট হয়ে ডলারে উত্তোলন করা যায়। যারা নিয়মিত ক্রিয়েটিভ ভিডিও তৈরি করেন তারা দিনে ১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন।
তবে এর জন্য ধারাবাহিকভাবে মানসম্মত কনটেন্ট বানাতে হবে। ইনকাম PayPal/Payoneer এর মাধ্যমে পাওয়া যায় এবং সহজেই বিকাশে ট্রান্সফার করা যায়।
৬. Clickworker – মাইক্রো জব অ্যাপ
Clickworker একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে ছোট ছোট কাজ যেমন: টেক্সট লেখা, অনুবাদ, রিসার্চ বা ডাটা এন্ট্রি করে টাকা আয় করা যায়।
এই অ্যাপটি বাংলাদেশের ইউজারদের জন্যও উন্মুক্ত। যারা প্রতিদিন সময় দিতে পারেন, তাদের জন্য এটি ভালো একটি ইনকাম সোর্স। প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা কাজ করলে ৫০০–১০০০ টাকা ইনকাম সম্ভব।
টাকা PayPal বা SEPA ট্রান্সফারের মাধ্যমে পাওয়া যায়। PayPal থেকে সহজেই Payoneer হয়ে বিকাশে টাকা আনা যায়। নতুনদের জন্য এটি অনেক নির্ভরযোগ্য একটি প্ল্যাটফর্ম।
৭. Freecash – গেম খেলে টাকা ইনকাম
Freecash অ্যাপ মূলত গেম খেলে, সার্ভে পূরণ করে ও অফার কমপ্লিট করে ইনকাম করার সুযোগ দেয়। এটি বাংলাদেশের গেমপ্রেমী তরুণদের কাছে বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
প্রতিটি টাস্ক বা গেম খেলার জন্য নির্দিষ্ট কয়েন পাওয়া যায়, যা ডলার বা বিটকয়েনে কনভার্ট করা যায়। এই অ্যাপে সক্রিয় থাকলে দিনে ৫০০–১০০০ টাকা আয় সম্ভব।
Freecash এর ইনকাম PayPal বা ক্রিপ্টো ওয়ালেটের মাধ্যমে পাওয়া যায়। PayPal থেকে টাকা বিকাশে নেওয়া যায়, আবার বিটকয়েনও লোকাল এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে নগদে রূপান্তর করা যায়।
৮. Bkash App – রেফারেল ইনকাম
Bkash শুধু একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ নয়, বরং রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে ইনকাম করার একটি চমৎকার উপায়। অ্যাপটি মাঝেমধ্যে নতুন ইউজারদের জন্য রেফারেল অফার দিয়ে থাকে।
আপনি যদি কাউকে বিকাশে রেজিস্টার করান বা অ্যাপ ডাউনলোড করান, প্রতি রেফারে ৫০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারেন। প্রতিদিন যদি ২০ জনকে রেফার করতে পারেন, তবে সহজেই দিনে ১০০০ টাকা আয় সম্ভব।
যদিও এটি নিয়মিত আয় নয়, তবে সঠিক সময়ে রেফারেল ক্যাম্পেইন ব্যবহার করলে ভালো পরিমাণ টাকা হাতে আসবে। আর ইনকাম সরাসরি বিকাশ ওয়ালেটেই জমা হয়, তাই ক্যাশ আউট করা একদম সহজ।
৯. Swagbucks – ভিডিও ও সার্ভে করে ইনকাম
Swagbucks একটি আন্তর্জাতিক ইনকাম প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ভিডিও দেখা, সার্ভে পূরণ, গেম খেলা কিংবা শপিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। বাংলাদেশ থেকেও এটি ব্যবহার করা সম্ভব।
প্রতিটি কাজের জন্য আপনাকে পয়েন্ট দেওয়া হয়, যেটি পরবর্তীতে PayPal ক্যাশ বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়। যারা নিয়মিত সময় দেন, তারা দিনে ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
অনেকেই শুধু ভিডিও দেখে বা সার্ভে পূরণ করে মাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করছেন। PayPal থেকে টাকা সহজেই Payoneer হয়ে বিকাশে নেওয়া যায়।
১০. ShopUp – অনলাইন ব্যবসা অ্যাপ
ShopUp হলো একটি বাংলাদেশি অ্যাপ যেখানে ছোট ব্যবসায়ীরা অনলাইনে নিজেদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এটি মূলত রিসেলারদের জন্য উপযোগী।
আপনি চাইলে অন্যদের পণ্য বিক্রি করে কমিশন ইনকাম করতে পারবেন। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদিন ১০০০ টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে নিয়মিতভাবে সঠিক প্রোডাক্ট সিলেক্ট করে প্রচার করতে হবে।
ShopUp থেকে সরাসরি ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা তোলা যায়। যারা ব্যবসা করতে চান কিন্তু আলাদা দোকান খুলতে পারছেন না, তাদের জন্য এটি সেরা সুযোগ।
আরও পড়ুনঃ সেরা ৪২টি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
১১. Bitcoin Pop – গেম খেলে ইনকাম
Bitcoin Pop একটি জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপ। এখানে গেম খেলে কয়েন জেতা যায়, যা পরবর্তীতে বিটকয়েনে রূপান্তরিত হয়। এরপর সেই বিটকয়েন লোকাল এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে বিকাশ বা নগদে তুলে নিতে পারবেন।
এই অ্যাপটি ৫০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছে এবং এর রেটিং ৪.৩ স্টার। প্রতিদিন নিয়মিত খেললে ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম সম্ভব। তবে শুধু গেম খেলে পূর্ণকালীন আয় করা কঠিন, তাই এটি পার্ট-টাইম ইনকামের জন্য ভালো।
১২. Survey Junkie – সার্ভে ইনকাম অ্যাপ
Survey Junkie মূলত মার্কেট রিসার্চ কোম্পানিগুলোর জন্য সার্ভে সংগ্রহ করে। এখানে ইউজাররা বিভিন্ন ধরনের সার্ভে পূরণ করে টাকা আয় করতে পারেন।
প্রতিটি সার্ভের জন্য নির্দিষ্ট ডলার পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে সার্ভে সংখ্যা কিছুটা সীমিত হলেও, নিয়মিত সময় দিয়ে প্রতিদিন ৫০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।
পেমেন্ট PayPal এর মাধ্যমে পাওয়া যায়, যা সহজেই Payoneer হয়ে বিকাশে নেওয়া যায়। সার্ভে করতে যাদের আগ্রহ বেশি, তাদের জন্য এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম।
১৩. 10 Minute School App – অনলাইন কোর্স বিক্রি
বাংলাদেশে অনলাইন শিক্ষা প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে 10 Minute School সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই অ্যাপে মূলত ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন শিক্ষামূলক কোর্স, লাইভ ক্লাস এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম থাকে।
আপনি যদি কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, তবে এখানে কোর্স তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন। অনেক শিক্ষক ও ট্রেইনার এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিয়মিত ইনকাম করছেন।
একবার কোর্স বানালে তা অনেক শিক্ষার্থী কিনতে পারে, ফলে প্যাসিভ ইনকামও সম্ভব। আয়কৃত টাকা ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ/নগদ) মাধ্যমে পাওয়া যায়।
১৪. Toloka – মাইক্রো টাস্ক ও ক্যাপচা ইনকাম
Toloka হলো একটি আন্তর্জাতিক মাইক্রো টাস্ক অ্যাপ, যেখানে বিভিন্ন সহজ কাজ যেমন: ক্যাপচা পূরণ, ছবি যাচাই, সার্ভে উত্তর দেওয়া বা ডাটা সংগ্রহের কাজ পাওয়া যায়। প্রতিটি টাস্ক ছোট অঙ্কের হলেও নিয়মিত কাজ করলে দিনে ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব।
বাংলাদেশ থেকেও এটি ব্যবহার করা যায় এবং PayPal/Payoneer এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। তারপর সহজেই বিকাশ বা নগদে আনা সম্ভব। নতুনদের জন্য এটি নির্ভরযোগ্য একটি ইনকাম সোর্স।
১৫. YouTube Shorts – ভিডিও বানিয়ে আয়
বর্তমানে YouTube Shorts বাংলাদেশে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে। এখানে ছোট ছোট ভিডিও বানিয়ে ভিউ, সাবস্ক্রাইবার এবং মনিটাইজেশনের মাধ্যমে আয় করা যায়।
এছাড়া ব্র্যান্ড স্পন্সরশিপ ও প্রোডাক্ট প্রমোশনের মাধ্যমে বাড়তি ইনকামও সম্ভব। নিয়মিত ভিডিও বানালে এবং ভাইরাল কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে দিনে ১০০০ টাকা ইনকাম করা কোনো সমস্যা নয়।
ইউটিউব থেকে ইনকাম মূলত Google AdSense এর মাধ্যমে আসে, যা ব্যাংকে যায় এবং সেখান থেকে বিকাশ বা নগদে তোলা যায়।
১৬. Ad Watching Apps – বিজ্ঞাপন দেখে আয়
বাংলাদেশে অনেক অ্যাপ আছে যেখানে বিজ্ঞাপন দেখে বা ভিডিও দেখে ইনকাম করার সুযোগ থাকে। এ ধরনের অ্যাপে প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার জন্য কিছু কয়েন দেওয়া হয়, যা পরবর্তীতে ডলারে রূপান্তরিত হয়।
তবে এখানে ইনকাম তুলনামূলক কম হয়। প্রতিদিন অনেকগুলো বিজ্ঞাপন দেখলে সর্বোচ্চ ৫০০–১০০০ টাকা পর্যন্ত আয় সম্ভব। কিছু অ্যাপ সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট দেয়, আবার কিছু PayPal/Payoneer ব্যবহার করে। তবে সাবধান থাকতে হবে, কারণ সব অ্যাপ নির্ভরযোগ্য হয় না।
১৭. AjkerDeal Seller App – অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রি
বাংলাদেশের অন্যতম বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম হলো AjkerDeal। এই অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই প্রোডাক্ট লিস্ট করে অনলাইনে বিক্রি করা যায়। বিশেষ করে যারা ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান, তাদের জন্য এটি বেশ উপযোগী।
আপনি চাইলে নিজের তৈরি পণ্য বা পাইকারি মার্কেট থেকে আনা জিনিস বিক্রি করতে পারবেন। প্রতিটি সেল থেকে কমিশন বাদ দিয়ে বাকি টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে যোগ হয়।
নিয়মিত বিক্রি করতে পারলে মাসে ভালো অঙ্কের আয় সম্ভব। টাকা সরাসরি ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে উত্তোলন করা যায়, ফলে এটি খুবই সুবিধাজনক।
১৮. Likee Live – গিফট রিসিভ করে আয়
বাংলাদেশে ছোট ভিডিও অ্যাপ Likee অনেক জনপ্রিয়। বিশেষ করে লাইভে আসার মাধ্যমে এখানে ইনকাম করার ভালো সুযোগ আছে। যখনই আপনি লাইভে থাকবেন, তখন দর্শকরা গিফট পাঠাতে পারে।
এই গিফট ডায়মন্ড আকারে জমা হয়, যা পরে ডলারে কনভার্ট করা যায়। অনেক তরুণী ও কন্টেন্ট ক্রিয়েটর নিয়মিত লাইভে এসে উল্লেখযোগ্য ইনকাম করছেন।
প্রতিদিন ২–৩ ঘন্টা লাইভ করলে এবং দর্শক ধরে রাখতে পারলে মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। আয়ের টাকা Payoneer বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়।
১৯. Freecash Survey – সার্ভে ও গেম খেলে আয়
Freecash একটি আন্তর্জাতিক GPT (Get Paid To) প্ল্যাটফর্ম, যেখানে সার্ভে পূরণ, ছোট গেম খেলা ও অফার কমপ্লিট করার মাধ্যমে আয় করা যায়। কাজগুলো খুব বেশি কঠিন নয়, তবে কিছুটা সময় লাগে।
বাংলাদেশ থেকেও এটি ব্যবহার করা সম্ভব এবং ইনকাম সরাসরি PayPal, Payoneer বা গিফটকার্ডে পাওয়া যায়। যারা ফাঁকা সময়ে মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য এটি নির্ভরযোগ্য একটি অ্যাপ।
২০. EarnKaro – অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অ্যাপ
ভারত ও বাংলাদেশে জনপ্রিয় একটি অ্যাফিলিয়েট অ্যাপ হলো EarnKaro। এখানে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের প্রোডাক্ট লিংক শেয়ার করে কমিশন পাওয়া যায়।
উদাহরণস্বরূপ, Daraz বা Amazon এর প্রোডাক্ট লিংক শেয়ার করে কেউ যদি কিনে, তাহলে আপনার কমিশন জমা হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনেকদিন ধরে অনলাইনে ইনকামের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে পরিচিত।
EarnKaro নতুনদের জন্য সহজ, কারণ শুধু লিংক শেয়ার করলেই ইনকাম শুরু হয়। আয়ের টাকা Paytm বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পাওয়া যায়, যা পরে বিকাশ বা নগদে আনা যায়।
আরও পড়ুনঃ গুগল ভয়েস থেকে ইনকাম | গুগল ভয়েস দিয়ে ইনকাম
FAQs: সেরা ২০টি ইনকাম করার অ্যাপস
প্রশ্ন ১: বাংলাদেশে কোন কোন ইনকাম অ্যাপ সবচেয়ে জনপ্রিয়?
উত্তর: বাংলাদেশে জনপ্রিয় ইনকাম অ্যাপগুলোর মধ্যে Daraz Seller Center, 10 Minute School, Likee Live, TikTok Creator Fund, YouTube Shorts, Freecash, Toloka ইত্যাদি রয়েছে। এগুলোতে সার্ভে, ভিডিও বানানো, প্রোডাক্ট বিক্রি বা লাইভ গিফটের মাধ্যমে আয় করা যায়।
প্রশ্ন ২: সব ইনকাম অ্যাপ কি সত্যিই টাকা দেয়?
উত্তর: না, সব অ্যাপ নির্ভরযোগ্য নয়। কিছু অ্যাপ স্ক্যাম হতে পারে। তাই সর্বদা Play Store বা App Store থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে এবং ব্যবহারকারীদের রিভিউ দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। Daraz, Likee, YouTube, Toloka ইত্যাদি নির্ভরযোগ্য অ্যাপ।
প্রশ্ন ৩: এসব অ্যাপ থেকে আয় করা টাকা কিভাবে পাওয়া যায়?
উত্তর: বেশিরভাগ অ্যাপ PayPal, Payoneer বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পেমেন্ট দেয়। বাংলাদেশে Payoneer ব্যবহার করে সহজেই টাকা বিকাশ বা নগদে আনা যায়। কিছু স্থানীয় অ্যাপ যেমন Daraz বা AjkerDeal সরাসরি ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিংয়ে টাকা পাঠায়।
প্রশ্ন ৪: দিনে কত টাকা আয় করা সম্ভব?
উত্তর: এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে অ্যাপের ধরন ও কাজের পরিমাণের ওপর। সার্ভে ও টাস্ক অ্যাপে দিনে ২০০–৫০০ টাকা, ভিডিও বা কনটেন্ট ক্রিয়েশনে দিনে ১০০০ টাকারও বেশি ইনকাম সম্ভব। তবে নিয়মিত সময় দেওয়া ও দক্ষতা অর্জন করা জরুরি।
প্রশ্ন ৫: মোবাইল দিয়ে কি সত্যিই ফুলটাইম ইনকাম করা সম্ভব?
উত্তর: হ্যাঁ, মোবাইল দিয়েও ফুলটাইম ইনকাম করা যায় যদি আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর, ফ্রিল্যান্সার বা অনলাইন সেলার হিসেবে কাজ করেন।
অনেকেই TikTok, YouTube বা Daraz Seller এর মাধ্যমে মাসে লাখ টাকারও বেশি আয় করছেন। তবে এটি করতে ধারাবাহিক পরিশ্রম ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রয়োজন।