ভিসা

অস্ট্রিয়া বেতন কত | অস্ট্রিয়া ভিসার দাম কত

অস্ট্রিয়া মধ্য ইউরোপের একটি সমৃদ্ধ এবং সংস্কৃতিতে ভরপুর দেশ। এর রাজধানী ভিয়েনা (Vienna) ইউরোপের অন্যতম উন্নত ও বসবাসযোগ্য শহর হিসেবে পরিচিত।অস্ট্রিয়া বেতন কত | অস্ট্রিয়া ভিসার দাম কতপ্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি নাগরিক কর্মসংস্থান, শিক্ষাগ্রহণ ও উন্নত জীবনের আশায় অস্ট্রিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।

অস্ট্রিয়া যাওয়ার উপায়?

বৈধভাবে অস্ট্রিয়া যেতে হলে অবশ্যই সঠিক ভিসা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য নিম্নোক্ত ভিসা ক্যাটাগরিগুলো প্রযোজ্যঃ

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • পরিবার সংযুক্তিকরণ ভিসা
  • ট্যুরিস্ট ভিসা

সরকারি উপায়ঃ

বাংলাদেশ সরকারের বিদেশে কর্মসংস্থান সংস্থা BOESL (বোয়েসেল) মাঝে মাঝে সরকারি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মাধ্যমে অস্ট্রিয়ায় পাঠানোর সুযোগ করে দেয়। এসব ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হয় এবং প্রক্রিয়া পুরোপুরি বৈধভাবে সম্পন্ন হয়।

বেসরকারি উপায়ঃ

বিভিন্ন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিদেশগামী রিক্রুটিং এজেন্সি কিংবা ইউরোপে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সহায়তায় বৈধভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ব্যবস্থা করা যায়।

অস্ট্রিয়া ভিসা আবেদনের নিয়মাবলী?

বর্তমানে অস্ট্রিয়া ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। আবেদন করতে হলে আপনাকেঃ

  • অস্ট্রিয়ান দূতাবাস বা ভিএফএস (VFS) গ্লোবালের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
  • নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে ফি প্রদান করতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
  • সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ করে দূতাবাসে উপস্থিত হতে হবে।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?

ভিসার ধরন অনুযায়ী কিছু ভিন্নতা থাকলেও সাধারণভাবে যেসব দলিলপত্র প্রয়োজন তা হলোঃ

  • ছয় মাস মেয়াদি বৈধ পাসপোর্ট
  • সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ)
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট
  • জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
  • শিক্ষাগত সনদপত্র (যথাযথ ক্যাটাগরির জন্য)
  • নিয়োগপত্র বা ওয়ার্ক পারমিট ডকুমেন্টস (ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে)

বিশেষ ভিসার জন্য অতিরিক্ত কাগজপত্রঃ

  • ড্রাইভিং ভিসা – আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • স্টুডেন্ট ভিসা – ইউনিভার্সিটির অফার লেটার, ফান্ডিং/স্কলারশিপ প্রমাণ

অস্ট্রিয়া বেতন কত?

কর্মসংস্থানের ধরন ও দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারিত হয়ঃ

  • সাধারণ শ্রমিক – প্রায় ১২০০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৫২,০০০ টাকা)
  • দক্ষ শ্রমিক – ১৫০০ ইউরো বা তার বেশি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৯০,০০০ টাকা)

ভিসা এবং ভ্রমণ খরচ?

ভিসা ও ট্রাভেল খরচ কিছুটা পরিবর্তনশীল, তবে সাধারণত নিচের মতো হয়ঃ

সরকারি উপায়েঃ

  • ভিসা খরচ – ৬-৭ লাখ টাকা
  • সম্পূর্ণ খরচ – ৮-৯ লাখ টাকা

বেসরকারি উপায়েঃ

  • ভিসা খরচ – ৮-৯ লাখ টাকা
  • সম্পূর্ণ খরচ – ১০-১২ লাখ টাকা

ভ্রমণের সময়কাল

বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রিয়ায় পৌঁছাতে সাধারণত ১২ থেকে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। ট্রানজিটের সংখ্যার উপর ভিত্তি করে এ সময় কিছুটা বাড়তে পারে।

সতর্কতাঃ

বর্তমানে অনেক অসাধু এজেন্ট ও দালাল অল্প খরচে অবৈধভাবে অস্ট্রিয়া পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষকে প্রতারণা করছে। এই ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পা না দিয়ে শুধুমাত্র বৈধ উপায়ে যাচাইযোগ্য সংস্থা বা সরকারি মাধ্যম ব্যবহার করুন।

শেষ কথা

অস্ট্রিয়া ভ্রমণ বা বসবাসের জন্য সঠিক তথ্য ও আইনি প্রক্রিয়া জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিসা প্রক্রিয়া, কাগজপত্র, খরচ ও সতর্কতা সম্পর্কে পূর্ব পরিকল্পনা থাকলে নিরাপদ ও সাফল্যমণ্ডিত বিদেশ যাত্রা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button