বেলজিয়াম বেতন কত | বেলজিয়াম ভিসার দাম কত
বেলজিয়াম পশ্চিম ইউরোপের একটি উন্নত ও জনকল্যাণমুখী দেশ, যার রাজধানী ব্রাসেলস ইউরোপীয় ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ সদর দপ্তরগুলোর একটি।অনেক বাংলাদেশি বর্তমানে বেলজিয়ামে কাজ, পড়াশোনা বা বসবাসের উদ্দেশ্যে যেতে আগ্রহী। তবে বৈধ প্রক্রিয়ায় যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বেলজিয়াম যাওয়ার উপায়?
বৈধভাবে বেলজিয়াম যেতে চাইলে ভিসা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য নিম্নোক্ত ক্যাটাগরির ভিসা প্রযোজ্যঃ
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসা (Family Reunification)
- ট্যুরিস্ট ভিসা
সরকারি উপায়ে বেলজিয়াম যাত্রাঃ
বাংলাদেশ সরকারের বিদেশ কর্মসংস্থান ব্যুরো (BOESL) এর মাধ্যমে কিছু সময় চুক্তিভিত্তিক ওয়ার্ক পারমিটের সুযোগ পাওয়া যায়। তবে এই প্রক্রিয়ায় বেলজিয়ামের অনুমোদিত নিয়োগদাতা থাকতে হবে।
বেসরকারি উপায়ে বেলজিয়াম যাত্রাঃ
অনেক বাংলাদেশি ইউরোপে অবস্থানরত পরিচিতজন বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত এজেন্সির মাধ্যমে বেসরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট বা স্টুডেন্ট ভিসার মাধ্যমে বেলজিয়াম যান।
বেলজিয়াম ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া?
- বেলজিয়াম দূতাবাস বা VFS Global এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
- আবেদন ফর্ম পূরণ করুন ও আবেদন ফি জমা দিন।
- প্রয়োজনীয় দলিলপত্র স্ক্যান করে অনলাইনে সাবমিট করুন।
- নির্ধারিত তারিখে দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হবে।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?
সাধারণভাবে নিচের দলিলপত্র প্রয়োজন হয়ঃ
- বৈধ পাসপোর্ট (ন্যূনতম ৬ মাস মেয়াদি)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- মেডিকেল সার্টিফিকেট
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
- জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
- ওয়ার্ক পারমিট বা স্পন্সরের অফার লেটার (ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে)
- ভিসার আবেদন ফি জমার রশিদ
বিশেষ ক্যাটাগরির জন্য বাড়তি কাগজপত্র?
- ড্রাইভারদের জন্যঃ আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স
- স্টুডেন্টদের জন্যঃ ভর্তি নিশ্চিতকরণপত্র ও আর্থিক সহায়তার প্রমাণ
বেলজিয়াম বেতন কত?
- সাধারণ শ্রমিকঃ ১,২০০ – ১,৫০০ ইউরো (প্রায় ১,৫০,০০০ – ১,৯০,০০০ টাকা)
- দক্ষ কর্মীঃ ১,৬০০ ইউরো বা তার বেশি (প্রায় ২,০৫,০০০ টাকা)
ভিসা ও যাত্রা খরচ?
সরকারি উপায়েঃ
ভিসা ও অন্যান্য খরচঃ প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা
বেসরকারি উপায়েঃ
সম্পূর্ণ খরচঃ ১০-১২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে (এজেন্সির ফি সহ)
ভ্রমণ সময়কালঃ
ঢাকা থেকে ব্রাসেলস যেতে সাধারণত ১৬–২২ ঘণ্টা সময় লাগে, ট্রানজিট সংখ্যার উপর নির্ভর করে।
সতর্কতাঃ
অসাধু দালাল ও ভুয়া এজেন্সির প্রতারণা থেকে সাবধান থাকুন। সবসময় সরকারি অনুমোদিত এজেন্সি ও দূতাবাসের তথ্য যাচাই করে পদক্ষেপ নিন।
শেষ কথা
বেলজিয়ামে বৈধভাবে যেতে চাইলে প্রস্তুতি, সঠিক তথ্য ও কাগজপত্র থাকা অত্যন্ত জরুরি। সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নিলে একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব।