ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ ২০২৫
বর্তমান সময়ে ড্রোন ক্যামেরা অনেক জনপ্রিয় হয়েছ। ঝুঁকিপূর্ণ অনেক কাজ পরিচালনা করার জন্য ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার হয়ে থাকে। আজকের পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ড্রোন ক্যামেরা কি, ড্রোন ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে থাকে, ড্রোন ক্যামেরা দাম কত,ড্রোন ক্যামেরা বাংলাদেশ প্রাইস, এই সকল বিষয়গুলো সম্পর্কে। তাহলে চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাকঃ
ড্রোন ক্যামেরা কি?
ড্রোন ক্যামেরা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার মতো এক ধারণার ক্যামেরা। সিসি ক্যামেরা এক স্থানে থেকে ভিডিও ধারণ করতে পারলেও ড্রোন ক্যামেরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গিয়ে ভিডিও ধারণ করতে পারে।ড্রোন ক্যামেরা সাধারণত গোয়েন্দারা ব্যবহার করে থাকে। এটাকে এক ধরনের চলমান নজরদারি ক্যামেরাও বলা হয়ে থাকে।
ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ ২০২৫?
ড্রোন ক্যামেরার দাম কত বা কম দামে ভালো ড্রোন ক্যামেরা কোনটি এই নিয়ে অনেকের জানার আগ্রহ রয়েছে। বর্তমান বাজারে আপনারা অনেক ধরনের ড্রোন ক্যামেরা পেয়ে যাবেন এদের ফিচার অনুযায়ী দাম ভিন্ন।
মোটামুটি বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরা দাম এখনো অতটা সহনীয় পর্যায়ে আসেনি যে ইচ্ছা করলে যে কেউ কিনতে পারবেন। বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার তেমন করা হয় না কেননা ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহারের রয়েছে কিছু নিষেধাজ্ঞা।
তবে বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্য কিছু ড্রোন খেলনা ব্যবহার করতে দেখা যায়। যারা সরাসরি ড্রোন কিনতে চান শুটিংয়ের জন্য বা অন্যান্য কোন কাজের জন্য তারা চাইলে bdstall থেকে সরাসরি ড্রোন কিনতে পারেন। এখানে আপনারা অনেক উন্নত মানের ড্রোন পেয়ে যাবেন।
ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ | ড্রোন ক্যামেরা প্রাইস ইন বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরা তেমন একটা ব্যবহার করতে দেখা যায় না। তবে বাহিরের দেশে ড্রোন ক্যামেরা সচরাচর সব স্থানে ব্যবহার হয়ে থাকে। বাংলাদেশে মাঝেমধ্যে কিছু লোকের ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করতে দেখা যায়।
আর যারা ড্রোন ক্যামেরা কিনতে চান তাদের মধ্যে অনেকেই ড্রোন ক্যামেরা প্রাইস কত বাংলাদেশ এটা সম্পর্কে জানতে চান।যারা কম দামে ভালো ড্রোন ক্যামেরা খুজছেন তারা অবশ্যই নিচের ক্যামেরাগুলো দেখতে পারেন।
কম দামে সেরা ৪টি ড্রোন ক্যামেরা?
যারা কম দামে ভালো ড্রোন ক্যামেরা কিনতে চান তাদের জন্য নিচে সেরা কয়েকটি ড্রোন ক্যামেরা রিভিউ দেয়া হয়েছে। যদি ড্রোন ক্যামেরা কিনতে হয়, তাহলে নিচের ক্যামেরাগুলোর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি ড্রোন ক্যামেরা কিনে নিতে পারেন।
K3 Wi-Fi Drone with 4K Dual camera
যারা কম দামে ভালো ড্রোন ক্যামেরা খুজছেন তারা এই ক্যামেরাটি কিনতে পারেন।এই ক্যামেরাটি আপনারা বাংলাদেশের বাজার থেকে যদি কিনতে চান তাহলে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার মধ্যে হয়ে যাবে। যারা মিরপুর থেকে ক্যামেরাটি নিতে চান তাদের মোট খরচ হবে 5200 টাকা এবং যারা ঢাকা মালিবাগ থেকে ক্যামেরাটি নিতে চান তাদের 5300 খরচ হবে।
ক্যামেরাটিতে রয়েছে নিত্যনতুন নানান ধরনের ফিচার যা আপনাকে ব্যবহারকারীর সর্বোচ্চ সুবিধা দিবে। তাই যদি ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বা ভালো ড্রোন ক্যামেরা কিনতে চান তাহলে এটিকে টার্গেট করতে পারেন।
Traveler 3 drone with 4k camera
কম দামে ভালো ড্রোন ক্যামেরা গুলোর মধ্যে এই ক্যামেরাটি আমার খুবই পছন্দের। এই ক্যামেরাটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ৬০ মিনিটেই চার্জ সম্পন্ন হবে। ক্যামেরাটি তে ব্যবহার করা হয়েছে Lithium 7.4V 1100mAh ব্যাটারি।
তাছাড়া ক্যামেরাটির কন্ট্রোল ডিসটেন্স ক্ষমতা হচ্ছে 200m FPV Range 400m Control Range এর।ক্যামেরাটিতে জিপিএস সুবিধার পাশাপাশি অটোমেটিক বিউটি ফিচার রয়েছে।বাংলাদেশের বাজার থেকে যারা ক্যামেরাটি কিনতে চান তারা ৮০০০ টাকার কমেই ক্যামেরাটি পেয়ে যাবেন।
G2 3D Rolling Headless WIFI 4K Camera
কম দামে ড্রোন ক্যামেরা যাদের পছন্দ তাদের জন্য এই ক্যামেরাটি খুবই চমৎকার হতে পারে। ক্যামেরাটিতে ব্যবহার করা হয়েছে G2 ড্রোনের একটি ভাজ কাঠামো এবং একটি কম্প্যাক্ট বডি সাইজ রয়েছে যা ক্যামেরাটিকে খুবই সহজভাবে বহনযোগ্য করে তুলেছে।ক্যামেরাটিতে থাকা হেডলেস স্টাইল যেকোনো ধরনের বাধা ছাড়াই ক্যামেরাটিকে উপরে উড়তে সাহায্য করে থাকে।
তাছাড়া এতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০০০ এম্পিয়ার এর ব্যাটারি। তাছাড়া আরো অনেক অন্যান্য সুবিধাতো রয়েছেই।আকর্ষণীয় এই ক্যামেরাটি আপনারা বাংলাদেশের বাজারে ৮,৫০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন।
RS537 RC 4K Drone with Dual Camera
আপনি যদি নতুন ফিচারের ড্রোন ক্যামেরা খুজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই ক্যামেরাটি পারফেক্ট হতে পারে। ক্যামেরাটি আমি নিজে ব্যবহার করি এবং আমার কাছে খুবই অসাধারণ লেগেছে। শুধু তাই নয় এই ক্যামেরাটি নিত্য নতুন ফিচারের সাথে আপনি অনেক ধরনের সুবিধা পাবেন। যেমনঃ
- Real-time Video Transmitter তে Wi-Fi Transmission ব্যবহার করা হয়েছে।
- ক্যামেরাটির ফ্লাইট টাইম হচ্ছে ২০ মিনিট এবং এর চার্জিং টাইম ১২০ মিনিট।
- ক্যামেরাটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮০০ এম্পিয়ারের ব্যাটারি।
- ক্যামেরাটির মোট ওজন হচ্ছে ০.৫৮ কেজি এবং ক্যামেরাটির সেন্সর ফিচারে ব্যবহার করা হয়েছে Gyroscope।
যারা বাংলাদেশ তারা ঢাকা থেকে ৬০০০ টাকার মধ্যেই ক্যামেরাটি পেয়ে যাবেন।
Vivo ড্রোন ক্যামেরা দাম কত | ড্রোন ক্যামেরা প্রাইস ইন বাংলাদেশ দারাজ
vivo ড্রোন ক্যামেরা কেমন হবে এবং vivo ড্রোন ক্যামেরা দাম কত এই নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। তাই ভিভো ড্রোন ক্যামেরা ফোন সম্পর্কে অবশ্যই জানা জরুরী। vivo ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহারে আপনারা এমন এক ধরনের সুবিধা পাবেন যা অন্য কোন সময় আগে পাননি।
কেননা স্মার্টফোনে থাকা ক্যামেরাটি ড্রোন ক্যামেরার কাজ করবে এবং ভিডিও ধারণ করা হয়ে গেলে আবার ফোনে ফিরে আসবে। অসাধারণ এই ফোনটি ভিভো কোম্পানির।বাংলাদেশের যদি ভিভো কোম্পানির ড্রোন ক্যামেরা ফিচারসমূহ ফোন আসে তাহলে এর দাম হতে পারে এক লক্ষ টাকা।
শেষ কথা
আশা করি আজকের পোস্টটি যারা পড়েছেন তারা কম দামে ভালো ড্রোন ক্যামেরা বা ড্রোন ক্যামেরা দাম কত এই বিষয়ে সঠিক ধারণা পেয়েছেন। যাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ড্রোন ক্যামেরা দরকার তারা চাইলে উপরে দেওয়া অসাধারণ ক্যামেরা গুলোর মধ্যে থেকে যে কোন ক্যামেরা কিনতে পারেন। তারপরেও যদি এই বিষয়ে কোনো ধরনের প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে সরাসরি কমেন্ট করে জানাতে পারেন।