ভিসা

লিথুয়ানিয়া বেতন কত | লিথুয়ানিয়া ভিসার দাম কত

লিথুয়ানিয়া উত্তর-পূর্ব ইউরোপের একটি উন্নয়নশীল দেশ, যার রাজধানী ভিলনিয়াস। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এবং শেনজেন এরিয়াভুক্ত।লিথুয়ানিয়া বেতন কত | লিথুয়ানিয়া ভিসার দাম কতকৃষি, ম্যানুফ্যাকচারিং, হসপিটালিটি ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থানের কারণে এটি বাংলাদেশি অভিবাসীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

প্রতিবছর অনেক বাংলাদেশি নাগরিক জীবিকার খোঁজে লিথুয়ানিয়াতে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সঠিক প্রক্রিয়া জানা থাকলে বৈধভাবে সেখানে যাওয়া সহজ।

লিথুয়ানিয়া যাওয়ার উপায়?

বাংলাদেশিদের জন্য প্রযোজ্য প্রধান ভিসা ক্যাটাগরিসমূহঃ

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা
  • ফ্যামিলি রিইউনিফিকেশন ভিসা
  • ট্যুরিস্ট ভিসা

সরকারি উপায়ঃ

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে (যেমনঃ BOESL) সরাসরি লিথুয়ানিয়াতে যাওয়ার সরকারি চুক্তি নেই। তবে সরকারিভাবে কোনো সুযোগ এলে সরকারি ওয়েবসাইট বা সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়।

বেসরকারি উপায়ঃ

বিশ্বস্ত বিদেশি নিয়োগদাতা, ইউরোপে বসবাসরত পরিচিত ব্যক্তি অথবা রিক্রুটমেন্ট এজেন্সির মাধ্যমে ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্যই স্পন্সর এবং কোম্পানির সত্যতা যাচাই করা উচিত।

লিথুয়ানিয়া ভিসা আবেদনের নিয়মাবলী?

লিথুয়ানিয়া ভিসা বর্তমানে অনলাইনে এবং ভিএফএস গ্লোবাল (VFS Global) এর মাধ্যমে আবেদন করা যায়।

লিথুয়ানিয়া ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া?

  • অনলাইনে আবেদন ফর্ম পূরণ
  • আবেদন ফি পরিশোধ
  • প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত
  • সাক্ষাৎকারের তারিখ নির্ধারণ ও দূতাবাসে সাক্ষাৎকার
  • বাংলাদেশে সরাসরি লিথুয়ানিয়ার দূতাবাস না থাকায় সাধারণত ভারত, থাইল্যান্ড বা আরেকটি ইউরোপীয়
  • দেশের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?

  • ছয় মাস মেয়াদী বৈধ পাসপোর্ট
  • পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
  • মেডিকেল সার্টিফিকেট
  • জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনের কপি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ
  • নিয়োগপত্র/অফার লেটার (ওয়ার্ক ভিসার ক্ষেত্রে)
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফার লেটার (স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে)

অতিরিক্ত কাগজপত্র (বিশেষ ভিসার জন্য)

  • ওয়ার্ক ভিসাঃ কোম্পানির ইনভাইটেশন লেটার, লেবার কন্ট্রাক্ট, ট্যাক্স ক্লিয়ারেন্স
  • স্টুডেন্ট ভিসাঃ টিউশন ফি রসিদ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, অফার লেটার
  • ফ্যামিলি ভিসাঃ বিবাহ/জন্ম সনদ, রেসিডেন্ট কার্ড

লিথুয়ানিয়া বেতন কত?

সাধারণ শ্রমিকঃ ৮০০-১২০০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় ১-১.৫ লাখ টাকা)
দক্ষ শ্রমিকঃ ১৩০০-১৫০০ ইউরো বা তার বেশি (১.৭-২ লাখ টাকা পর্যন্ত)

ভিসা এবং ভ্রমণ খরচ?

বেসরকারি উপায়ে

  • ওয়ার্ক ভিসার খরচঃ ৮-৯ লাখ টাকা
  • সম্পূর্ণ খরচসহঃ ১০-১২ লাখ টাকা

স্টুডেন্ট ভিসা

টিউশন ফি ও আনুষঙ্গিক খরচসহ মোট খরচ প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা

ভ্রমণের সময়কাল?

বাংলাদেশ থেকে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে পৌঁছাতে সাধারণত ১৮-২২ ঘণ্টা সময় লাগে, রুট ও ট্রানজিটের উপর নির্ভর করে।

আরও পড়ুনঃ জার্মানি বেতন কত | জার্মানি ভিসার দাম কত

সতর্কতাঃ

লিথুয়ানিয়া নিয়ে প্রতারক দালাল চক্র সক্রিয়। তারা ভুয়া অফার লেটার ও ভিসা প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে। সবসময় যাচাইযোগ্য প্রতিষ্ঠান, এজেন্সি বা ভিসা কনসালট্যান্টের মাধ্যমে বিদেশ যাত্রা নিশ্চিত করুন।

শেষ কথা

লিথুয়ানিয়াতে বৈধ উপায়ে কাজ বা পড়াশোনার সুযোগ নিতে চাইলে সঠিক তথ্য, কাগজপত্র প্রস্তুতি এবং আর্থিক পরিকল্পনা থাকা জরুরি। নিরাপদ অভিবাসনের জন্য ধৈর্য ও সচেতনতা সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button