মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
বর্তমানে অর্থনৈতিক চাহিদা বাড়ছে এবং বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত আয় করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। অনেকে বেতনভুক্ত চাকরি ছাড়াও অতিরিক্ত আয় করতে চান।আজকের আর্টিকেলে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়?
নিম্নে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. ফ্রিল্যান্সিং
বিভিন্ন ধরনের ফ্রীল্যান্সিং কাজ। যেমনঃ গ্রাফিক ডিজাইন, কন্টেন্ট রাইটিং, ওয়েব ডিজাইন,বা অনুবাদ) থেকে টাকা আয় করতে পারেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Fiverr, Upwork, Freelancer.com ও Guru এ সাইন আপ করতে পারেন।
আপনার যদি কোন ধরনের দক্ষতা (যেমনঃ লেখালেখি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, অনুবাদ) জানেন, তবে সেগুলো ব্যবহার করে সহজেই টাকা আয় শুরু করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ চ্যাট জিপিটি থেকে আয়
২. অনলাইন কোর্স বা টিউটোরিয়াল সেবা
আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হন, যেমনঃ গণিত, ইংরেজি, প্রোগ্রামিং, বা গিটার বাজানো, তাহলে অনলাইন কোর্স বা টিউটোরিয়াল সেবা দিতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Udemy বা Teachable এ আপনার কোর্স আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়া আপনি টিউশনি বা প্রাইভেট ক্লাসও নিতে পারেন।
৩. ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি
যদি আপনার কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে ভালো ধারণা থাকে (যেমনঃ প্রযুক্তি, ফ্যাশন, ভ্রমণ), আপনি ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেল খুলে শুরু করতে পারেন। ব্লগ বা চ্যানেলের মাধ্যমে এডসেন্স, স্পনসরশিপ বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
৪. ফুড ডেলিভারি সেবা
আপনি যদি শহরে থাকেন, আপনি ডেলিভারি সেবা (যেমনঃ Foodpanda, efood Swiggy, Zomato, Pathao বা Dunzo) করে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। আর এই ধরনের কাজের জন্য, আপনি নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী সময় নির্ধারণ করতে পারবেন।
৫. অনলাইন বিক্রয় (E-commerce)
আপনি বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ ফেসবুক মার্কেটপ্লেস, অলওয়েজ, দারাজ, অথবা এমাজন এ প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। হ্যান্ডমেড গিফট, ফ্যাশন আইটেম বা যেকোনো প্রোডাক্ট কিনে বা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন।
৬. গ্রাফিক ডিজাইন বা ওয়েব ডিজাইন
আপনি যদি গ্রাফিক ডিজাইন বা ওয়েব ডিজাইনের কাজ জানেন, তবে আপনি নিজে সেবা দিতে পারেন। অনেক ছোট ব্যবসা বা স্টার্টআপ ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য ফ্রিল্যান্স ডিজাইনার খুঁজে থাকেন।
৭. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে, আপনি কোনো পণ্য বা সেবা প্রোমোট করে কমিশন আয় করতে পারেন। Amazon, Flipkart বা অন্যান্য ই-কমার্স সাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগ চালান, তাহলে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
৮. পেট সিটিং বা ডগ ওয়াকিং
পোষা প্রাণী প্রেমিক হলে আপনি পেট সিটিং বা ডগ ওয়াকিং সেবা দিতে পারেন। আপনি মানুষদের পোষা প্রাণী দেখাশোনা করতে পারেন এবং বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারেন।
৯. মোবাইল রিচার্জ এবং ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট সেবা
আপনি মোবাইল রিচার্জ, ডোমেস্টিক বিল পেমেন্ট, এবং অন্যান্য ইউটিলিটি বিল পেমেন্টের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। স্থানীয় মানুষদের সেবা দিয়ে কমিশন আয় করুন।
আরও পড়ুনঃ মহিলাদের ঘরে বসে ইনকাম
১০. ফটোগ্রাফি সেবা
আপনি যদি ফটোগ্রাফি পছন্দ করেন, তবে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফি সেবা দিতে পারেন, যেমন বিয়ের ফটোগ্রাফি বা ব্যক্তিগত ফটোশুট। আপনি ইভেন্ট ফটোগ্রাফি (বিয়ে, জন্মদিন, পার্টি) করে আয় করতে পারেন।
১১. গাড়ি চালিয়ে আয় (ড্রাইভিং)
আপনি Ola বা Uber এর মাধ্যমে গাড়ি চালিয়ে আয় করতে পারেন। এটি আপনার ফ্রি সময়ে কাজ করতে সাহায্য করবে এবং মাসে ২০ হাজার টাকা আয় সম্ভব।
১২. হোম কোচিং বা টিউশনি
আপনি যদি কোনো বিষয় ভালো জানেন (যেমনঃ গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান), তাহলে হোম টিউশনি দিতে পারেন। আপনি গ্রুপ বা একক ক্লাসে শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারেন এবং আয় করতে পারেন।
১৩. লাইভ স্ট্রিমিং বা গেমিং
আপনি যদি ভিডিও গেম পছন্দ করেন, তবে আপনি লাইভ গেম স্ট্রিমিং শুরু করে দিতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Twitch, YouTube Gaming ও ফেসবুক Gaming এ লাইভ স্ট্রিমিং করে টাকা আয় করা সম্ভব। আপনি ভিউয়ারদের ডোনেশন, স্পনসর্ড কনটেন্ট বা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে টাকা আয় করতে পারেন।
১৪. এমব্রয়ডারি বা হ্যান্ডিক্রাফট আইটেম বিক্রি
আপনি হ্যান্ডমেড আইটেম তৈরি করতে পারেন, যেমনঃ এমব্রয়ডারি, কাস্টমাইজড গিফট, কনফেকশন, অথবা হ্যান্ডক্র্যাফট জুয়েলারি। এসব পণ্য আপনি ই-কমার্স সাইটে বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন।
১৫. সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
ছোট ব্যবসা বা ইন্ডিভিজুয়ালদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সেবা দিতে পারেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা টুইটারে পোস্ট, কনটেন্ট তৈরি এবং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে আপনি আয় করতে পারবেন।
১৬. অনলাইন সার্ভে এবং মাইক্রো টাস্ক
আপনি অনলাইন সার্ভে পূর্ণ করে বা মাইক্রো টাস্কে অংশ নিয়ে আয় করতে পারেন। প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ Swagbucks, Toluna ও অ্যামাজন Mechanical Turk এ কাজ করে ছোট ছোট আয় করা সম্ভব।
১৭. পণ্যের ডিস্ট্রিবিউশন বা সেলস
আপনি কোনো পণ্য বা ব্র্যান্ডের বিক্রয় প্রতিনিধি (সেলস রিপ্রেজেনটেটিভ) হিসেবে কাজ করতে পারেন। আপনি বিভিন্ন পণ্যের বিক্রয় প্রমোট করতে পারেন এবং কমিশন বা ইনসেন্টিভ হিসেবে আয় করতে পারেন।
১৮. এডভার্টাইজিং বা ব্র্যান্ড মার্কেটিং
আপনি নিজের ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া পেজ বা ওয়েবসাইট তৈরি করে অ্যাডভার্টাইজিং চালু করতে পারেন। বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রোমোশন, স্পনসর্ড পোস্ট বা ভিডিও তৈরি করে আয় করা সম্ভব।
১৯. পডকাস্টিং
আপনি যদি ভাল কথা বলতে পছন্দ করেন, তবে পডকাস্টিং শুরু করতে পারেন। আপনি নিজের পডকাস্ট শুরু করে বিজ্ঞাপন বা স্পনসর্ড কনটেন্ট থেকে আয় করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট 2025
২০. বিজ্ঞাপন সেবা বা ডিজিটাল মার্কেটিং
আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন সেবা দিতে পারেন, যেমনঃ গুগল অ্যাডওয়ার্ডস, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাডভার্টাইজিং বা এসইও। ছোট ব্যবসাগুলোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আপনি আয় করতে পারবেন।
২১. রেস্টুরেন্ট বা কফি শপের পার্ট-টাইম ওয়েটার
আপনি যদি একটি পার্ট-টাইম কাজ চান, তবে রেস্টুরেন্ট বা কফি শপে ওয়েটার হিসেবে কাজ করতে পারেন।
খাবার পরিবেশন এবং গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আপনি বেকেন্ড ইনকাম থেকে আয় করতে পারবেন।
২২. ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফি
আপনি ফটোগ্রাফির জন্য ফ্রিল্যান্স কাজ করতে পারেন, যেমনঃ পার্টি, বিয়ে, বা অন্যান্য ইভেন্টে ফটোগ্রাফি।
ছবি বিক্রি করেও আপনি আয় করতে পারেন, বিশেষ করে স্টক ফটোগ্রাফি সাইটে (যেমনঃ Shutterstock বা Adobe Stock)।
২৩. লোগো ডিজাইন বা ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি
আপনি ছোট ব্যবসার জন্য লোগো ডিজাইন বা ব্র্যান্ড আইডেন্টিটি তৈরি করতে পারেন। ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের ডিজাইন কাজ করে আয় করা সম্ভব।
২৪. গবেষণা বা ডেটা এন্ট্রি কাজ
গবেষণা কাজ বা ডেটা এন্ট্রি কাজে অংশ নিতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান ডেটা এন্ট্রি কাজের জন্য অনলাইন কর্মী খোঁজে, এবং আপনি এই কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
২৫. ফ্যাশন বা বিউটি টিউটোরিয়াল
আপনি ফ্যাশন বা বিউটি সম্পর্কিত টিউটোরিয়াল তৈরি করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া বা ইউটিউবের মাধ্যমে আর্নিং করুণ, যেমনঃ প্রোডাক্ট রিভিউ বা মেকআপ টিপস।
২৬. ফ্রিল্যান্স ট্রান্সক্রিপশন
আপনি ট্রান্সক্রিপশন সেবা প্রদান করতে পারেন। এটি এমন একটি কাজ যেখানে আপনি অডিও বা ভিডিও কনটেন্ট থেকে লেখা তৈরি করেন।অনেক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিগত ব্লগার এই সেবা ভাড়া করে থাকে।
২৭. ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হন, তবে ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে কাজ করতে পারেন। ব্র্যান্ডদের কাছ থেকে স্পনসরশিপ, ডোনেশন বা অন্যান্য সুযোগের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।
২৮. ফুড ব্লগ বা রেসিপি শেয়ারিং
আপনি যদি রান্না ভালোবাসেন, তবে একটি ফুড ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ শুরু করতে পারেন। রেসিপি শেয়ার বা প্রোডাক্ট রিভিউ থেকে আয় করা সম্ভব।
২৯. গ্রাফিক ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং
আপনি গ্রাফিক ডিজাইন বা ভিডিও এডিটিং সেবা প্রদান করতে পারেন। অনেক ছোট ব্যবসা এবং ইউটিউব চ্যানেল মালিকদের গ্রাফিক ডিজাইন এবং ভিডিও এডিটিংয়ের প্রয়োজন হয়। আপনি এই সেবাগুলি প্রদান করে সহজেই আয় করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কাজ পাবেন।
৩০. ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
আপনি যদি ওয়েব ডেভেলপমেন্ট জানেন, তবে বিভিন্ন ব্যবসা এবং স্টার্টআপের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। আপনিও প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ WordPress, Shopify, বা Wix ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে পারেন।
৩১. বিক্রয় প্রতিনিধি (Sales Representative)
আপনি যদি বিক্রয়ের কাজে ভালো হন, তবে কোনো কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হতে পারেন। আপনি বিভিন্ন পণ্য বা সেবা বিক্রি করে কমিশন বা ইনসেন্টিভ হিসেবে আয় করতে পারেন। অনেক সময়, প্রাথমিক বেতন ছাড়াও কমিশন ভিত্তিক ইনকাম থাকে।
৩২. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
আপনি যদি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট জানেন, তবে আপনি নিজস্ব অ্যাপ তৈরি করে আয় করতে পারেন। প্লে স্টোরে বা অ্যাপ স্টোরে অ্যাপস আপলোড করে আপনি ইন অ্যাপ পেমেন্টস বা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট থেকে আয় করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম
৩৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা কনটেন্ট ক্রিয়েশন
ছোট ব্যবসা এবং ইনফ্লুয়েন্সারদের সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং সেবা দিতে পারেন। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া পেজগুলো পরিচালনা করে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন ব্যবসার জন্য পেইড পোস্ট, ক্যাম্পেইন প্রোমোট করার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব।
৩৪. শিক্ষামূলক টিউটোরিয়াল বা কোচিং
যদি আপনি কোনো বিষয় ভালো জানেন, যেমনঃ ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, বা কম্পিউটার সায়েন্স, তবে আপনি ব্যক্তিগত বা গ্রুপ টিউটোরিয়াল শুরু করতে পারেন। আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টিউটোরিয়াল কোর্সও তৈরি করতে পারেন এবং আয় করতে পারেন।
৩৫. লেবেলিং বা ডেটা আ্যানালাইসিস
বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ডেটা সংগৃহীত করতে সাহায্যের জন্য ডেটা আ্যানালাইসিস কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সার খোঁজে। এছাড়া লেবেলিং কাজও খুব চাহিদাযুক্ত হতে পারে, যেখানে আপনি ডেটা বা ইমেজ লেবেল করতে পারেন।
৩৬. এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে
আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যেখানে আপনি বিভিন্ন পণ্য বা সেবা বিক্রি করে কমিশন পাবেন। আপনি যদি ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া পেজ চালান, তবে এফিলিয়েট লিঙ্ক শেয়ার করে আয় করতে পারবেন।
৩৭. নতুন স্কিল শিখে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করা
আপনি নতুন কোনো স্কিল শিখে ফ্রিল্যান্স কাজ শুরু করতে পারেন। যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং ইত্যাদি। অনলাইন কোর্স বা ইউটিউব টিউটোরিয়াল ব্যবহার করে নতুন স্কিল শিখে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।
৩৮. ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েশন বা লাইভ স্ট্রিমিং
আপনি ইউটিউব বা অন্য ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন। আপনি যদি কোনো বিশেষ বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করেন, তবে ইউটিউবের মোনেটাইজেশন এবং স্পনসরশিপ থেকে আয় করতে পারেন।
৩৯. ডোমেন ও ওয়েবসাইট ফ্লিপিং
আপনি ওয়েবসাইট বা ডোমেন নাম কিনে পরে বিক্রি করতে পারেন। ওয়েবসাইট বা ডোমেন নামের মূল্য বৃদ্ধি হলে আপনি এটি বিক্রি করে লাভ করতে পারবেন। এটি একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্টের কাজ জানেন।
৪০. নির্দিষ্ট পণ্যের রিভিউ বা টেস্টিং
আপনি বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের পণ্য রিভিউ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়া বা ব্লগে এসব রিভিউ শেয়ার করে ব্র্যান্ডের কাছ থেকে আয় করা সম্ভব।
৪১. ফান্ড রেইজিং বা দান সংগ্রহ
আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট সামাজিক বা ধর্মীয় উদ্দেশ্যে ফান্ড রেইজিং করতে চান, তবে আপনি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম যেমনঃ GoFundMe বা Kickstarter ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে দান সংগ্রহ করতে পারেন।
৪২. লাইফ কোচিং বা ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং
আপনি যদি কাউন্সেলিং বা লাইফ কোচিংয়ে দক্ষ হন, তবে আপনি বিভিন্ন গ্রাহকদের জন্য সেশন পরিচালনা করতে পারেন। সাইকোলজি, ব্যক্তিগত উন্নয়ন, বা ক্যারিয়ার পরিকল্পনা পরামর্শ দিতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ বসে না থেকে ত্রই apps দিয়ে 300 টাকা ইনকাম করুন .কাজ করা খুব সোজা
৪৩. ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট বা প্ল্যানিং
আপনি ছোট ইভেন্ট বা পার্টি প্ল্যান করতে পারেন। বিয়ে, জন্মদিন, বা কোম্পানি ইভেন্ট আয়োজন করে আয় করা সম্ভব।
৪৪. অফলাইন পেইন্টিং সেবা
আপনি যদি পেইন্টিং করতে পারেন, তবে আপনি অর্ডার নিয়ে বাড়ি বা অফিসে ওয়াল পেইন্টিং বা কাস্টম পেইন্টিং তৈরি করতে পারেন।
৪৫. ফ্রীল্যান্স টিউটরিং
অনলাইন বা অফলাইন টিউটরিং সেবা দিয়ে বিভিন্ন বিষয় পড়িয়ে আয় করতে পারেন।
৪৬. অনলাইন শপিং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
আপনি অ্যামাজন, ফ্লিপকার্ট বা অন্যান্য শপিং সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে আয় করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে বিভিন্ন পণ্য প্রমোট করতে হবে।
৪৭. ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং
আপনি আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেন। যেমনঃ আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা।
৪৮. মেইল বা প্যাকেজ ডেলিভারি সার্ভিস
আপনি যদি বাইক বা স্কুটির মাধ্যমে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করতে পারেন, তবে আপনি আয়ের সুযোগ পেতে পারেন।
৪৯. ফুল এবং বাগান সরঞ্জাম বিক্রি
আপনি যদি ফুল বা বাগান সরঞ্জাম বিক্রি করতে চান, তবে আপনি এটি একটি অনলাইন বা অফলাইন ব্যবসা হিসেবে চালাতে পারেন।
৫০. ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং
আপনি যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি মাইনিং শুরু করতে চান, তবে বিশেষভাবে প্রস্তুত সিস্টেমের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। তবে এটি বেশ জটিল এবং কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৫১. ইন্স্যুরেন্স সেলিং
ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির জন্য সেলিং বা পলিসি প্রোমোশন করে আয় করা সম্ভব।
৫২. সোশ্যাল মিডিয়া পেইড ক্যাম্পেইন
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিজ্ঞাপন বা পেইড ক্যাম্পেইন চালিয়ে আয় করা সম্ভব।
৫৩. অর্গানিক বা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পণ্য বিক্রি
অর্গানিক স্কিন কেয়ার পণ্য বা প্রাকৃতিক উপাদান থেকে তৈরি পণ্য বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।
৫৪. ফটোগ্রাফি ক্লাস
আপনি যদি ফটোগ্রাফি জানেন, তবে অনলাইনে বা অফলাইনে ফটোগ্রাফি ক্লাস আয়োজন করতে পারেন।
৫৫. লাইভ কোচিং সেশন
আপনি যদি কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হন, তবে লাইভ কোচিং সেশন দিতে পারেন। এটি হতে পারে লাইফ কোচিং, ক্যারিয়ার কোচিং বা স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোচিং।
৫৬. ই-কমার্স সাইট তৈরি করা
নিজের একটি ই-কমার্স সাইট খুলে সেখানে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারবেন।
৫৭. রেন্টাল ব্যবসা
আপনি যদি কিছু প্রয়োজনীয় পণ্য বা জিনিস কিনে রাখতে পারেন, যেমনঃ গাড়ি, সাইকেল, ক্যামেরা বা শুটিং সরঞ্জাম, তবে আপনি সেগুলি ভাড়া দিয়ে আয় করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ ২০ টাকা ডিপোজিট করে ইনকাম
৫৮. স্টক ফটোগ্রাফি
আপনি যদি ছবি তোলেন, তবে সেই ছবি বিভিন্ন স্টক ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইটে আপলোড করে আয় করতে পারেন।
৫৯. আনলিমিটেড ওয়েবসাইট সার্ভিস প্রোভাইড করা
আপনি যদি ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন, তবে বিভিন্ন ছোট এবং বড় কোম্পানির জন্য ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস প্রদান করতে পারেন।
৬০. ই-সিকিউরিটি সেবা
অনলাইন সিকিউরিটি সেবা দিয়ে, যেমন ওয়েবসাইট সিকিউরিটি, ডিজিটাল সিকিউরিটি সেবা প্রদান করে আয় করা সম্ভব।
শেষ কথা
উপরে উল্লেখিত যে কোন এক বা একাধিক ব্যবসা বা কাজ শুরু করে আপনি প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন। মূল কথা হলো আপনার দক্ষতা ও সময় অনুযায়ী সঠিক পথ বেছে নিতে হবে।