অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম | সেরা অনলাইন গেম
অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা বর্তমানে একটি জনপ্রিয় উপায় হয়ে উঠেছে। যারা ঘরে বসে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে বাড়তি আয় করতে চান, তাদের জন্য এটি দারুণ সুযোগ।সেরা অনলাইন গেমগুলো শুধু বিনোদনই দেয় না, বরং স্কিল ও সময় ব্যবহার করে আসল টাকা আয় করার সুযোগও করে দেয়। অনেক প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়কৃত টাকা সহজেই বিকাশ, নগদ বা পেপাল এর মাধ্যমে উত্তোলন করা যায়।
তাই আপনি যদি ফ্রি সময়কে কাজে লাগিয়ে আয় করতে চান, তবে সেরা অনলাইন গেম খেলা হতে পারে আপনার জন্য একটি স্মার্ট সিদ্ধান্ত।
অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম | সেরা অনলাইন গেম
নিচে অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১. PUBG Mobile Tournament
PUBG Mobile বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন গেম। এখানে খেলোয়াড়রা দল বেঁধে যুদ্ধের মতো পরিবেশে খেলে। এই গেম থেকে আয় করার অন্যতম উপায় হলো বিভিন্ন অনলাইন টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া।
অনেক সংগঠন ও গেমিং কমিউনিটি PUBG টুর্নামেন্ট আয়োজন করে থাকে, যেখানে বিজয়ীরা বড় অংকের অর্থ পুরস্কার হিসেবে পায়। বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের নানা দেশে PUBG টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে, অনেক পেশাদার খেলোয়াড় শুধু গেম খেলে মাসে হাজার ডলার আয় করছে।
এর জন্য ভালো ইন্টারনেট কানেকশন, শক্তিশালী স্মার্টফোন এবং নিয়মিত অনুশীলন দরকার। PUBG খেলে আয় করতে চাইলে প্রথমে স্থানীয় টুর্নামেন্টে অংশ নিন, পরে আন্তর্জাতিক লিগে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।
PUBG থেকে শুধু ক্যাশ প্রাইজই নয়, স্পন্সরশিপ, স্ট্রিমিং এবং ইউটিউব ভিডিও বানিয়েও বাড়তি আয় করা যায়। অর্থাৎ এই গেমটি শুধুমাত্র খেলার মাধ্যমেই নয়, বরং পেশাদার গেমারদের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যারিয়ারের সুযোগ তৈরি করেছে।
২. Free Fire Tournament
Free Fire হলো একটি ব্যাটল রয়্যাল গেম, যা মূলত মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য তৈরি। বাংলাদেশে এই গেমের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। PUBG এর মতোই Free Fire টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়, যেখানে বিজয়ীরা বড় অংকের টাকা পুরস্কার হিসেবে পায়।
এছাড়াও অনেক গেমিং অ্যাপস Free Fire খেলে ইনকাম করার সুযোগ দেয়। Free Fire এর বিশেষ সুবিধা হলো এটি কম স্পেসিফিকেশনের ফোনেও ভালোভাবে খেলা যায়। এজন্যই বাংলাদেশ ও ভারতের লাখো তরুণ-তরুণী এটি নিয়মিত খেলে।
যারা গেমে দক্ষ, তারা টুর্নামেন্টে জিতে মাসে কয়েক হাজার টাকা থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। এছাড়াও অনেক ইউটিউবার Free Fire স্ট্রিমিং করে বড় আয় করছে। ফলে এই গেম খেলে শুধু প্রাইজ মানি নয়, কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও আয়ের সুযোগ রয়েছে।
৩. Ludo Supreme
লুডো হলো এমন একটি গেম যা ছোট থেকে বড় সবারই পরিচিত। Ludo Supreme হলো লুডোর অনলাইন ভার্সন, যেখানে খেলোয়াড়রা রিয়েল ক্যাশ জেতার সুযোগ পায়।
এখানে প্রতিটি গেম খেলার জন্য এন্ট্রি ফি দিতে হয় এবং বিজয়ী নির্দিষ্ট অর্থ পুরস্কার হিসেবে পায়। এই অ্যাপের বড় সুবিধা হলো নিয়মগুলি খুব সহজ, ফলে নতুন খেলোয়াড়রাও সহজে আয় করতে পারে।
অনেকেই অবসর সময়ে লুডো খেলে মাসে কয়েক হাজার টাকা আয় করছে। বিশেষ করে যারা রিস্ক নিতে চায় না, তাদের জন্য এটি একটি ভালো অপশন।
এখানে পেমেন্ট সাধারণত Paytm, UPI বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়। বাংলাদেশে ব্যবহারকারীরা মধ্যস্থ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিকাশ বা নগদে টাকা তুলতে পারে।
৪. MPL (Mobile Premier League)
MPL হলো একটি জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপ, যেখানে অনেক ছোট-বড় গেম খেলে আয় করা যায়। লুডো, ক্যারম, ক্রিকেট, রামি ইত্যাদি গেম এখানে পাওয়া যায়। প্রতিটি গেম খেলার জন্য ছোট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়, আর জিতলে বড় অংকের ক্যাশ রিওয়ার্ড পাওয়া যায়।
এই প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সুবিধা হলো এখানে গেমের সংখ্যা বেশি, তাই খেলোয়াড়রা নিজেদের পছন্দমতো গেম বেছে নিয়ে ইনকাম করতে পারে। MPL ভারতে অনেক বেশি জনপ্রিয়, তবে বাংলাদেশ থেকেও বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে খেলা সম্ভব।
এখানে আয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করা যায়। ফলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা ছোট গেম খেলার পাশাপাশি বড় পুরস্কারও জিততে পারে।
৫. Mistplay
Mistplay হলো একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, যেখানে নতুন নতুন গেম খেলে পয়েন্ট সংগ্রহ করা যায়। পরে এই পয়েন্ট গুগল প্লে গিফট কার্ড, অ্যামাজন ভাউচার বা PayPal ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।
এই অ্যাপের সুবিধা হলো খেলোয়াড়দের নতুন গেম ট্রাই করার সুযোগ মেলে, পাশাপাশি আয় হয়। যারা বিনোদনের পাশাপাশি একটু আয় করতে চান, তাদের জন্য এটি আদর্শ। প্রতিদিন কিছু সময় গেম খেললেই নির্দিষ্ট পয়েন্ট সংগ্রহ করা সম্ভব।
Mistplay আন্তর্জাতিকভাবে নির্ভরযোগ্য, তাই এখানে আয়ের টাকা পাওয়া নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। তবে বাংলাদেশে সরাসরি PayPal ব্যবহার করা না গেলেও অন্য বিকল্প উপায়ে টাকা তোলা সম্ভব।
৬. Skillz Games
Skillz Games একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম যেখানে বিভিন্ন গেম খেলে ক্যাশ জেতা যায়। এখানে কনটেস্ট ভিত্তিক গেম থাকে যেমন: Solitaire Cube, 21 Blitz ইত্যাদি। প্রতিটি ম্যাচে অংশগ্রহণ করে জিতলেই ডলারে পুরস্কার পাওয়া যায়।
এই প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সুবিধা হলো গেমগুলো স্কিলভিত্তিক, ফলে ভাগ্যের পরিবর্তে দক্ষতার মাধ্যমে আয় করা যায়। অনেক খেলোয়াড় এখানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে মাসে কয়েকশো ডলার ইনকাম করছে।
Skillz Games সরাসরি PayPal এ টাকা পাঠায়, যা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহারযোগ্য। ফলে এটি নির্ভরযোগ্য একটি আয়ের মাধ্যম হিসেবে ধরা যায়।
৭. Swagbucks Live
Swagbucks Live মূলত একটি ট্রিভিয়া গেম অ্যাপ। এখানে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে খেলোয়াড়রা পয়েন্ট অর্জন করে। সেই পয়েন্টগুলো পরে গিফট কার্ড বা PayPal ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।
যারা জ্ঞানভিত্তিক গেম পছন্দ করেন, তাদের জন্য Swagbucks Live উপযুক্ত। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে এখানে লাইভ কুইজ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে অংশ নিয়ে আয় করা সম্ভব।
Swagbucks Live আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম। ফলে আয়ের টাকা সময়মতো পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হয় না।
৮. Cashyy
Cashyy হলো একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, যেখানে বিভিন্ন মোবাইল গেম ডাউনলোড করে খেলার মাধ্যমে পয়েন্ট আয় করা যায়। পরবর্তীতে সেই পয়েন্ট PayPal বা গিফট কার্ডের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করা যায়।
এই অ্যাপের বিশেষ সুবিধা হলো খেলোয়াড়রা বিভিন্ন নতুন গেম চেষ্টা করার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারে। প্রতিদিন কিছু সময় খেলেই নিয়মিত আয় সম্ভব।
Cashyy বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকায় জনপ্রিয়, তবে বাংলাদেশ থেকেও এটি ব্যবহার করে আয় করা সম্ভব।
৯. InboxDollars Games
InboxDollars হলো একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে গেম খেলা ছাড়াও ভিডিও দেখা, সার্ভে করা ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে ইনকাম করা যায়। গেম খেলেই এখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা সম্ভব।
এর বড় সুবিধা হলো একই সঙ্গে একাধিক আয়ের সুযোগ পাওয়া যায়। ফলে শুধু গেম খেলা নয়, অন্য কাজ করেও আয় করা সম্ভব হয়।
InboxDollars আন্তর্জাতিকভাবে অনেক পুরনো এবং নির্ভরযোগ্য একটি প্ল্যাটফর্ম, তাই এটি দীর্ঘমেয়াদি আয়ের জন্য ব্যবহার করা যায়।
১০. Gamee Prizes
Gamee Prizes একটি গেমিং অ্যাপ, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ছোট গেম খেলে টিকেট জেতা যায়। এই টিকেটগুলো দিয়ে লটারিতে অংশ নিয়ে ক্যাশ জেতার সুযোগ থাকে।
এই অ্যাপটি বিশেষভাবে জনপ্রিয় কারণ এটি একদম ফ্রি খেলার সুযোগ দেয়। কোনো এন্ট্রি ফি ছাড়াই খেলোয়াড়রা ইনকাম করতে পারে। যদিও এখানে আয়ের পরিমাণ কিছুটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে,
তবুও অনেকেই নিয়মিতভাবে ছোট অংকের ক্যাশ জিততে পারে। Gamee Prizes গেমারদের জন্য বিনোদনের পাশাপাশি ছোটখাটো ইনকামের একটি ভালো উপায়।
১১. Second Life
Second Life হলো একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড গেম, যেখানে খেলোয়াড়রা নিজেদের চরিত্র তৈরি করে অনলাইনে জীবনযাপন করতে পারে। এই গেমে জমি কেনা-বেচা, ব্যবসা করা, ডিজিটাল জিনিসপত্র তৈরি ও বিক্রি করার মাধ্যমে অর্থ আয় করা সম্ভব।
অনেক মানুষ এখানে নিজের তৈরি পোশাক বা গেম আইটেম বিক্রি করে বাস্তব টাকা উপার্জন করছে। Second Life থেকে আয়ের বড় উৎস হলো ভার্চুয়াল রিয়েল এস্টেট। গেমের ভেতরে জমি কিনে পরে বেশি দামে বিক্রি করা যায়।
এছাড়াও বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েশন, যেমন ভার্চুয়াল বাড়ি বা শপ ডিজাইন করে বিক্রি করার মাধ্যমে আয় করা যায়। এটি অনেকটা বাস্তব ব্যবসার মতো, তবে অনলাইনে। অনেক পেশাদার গেমার এই প্ল্যাটফর্মে বছরে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে।
১২. RuneScape
RuneScape হলো একটি জনপ্রিয় MMORPG (Massively Multiplayer Online Role-Playing Game)। এখানে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন মিশন সম্পন্ন করে, আইটেম সংগ্রহ করে এবং গেমের ভেতরে কারেন্সি উপার্জন করে।
পরে সেই কারেন্সি বা মূল্যবান আইটেম আসল টাকায় বিক্রি করা যায়। RuneScape এর অর্থনীতি অনেক বড় এবং শক্তিশালী। এখানে কিছু বিশেষ আইটেম এতটাই মূল্যবান যে, অনেক খেলোয়াড় আসল টাকা দিয়ে কিনে নেয়।
ফলে যারা দীর্ঘ সময় ধরে খেলতে পারে, তাদের জন্য এটি একটি ভালো আয়ের উপায়। বাংলাদেশ থেকেও অনেক গেমার RuneScape খেলে আন্তর্জাতিকভাবে টাকা উপার্জন করছে। তবে এটি সময়সাপেক্ষ, তাই ধৈর্য ধরে খেলতে হয়।
১৩. Axie Infinity
Axie Infinity হলো একটি ব্লকচেইন-ভিত্তিক গেম, যেখানে NFT (Non-Fungible Token) ব্যবহার করা হয়। খেলোয়াড়রা এখানে Axie নামে ডিজিটাল পোষা প্রাণী কিনে, বড় করে এবং যুদ্ধ করিয়ে অর্থ আয় করে।
এই গেমের বিশেষত্ব হলো খেলোয়াড়রা বাস্তব ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করতে পারে। Axie Infinity থেকে আয়ের জন্য খেলোয়াড়দের Axie কিনতে হয় এবং তারপর বিভিন্ন টাস্ক বা যুদ্ধ জিতে টোকেন সংগ্রহ করতে হয়।
পরে সেই টোকেন ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জে বিক্রি করা যায়। এটি মূলত বিনিয়োগভিত্তিক গেম। তাই ঝুঁকি থাকলেও সঠিকভাবে খেলা গেলে বড় অংকের ইনকাম সম্ভব।
১৪. Splinterlands
Splinterlands হলো একটি কার্ড-ভিত্তিক ব্লকচেইন গেম। খেলোয়াড়রা এখানে কার্ড সংগ্রহ করে এবং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি আয় করতে পারে। প্রতিটি কার্ড একটি NFT, যা মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করে বাস্তব টাকা তোলা যায়।
এই গেমে আয়ের প্রধান উপায় হলো কার্ড লেনদেন এবং টুর্নামেন্ট খেলা। দক্ষ খেলোয়াড়রা এখানে বিরল কার্ড সংগ্রহ করে পরে বেশি দামে বিক্রি করতে পারে।
Splinterlands বর্তমানে ব্লকচেইন গেমিং ইন্ডাস্ট্রির একটি শীর্ষ নাম, যা খেলোয়াড়দের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ইনকাম করার সুযোগ তৈরি করছে।
১৫. World of Warcraft (WoW)
World of Warcraft হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন রোল-প্লেয়িং গেমগুলোর একটি। এখানে খেলোয়াড়রা চরিত্র তৈরি করে মিশন সম্পন্ন করে এবং গেমের ভেতরে কারেন্সি (Gold) উপার্জন করে।
WoW-এর ভেতরে এই Gold অত্যন্ত মূল্যবান। অনেক খেলোয়াড় আসল টাকা দিয়ে গেমের আইটেম বা কারেন্সি কিনতে চায়।
এজন্য পেশাদার গেমাররা গেমের ভেতরে জিনিস সংগ্রহ করে তা বিক্রি করে বাস্তব অর্থ আয় করতে পারে। এটি সময়সাপেক্ষ হলেও দীর্ঘমেয়াদে WoW থেকে একটি স্থিতিশীল ইনকাম করা সম্ভব।
১৬. Fortnite
Fortnite হলো একটি জনপ্রিয় ব্যাটল রয়্যাল গেম, যা মূলত টুর্নামেন্ট এবং স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে Fortnite চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করা হয়, যেখানে বিজয়ীরা লাখ লাখ ডলার পর্যন্ত পুরস্কার পায়।
Fortnite থেকে আয়ের আরেকটি উপায় হলো কন্টেন্ট ক্রিয়েশন। অনেক ইউটিউবার ও স্ট্রিমার Fortnite খেলে ভিডিও বানিয়ে বা লাইভ স্ট্রিম করে বড় অংকের ইনকাম করছে। যারা পেশাদার গেমার হতে চায়, তাদের জন্য Fortnite একটি দুর্দান্ত সুযোগ।
১৭. GamerSaloon
GamerSaloon হলো একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে খেলোয়াড়রা বিভিন্ন জনপ্রিয় গেম যেমন FIFA, Call of Duty, Madden NFL ইত্যাদি খেলে অর্থ জিততে পারে। এখানে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য এন্ট্রি ফি দিতে হয়, আর বিজয়ীরা ক্যাশ প্রাইজ পায়।
এই প্ল্যাটফর্মের বড় সুবিধা হলো এটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং নিরাপদ। ফলে খেলোয়াড়রা টাকা পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত থাকতে পারে। GamerSaloon বিশেষ করে দক্ষ খেলোয়াড়দের জন্য উপযুক্ত, কারণ এখানে প্রফেশনাল প্রতিযোগিতা হয়।
১৮. RummyCircle
RummyCircle হলো একটি জনপ্রিয় কার্ড গেমিং অ্যাপ, যেখানে বাস্তব টাকায় খেলা যায়। খেলোয়াড়রা এখানে রামি কার্ড গেম খেলে জিতলে ক্যাশ পায়।
ভারত ও বাংলাদেশে এই গেম বিশেষভাবে জনপ্রিয়, কারণ এর নিয়ম সহজ এবং দ্রুত খেলা যায়। প্রতিদিন অনেক টুর্নামেন্ট হয়, যেখানে বিজয়ীরা বড় পুরস্কার জিততে পারে। তবে যেহেতু এটি ক্যাশ গেম, তাই দক্ষতার পাশাপাশি সতর্কতাও প্রয়োজন।
১৯. Gamehag
Gamehag হলো একটি রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন গেম খেলে “Soul Gems” নামক ভার্চুয়াল কারেন্সি আয় করা যায়। এই Soul Gems পরে গিফট কার্ড, গেম কী, PayPal ক্যাশ ইত্যাদিতে রূপান্তর করা সম্ভব।
এখানে অনেক ধরনের গেম খেলার সুযোগ আছে। ফলে যারা নতুন নতুন গেম খেলতে পছন্দ করে, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত। Gamehag অনেক বছর ধরে চালু রয়েছে এবং নির্ভরযোগ্য, তাই দীর্ঘমেয়াদি আয়ের জন্যও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
২০. Bitcoin Pop
Bitcoin Pop হলো একটি ব্লকচেইন-ভিত্তিক পাজল গেম। এখানে বাবল শ্যুটার স্টাইলের গেম খেলে খেলোয়াড়রা Bitcoin আয় করতে পারে।
এই গেমের বড় সুবিধা হলো এটি সম্পূর্ণ ফ্রি খেলা যায়। শুধু গেম খেললেই ছোট ছোট পরিমাণ Bitcoin সংগ্রহ করা যায়, যা পরবর্তীতে ওয়ালেটে ট্রান্সফার করা যায়। যারা ক্রিপ্টোকারেন্সি ইনকাম করতে চায়, তাদের জন্য এটি একটি সহজ উপায় হতে পারে।
২১. My11Circle
My11Circle হলো একটি ফ্যান্টাসি স্পোর্টস অ্যাপ, যেখানে ক্রিকেট, ফুটবল ও ক্যারমের মতো খেলা নিয়ে টিম তৈরি করতে হয়। খেলোয়াড়দের বাস্তব পারফরম্যান্স অনুযায়ী পয়েন্ট দেওয়া হয় এবং বিজয়ীরা ক্যাশ জেতে।
ভারতে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশ থেকেও অনেক ব্যবহারকারী VPN বা বিকল্প উপায়ে খেলছে। টিম বানানোর দক্ষতা থাকলে সহজেই ইনকাম করা সম্ভব। My11Circle এ বড় বড় টুর্নামেন্ট হয়, যেখানে লাখ টাকা পর্যন্ত পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ সেরা ৪২টি অ্যাড দেখে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস
২২. Dream11
Dream11 হলো বিশ্বের অন্যতম বড় ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম। ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, কাবাডি ইত্যাদি খেলায় নিজের টিম তৈরি করে অংশগ্রহণ করা যায়।
এখানে সফল হতে হলে খেলাধুলার ভালো জ্ঞান থাকা জরুরি। বাস্তব ম্যাচে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যত ভালো হবে, তত বেশি পয়েন্ট পাওয়া যাবে। Dream11 থেকে আয়ের টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায়, তাই এটি একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
২৩. Bananatic
Bananatic হলো একটি গেমিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে নতুন গেম খেলে “Banana” নামক ভার্চুয়াল পয়েন্ট আয় করা যায়। এই পয়েন্ট পরে গিফট কার্ড বা PayPal ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।
এখানে অনেক নতুন গেম টেস্ট করার সুযোগ আছে। যারা নতুন গেম খেলে অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাদের জন্য এটি উপযুক্ত। Bananatic দীর্ঘদিন ধরে চালু রয়েছে এবং অনেক আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করে ইনকাম করছে।
২৪. GamerMine
GamerMine হলো একটি গেমিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে বিভিন্ন গেম খেলেই Bitcoin আয় করা যায়। প্রতিদিন কিছুক্ষণ গেম খেলে অল্প অল্প করে ক্রিপ্টো সংগ্রহ করা সম্ভব।
এটি মূলত ছোট ইনকামের জন্য ভালো। তবে দীর্ঘ সময় ধরে খেললে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ Bitcoin জমা হতে পারে। ক্রিপ্টো পেমেন্ট পাওয়ায় এটি আন্তর্জাতিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
২৫. HQ Trivia
HQ Trivia হলো একটি লাইভ কুইজ গেম, যেখানে নির্দিষ্ট সময়ে অংশ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। প্রতিটি রাউন্ডে জিতলে ক্যাশ প্রাইজ পাওয়া যায়।
এর বড় সুবিধা হলো এটি সম্পূর্ণ ফ্রি খেলা যায়। শুধু সঠিক উত্তর দিলেই পুরস্কার জেতা সম্ভব। HQ Trivia তে অনেকেই প্রতিদিন ছোট অংকের ক্যাশ ইনকাম করে।
২৬. Big Time Cash
Big Time Cash হলো একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, যেখানে বিভিন্ন ছোট গেম খেলে টিকিট জেতা যায়। এই টিকিট লটারিতে ব্যবহার করা হয়, যেখানে ক্যাশ প্রাইজ পাওয়া যায়।
এখানে গেমগুলো অনেক সহজ, তাই নতুন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি ভালো। Big Time Cash থেকে পেমেন্ট PayPal-এর মাধ্যমে দেওয়া হয়।
২৭. Wealth Words
Wealth Words হলো একটি ক্রসওয়ার্ড পাজল গেম, যেখানে শব্দ সাজিয়ে ক্যাশ জেতা যায়। এখানে প্রতিটি খেলার জন্য ছোট এন্ট্রি ফি দিতে হয় এবং বিজয়ীরা নগদ পুরস্কার পায়।
যারা ব্রেইন গেম পছন্দ করেন, তাদের জন্য এটি আদর্শ। ইংরেজি শব্দভান্ডার যত ভালো হবে, ইনকাম করার সুযোগ তত বেশি। এটি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাত এবং নির্ভরযোগ্য।
২৮. Pogo
Pogo হলো একটি গেমিং সাইট যেখানে Solitaire, Scrabble, Bingo ইত্যাদি অনেক ক্লাসিক গেম খেলে ইনকাম করা যায়। এখানে খেলোয়াড়রা পয়েন্ট অর্জন করে, যা পরে পুরস্কার বা ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।
এখানে অনেক ধরনের গেম থাকায় ব্যবহারকারীরা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারে। Pogo বহু বছর ধরে চলছে এবং একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম।
২৯. Play and Win
Play and Win হলো একটি ট্রিভিয়া অ্যাপ, যেখানে প্রতিদিন নানা বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। সঠিক উত্তর দিয়ে খেলোয়াড়রা পয়েন্ট আয় করে, যা পরে PayPal ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।
এই গেমটি সহজ এবং শিক্ষামূলক হওয়ায় অনেকেই মজা করে খেলে ইনকাম করে। অল্প সময় দিয়ে ছোটখাটো আয় করার জন্য এটি ভালো একটি মাধ্যম।
৩০. Lucktastic
Lucktastic হলো একটি ফ্রি স্ক্র্যাচ কার্ড গেমিং অ্যাপ। প্রতিদিন খেলোয়াড়রা ফ্রি কার্ড স্ক্র্যাচ করে ছোট অংকের ক্যাশ বা গিফট কার্ড জেতার সুযোগ পায়।
এটি অনেকটা লটারির মতো, তবে বিনামূল্যে খেলার সুযোগ থাকে। Lucktastic যুক্তরাষ্ট্রে জনপ্রিয় হলেও আন্তর্জাতিক ব্যবহারকারীরাও VPN ব্যবহার করে খেলতে পারে।
৩১. PlaytestCloud
PlaytestCloud হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে নতুন গেম টেস্ট করার জন্য খেলোয়াড়দের টাকা দেওয়া হয়। মূলত গেম ডেভেলপাররা নতুন গেম লঞ্চের আগে ব্যবহারকারীদের দিয়ে ট্রাই করায়, আর খেলোয়াড়রা মতামত দিয়ে ইনকাম করে।
এখানে শুধু খেলা নয়, বরং ফিডব্যাক দেওয়াই আসল কাজ। প্রতিটি টেস্ট শেষ করার পর নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার PayPal-এর মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এটি বিশেষভাবে জনপ্রিয়, কারণ বাড়িতে বসেই সহজে টেস্টিং করে ইনকাম করা যায়।
৩২. AppStation
AppStation হলো একটি মোবাইল অ্যাপ, যেখানে নতুন গেম খেলে পয়েন্ট আয় করা যায়। এই পয়েন্ট পরে PayPal ক্যাশ বা গিফট কার্ডে রূপান্তর করা যায়।
এই অ্যাপের বিশেষ সুবিধা হলো খেলোয়াড় যত বেশি সময় খেলবে, তত বেশি পয়েন্ট পাওয়া যাবে। ফলে অবসর সময় কাজে লাগিয়ে নিয়মিত আয় সম্ভব। অনেক ব্যবহারকারী AppStation থেকে ছোটখাটো হলেও প্রতিদিন ইনকাম করছে।
৩৩. Coin Pop
Coin Pop হলো একটি রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে মোবাইল গেম খেললেই পয়েন্ট পাওয়া যায়। এই পয়েন্ট PayPal, Amazon Gift Card, Google Play Balance ইত্যাদিতে কনভার্ট করা যায়।
এখানে খেলতে কোনো টাকা লাগেনা, শুধু ইনস্টল করে গেম খেললেই আয় হয়। এজন্য নতুনদের জন্য এটি একটি সহজ উপায়। Coin Pop আন্তর্জাতিকভাবে অনেক বেশি ডাউনলোড হয়েছে, তাই এটি নির্ভরযোগ্য।
৩৪. Lucktapper
Lucktapper হলো একটি অনলাইন স্ক্র্যাচ কার্ড ও স্লট গেমিং প্ল্যাটফর্ম। খেলোয়াড়রা প্রতিদিন ফ্রি স্পিন বা স্ক্র্যাচ করে ক্যাশ প্রাইজ জিততে পারে।
এটি মূলত ভাগ্যনির্ভর হলেও অনেকেই নিয়মিত ছোটখাটো আয় করছে। Lucktapper বিভিন্ন গিফট কার্ড ও ক্যাশ আউট সুবিধা দেয়।
৩৫. GameChampions
GameChampions হলো একটি প্রতিযোগিতামূলক গেমিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে FIFA, Call of Duty, Fortnite এর মতো জনপ্রিয় গেম খেলে ক্যাশ জেতা যায়।
এখানে খেলোয়াড়দের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হয় এবং বিজয়ীরা নির্দিষ্ট পুরস্কার পায়। যারা প্রফেশনাল গেমার হতে চান, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ প্ল্যাটফর্ম।
৩৬. CashPirate Buzz
CashPirate Buzz হলো একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ, যেখানে গেম খেলে কয়েন আয় করা যায়। সেই কয়েন পরে PayPal ক্যাশ বা গিফট কার্ডে কনভার্ট করা যায়।
গেম খেলার পাশাপাশি এখানে সার্ভে করা বা ভিডিও দেখেও ইনকাম সম্ভব। এটি একাধিক উপায়ে আয়ের সুযোগ দেওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
৩৭. Lucky Day
Lucky Day হলো একটি ফ্রি লটারি ও স্ক্র্যাচ কার্ড অ্যাপ। খেলোয়াড়রা প্রতিদিন লটারি টিকিট বা স্ক্র্যাচ কার্ড ব্যবহার করে ক্যাশ ও গিফট কার্ড জেতার সুযোগ পায়।
এটি ভাগ্যনির্ভর হলেও অনেকেই এখানে থেকে ছোট অংকের ইনকাম করছে। Lucky Day দীর্ঘদিন ধরে চলছে এবং নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।
৩৮. PointClub Games
PointClub হলো একটি সার্ভে ও রিওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম, তবে এখানে গেম খেলে আয় করার সুযোগও আছে। প্রতিটি গেম শেষে পয়েন্ট দেওয়া হয়, যা পরে ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।
যারা সার্ভে আর গেম দুইটাই করতে চান, তাদের জন্য এটি ভালো। PointClub আন্তর্জাতিকভাবে অনেক ব্যবহারকারীকে পেমেন্ট দিয়েছে, তাই এটি বিশ্বস্ত।
আরও পড়ুনঃ ডিপোজিট ছাড়া টাকা ইনকাম apps
৩৯. AppNana
AppNana হলো একটি মোবাইল রিওয়ার্ড অ্যাপ, যেখানে গেম খেলে “Nana Points” আয় করা যায়। সেই পয়েন্ট পরে PayPal বা গিফট কার্ডে রিডিম করা যায়।
এখানে প্রতিদিন লগইন বোনাস এবং ছোট টাস্ক থেকেও পয়েন্ট পাওয়া যায়। AppNana সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং নতুনদের জন্য একেবারে উপযুক্ত।
৪০. WinZO Games
WinZO Games হলো একটি জনপ্রিয় গেমিং প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ৫০টিরও বেশি গেম খেলে ক্যাশ আয় করা যায়। এর মধ্যে লুডো, ক্রিকেট, কার্ড গেম, পাজল গেম ইত্যাদি রয়েছে।
এখানে প্রতিটি গেম খেলার জন্য এন্ট্রি ফি দিতে হয় এবং বিজয়ীরা ক্যাশ পুরস্কার জিতে। WinZO ভারতে খুব জনপ্রিয়, তবে বাংলাদেশ থেকেও অনেক ব্যবহারকারী এটি ব্যবহার করছে।
FAQs:
১. অনলাইন গেম খেলে সত্যিই কি টাকা ইনকাম করা সম্ভব?
হ্যাঁ, অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। অনেক প্ল্যাটফর্ম ও মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যেখানে গেম খেলে পয়েন্ট, কয়েন বা ডলার আয় করা যায়।
এই আয় PayPal, গিফট কার্ড, এমনকি বাংলাদেশে বিকাশ ও নগদেও পাওয়া যায়। তবে সব গেম অ্যাপ নির্ভরযোগ্য নয়, তাই বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম বেছে নেওয়া জরুরি।
২. কোন কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায়?
Ludo Supreme, MPL (Mobile Premier League), WinZO, Mistplay, Skillz Games, PUBG Mobile, Free Fire, AppStation, AppNana ইত্যাদি জনপ্রিয় গেম খেলে আয় করা যায়।
এছাড়া অনেক রিওয়ার্ড অ্যাপ রয়েছে যেখানে নতুন গেম খেলে পয়েন্ট সংগ্রহ করে ক্যাশে রূপান্তর করা যায়।
৩. টাকা কীভাবে পাওয়া যায়?
গেম খেলে ইনকাম করা টাকা সাধারণত PayPal এর মাধ্যমে দেওয়া হয়। কিছু প্ল্যাটফর্ম গিফট কার্ড, Google Play Balance বা Amazon Balance আকারেও পেমেন্ট করে।
বাংলাদেশ বা ভারতের ক্ষেত্রে অনেক প্ল্যাটফর্ম বিকাশ, নগদ বা Paytm এও টাকা পাঠানোর সুযোগ দেয়।
৪. অনলাইন গেম খেলে কি বড় অংকের আয় করা যায়?
এটি নির্ভর করে আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে খেলছেন তার উপর। ছোটখাটো রিওয়ার্ড অ্যাপগুলোতে সাধারণত প্রতিদিন কয়েক ডলার আয় সম্ভব। তবে PUBG, Free Fire, FIFA বা Call of Duty টুর্নামেন্টে অংশ নিলে অনেক বড় অংকের ক্যাশ প্রাইজ জেতা যায়।
৫. গেম খেলে ইনকাম করার জন্য কি টাকা ইনভেস্ট করতে হয়?
সব গেমে ইনভেস্ট করতে হয় না। অনেক অ্যাপ ফ্রি খেলার সুযোগ দেয়। তবে কিছু টুর্নামেন্ট বা ক্যাশ গেমিং প্ল্যাটফর্মে এন্ট্রি ফি দিতে হয়। তাই খেলতে গেলে আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত, যাতে প্রতারণার শিকার না হন।
৬. মোবাইল নাকি কম্পিউটার – কোনটা ভালো অনলাইন গেমিংয়ের জন্য?
দুই মাধ্যমেই অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম করা যায়। মোবাইল গেম যেমন Ludo, WinZO, MPL ইত্যাদি জনপ্রিয়, আবার কম্পিউটার গেম যেমন Fortnite, FIFA, Call of Duty বা DOTA-তেও বড় টুর্নামেন্ট হয় যেখানে বড় অংকের আয় সম্ভব।
৭. অনলাইন গেম খেলে টাকা আয়ের ঝুঁকি কী কী?
সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো ফেক অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে সময় নষ্ট হওয়া। অনেকেই ইনকামের লোভ দেখিয়ে টাকা ইনভেস্ট করতে বলে, কিন্তু পরে পেমেন্ট করে না। এছাড়া অতিরিক্ত সময় গেম খেলার কারণে পড়াশোনা বা কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
৮. বাংলাদেশে কোন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে টাকা আনা যায়?
বাংলাদেশে PayPal অফিসিয়ালি না থাকলেও বিকল্প হিসেবে Payoneer, Skrill ব্যবহার করা যায়। এছাড়া WinZO, MPL, Ludo Supreme,\ বা কিছু আন্তর্জাতিক অ্যাপ Gift Card ও Google Play Balance এর মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়, যা পরে অন্যভাবে টাকা হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৯. অনলাইন গেম খেলে আয় করতে হলে কত সময় দিতে হয়?
এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে খেলছেন তার উপর। ছোটখাটো রিওয়ার্ড অ্যাপ যেমন Mistplay বা AppStation এ প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা খেললেই কিছু আয় হয়।
কিন্তু বড় টুর্নামেন্ট বা প্রফেশনাল ই-স্পোর্টস ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে প্রতিদিন ৪–৬ ঘণ্টা অনুশীলন করতে হয়।
১০. গেম খেলে আয় করা কি আইনসম্মত?
হ্যাঁ, গেম খেলে আয় করা আইনসম্মত, যদি সেটা বৈধ প্ল্যাটফর্ম থেকে হয়। অনেক আন্তর্জাতিক কোম্পানি অফিসিয়ালি ইউজারদেরকে গেম খেলার জন্য পুরস্কৃত করে থাকে। তবে জুয়া বা অবৈধ বেটিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কোনো গেমিং প্ল্যাটফর্মে অংশ নিলে তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
১১. মোবাইল গেমিং না কি ই-স্পোর্টস—কোনটা বেশি লাভজনক?
মোবাইল গেমিংয়ে ছোট অংকের আয় নিয়মিত করা যায়, যেমন লুডো বা ক্যাজুয়াল গেম খেলে। অন্যদিকে ই-স্পোর্টস যেমন PUBG Mobile, Free Fire, DOTA, বা Fortnite আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিলে বড় অংকের আয় সম্ভব। তবে ই-স্পোর্টসে সফল হতে গেলে পেশাদারভাবে অনেক পরিশ্রম করতে হয়।
১২. কোন গেমগুলো বাংলাদেশ থেকে বেশি খেলে আয় করা যায়?
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গেম হলো PUBG Mobile, Free Fire, Ludo Supreme, MPL, WinZO ইত্যাদি।
এছাড়া Swagbucks বা Mistplay এর মতো অ্যাপও ব্যবহার করা হয়, যদিও এগুলো থেকে PayPal ছাড়া অন্যভাবে টাকা রিডিম করতে হয়।
আরও পড়ুনঃ সেরা ৩৫টি উপায় ক্রিকেট খেলে টাকা ইনকাম
১৩. অনলাইন গেম খেলে কি স্থায়ী আয় করা যায়?
অনলাইন গেম খেলে স্থায়ী আয় করা কঠিন, যদি না আপনি প্রফেশনাল গেমার বা স্ট্রিমার হয়ে যান। রিওয়ার্ড অ্যাপ বা ক্যাজুয়াল গেম থেকে সামান্য আয় হয়, তবে সেটা ফুল-টাইম আয়ের উৎস নয়।
তবে ই-স্পোর্টস বা গেম স্ট্রিমিং (YouTube, Facebook Gaming, Twitch) করলে দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী আয়ের সুযোগ আছে।
১৪. অনলাইন গেম খেলে কত টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়?
সাধারণ রিওয়ার্ড অ্যাপে মাসে ২০–৫০ ডলার আয় সম্ভব। WinZO বা MPL-এর মতো প্ল্যাটফর্মে দক্ষ খেলোয়াড় মাসে ২০০–৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। তবে বড় ই-স্পোর্টস টুর্নামেন্টে জেতার মাধ্যমে কয়েক লাখ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।
১৫. অনলাইন গেম থেকে আয় করার জন্য কী ধরনের ইন্টারনেট লাগবে?
গেমিংয়ের জন্য সবসময় ভালো ও স্থিতিশীল ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন। ল্যাগ বা নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে অনেক সময় ম্যাচ হেরে যাওয়া বা সুযোগ নষ্ট হতে পারে। তাই অন্তত ৫–১০ Mbps স্পিডের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করা ভালো।
১৬. গেম খেলে ইনকাম করা টাকা কীভাবে তুলব?
PayPal, Skrill, Payoneer, Paytm এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। বাংলাদেশে সরাসরি PayPal না থাকলেও, Payoneer বা Skrill থেকে টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আনা যায়। অনেক গেমিং অ্যাপ বিকাশ ও নগদেও টাকা পাঠানোর সুবিধা দেয়।
১৭. অনলাইন গেম খেলার জন্য কি আলাদা স্কিল প্রয়োজন?
হ্যাঁ, দক্ষতা থাকলে আয় বাড়ে। যেমন PUBG বা Free Fire-এর মতো গেমে ভালো শুটিং ও স্ট্র্যাটেজি স্কিল দরকার।
আবার Ludo Supreme বা WinZO এর মতো গেমে ভাগ্য ও সহজ ক্যালকুলেশন দরকার। অন্যদিকে সার্ভে বা রিওয়ার্ড অ্যাপে শুধু নিয়মিত খেলা ও সময় দিলেই আয় হয়।
১৮. অনলাইন গেম খেলে ইনকাম করার জন্য কোন বয়স হতে হবে?
অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মে অংশ নিতে হলে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়স হতে হয়। কিছু রিওয়ার্ড অ্যাপে ১৩ বছর থেকেও খেলার সুযোগ থাকে, তবে পেমেন্ট তুলতে গেলে অভিভাবকের অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হয়।
ডিসক্লেইমার
এই আর্টিকেলে উল্লেখিত অনলাইন গেম খেলে টাকা ইনকাম করার তথ্যগুলো শুধুমাত্র শিক্ষামূলক ও তথ্যভিত্তিক উদ্দেশ্যে প্রদান করা হয়েছে।
আমরা কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপ, সাইট বা প্ল্যাটফর্মের গ্যারান্টি দিচ্ছি না যে, এগুলো থেকে আপনি অবশ্যই টাকা আয় করতে পারবেন। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব নিয়ম, শর্তাবলী ও ঝুঁকি রয়েছে।
তাই ব্যবহার করার আগে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করুন এবং প্রয়োজনে নিজ দায়িত্বে সিদ্ধান্ত নিন। এই তথ্য ব্যবহার করে কোনো আর্থিক ক্ষতি হলে তার দায়ভার সম্পূর্ণভাবে ব্যবহারকারীর উপর বর্তাবে।