পর্তুগাল বেতন কত | পর্তুগাল ভিসার দাম কত
পর্তুগাল দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের একটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় দেশ, যার রাজধানী লিসবন। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ।এবং বিভিন্ন প্রকার ভিসা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকরা এখানে যেতে পারেন। অনেক বাংলাদেশি নাগরিক কাজ, শিক্ষা বা ট্যুরিজমের উদ্দেশ্যে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
পর্তুগাল যাওয়ার উপায়?
বৈধভাবে পর্তুগালে যাওয়ার প্রধান উপায় হলো বৈধ ভিসা গ্রহণ করা। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য পর্তুগালে যাওয়ার জন্য কয়েকটি ভিসা প্রযোজ্যঃ
- ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
- স্টুডেন্ট ভিসা
- ট্যুরিস্ট ভিসা
- পরিবার সংযুক্তিকরণ ভিসা
সরকারি উপায়
পর্তুগালে কাজের জন্য সরকারি ভাবে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট চুক্তিভিত্তিক কর্মসংস্থান পেতে পারেন। এই ক্ষেত্রে অবশ্যই পর্তুগাল কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে।
বেসরকারি উপায়
ইউরোপে অবস্থানরত বাংলাদেশি এজেন্সির মাধ্যমে বা পরিচিতদের সাহায্যে বেসরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ব্যবস্থা করা সম্ভব।
পর্তুগাল ভিসা আবেদনের নিয়মাবলী?
বর্তমানে পর্তুগাল ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। আবেদন করতে হলেঃ
- পর্তুগাল দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বা VFS এ প্রবেশ করতে হবে।
- আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে।
- পরবর্তীতে নির্ধারিত তারিখে দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হবে।
ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?
ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কিছু পার্থক্য থাকলেও সাধারণভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলোঃ
- ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট
- রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি
- মেডিকেল রিপোর্ট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- অনলাইন জন্মনিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রয়োজন অনুসারে)
- নিয়োগকর্তার অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে)
বিশেষ ভিসার জন্য বাড়তি কাগজপত্র?
- ড্রাইভিং ভিসার ক্ষেত্রেঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স
- স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফার লেটার ও স্কলারশিপ প্রমাণ
পর্তুগাল বেতন কত?
কাজের ধরন ও দক্ষতার ভিত্তিতে পর্তুগালে বেতন নির্ধারিত হয়ঃ
- সাধারণ শ্রমিকের বেতনঃ প্রায় ১২০০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,২৫,০০০ টাকা)
- দক্ষ শ্রমিকের বেতনঃ প্রায় ১৫০০ ইউরো বা তার বেশি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৮০,০০০ টাকা)
ভিসা এবং ভ্রমণ খরচ?
ভিসার ধরন ও প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে খরচ ভিন্ন হতে পারে।
সরকারি উপায়
- ভিসা খরচঃ প্রায় ৫-৬ লাখ টাকা
- সম্পূর্ণ খরচঃ প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা
বেসরকারি উপায়
- ভিসা খরচঃ প্রায় ৭-৮ লাখ টাকা
- সম্পূর্ণ খরচঃ প্রায় ৯-১০ লাখ টাকা
ভ্রমণের সময়কাল?
বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে পৌঁছাতে সাধারণত ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগে। একাধিক ট্রানজিট থাকলে এই সময় প্রায় ১ দিন ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ ফ্রান্স বেতন কত | ফ্রান্স ভিসার দাম কত
সতর্কতাঃ
বর্তমানে অনেক অসাধু দালাল ও এজেন্সি কম খরচে অবৈধভাবে পর্তুগাল পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে প্রতারণা করছে।
এদের থেকে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। সবসময় বৈধ উপায়ে, যাচাইযোগ্য এজেন্সি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ যাত্রা নিশ্চিত করুন।
শেষ কথা
পর্তুগালে কাজ বা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে সঠিক তথ্য ও প্রক্রিয়া জানা অত্যন্ত জরুরি। ভিসার আবেদন, কাগজপত্র প্রস্তুতি এবং আর্থিক খরচ সম্পর্কে আগেই পরিকল্পনা করলে প্রতারণা এড়িয়ে নিরাপদে বিদেশ যাত্রা সম্ভব।