ভিসা

লুক্সেমবার্গ বেতন কত | লুক্সেমবার্গ ভিসার দাম কত

লুক্সেমবার্গ পশ্চিম ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত সমৃদ্ধ দেশ। এর রাজধানী লুক্সেমবুর্গ শহর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম অফিসিয়াল রাজধানী।লুক্সেমবার্গ বেতন কত | লুক্সেমবার্গ ভিসার দাম কতপ্রতিবছর অসংখ্য বাংলাদেশি নাগরিক জীবিকার উদ্দেশ্যে এই দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে বৈধভাবে লুক্সেমবার্গে যেতে হলে সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

লুক্সেমবার্গ যাওয়ার উপায়?

বৈধভাবে লুক্সেমবার্গে যাওয়ার প্রধান উপায় হলো বৈধ ভিসা গ্রহণ করা। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য বেশ কয়েকটি ক্যাটাগরির ভিসা প্রযোজ্য। যেমনঃ

  • ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
    স্টুডেন্ট ভিসা
  • পরিবার সংযুক্তিকরণ ভিসা
  • ট্যুরিস্ট ভিসা

সরকারি উপায়েঃ

বোয়েসেল (BOESL) এর মাধ্যমে সরকারি চুক্তিভিত্তিক কাজের জন্য লুক্সেমবার্গ যাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই লুক্সেমবার্গ কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত ওয়ার্ক পারমিট থাকতে হবে।

বেসরকারি উপায়েঃ

ইউরোপে অবস্থানরত বাংলাদেশি এজেন্সির মাধ্যমে বা পরিচিত কারো সাহায্যে বেসরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার ব্যবস্থা করা সম্ভব।

লুক্সেমবার্গ ভিসা আবেদনের নিয়মাবলী?

বর্তমানে লুক্সেমবার্গ ভিসার জন্য অনলাইনে আবেদন করা যায়। আবেদন করতে হলেঃ

  • লুক্সেমবার্গ দূতাবাসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে।
  • আবেদন ফরম পূরণ করে আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
  • প্রয়োজনীয় দলিলপত্র আপলোড করতে হবে।
  • পরবর্তীতে নির্ধারিত তারিখে দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য উপস্থিত হতে হবে।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র?

ভিসার ক্যাটাগরি অনুযায়ী কিছু পার্থক্য থাকলেও সাধারণভাবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলো হলোঃ

  • ন্যূনতম ছয় মাস মেয়াদী পাসপোর্ট
  • রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি
  • মেডিকেল রিপোর্ট
  • পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
  • অনলাইন জন্মনিবন্ধন এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
  • শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (প্রয়োজন অনুসারে)
  • নিয়োগকর্তার অনুমতিপত্র (ওয়ার্ক পারমিটের ক্ষেত্রে)

বিশেষ ভিসার জন্য বাড়তি কাগজপত্রঃ

  • ড্রাইভিং ভিসার ক্ষেত্রেঃ ড্রাইভিং লাইসেন্স
  • স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রেঃ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফার লেটার ও স্কলারশিপ প্রমাণ

লুক্সেমবার্গ বেতন কত?

কাজের ধরন ও দক্ষতার ভিত্তিতে লুক্সেমবার্গে বেতন নির্ধারিত হয়ঃ

  • সাধারণ শ্রমিকের বেতনঃ প্রায় ১২০০ ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৫২,০০০ টাকা)
  • দক্ষ শ্রমিকের বেতনঃ প্রায় ১৫০০ ইউরো বা তার বেশি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৯০,০০০ টাকা)

ভিসা এবং ভ্রমণ খরচ?

ভিসার ধরন ও প্রক্রিয়ার উপর ভিত্তি করে খরচ ভিন্ন হতে পারে। যেমনঃ

সরকারি উপায়েঃ

  • ভিসা খরচঃ প্রায় ৬-৭ লাখ টাকা
  • সম্পূর্ণ খরচঃ প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা

বেসরকারি উপায়েঃ

  • ভিসা খরচঃ প্রায় ৮-৯ লাখ টাকা
  • সম্পূর্ণ খরচঃ প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা

ভ্রমণের সময়কাল

বাংলাদেশ থেকে লুক্সেমবার্গে পৌঁছাতে সাধারণত ১৯ থেকে ২২ ঘণ্টা সময় লাগে। একাধিক ট্রানজিট থাকলে এই সময় প্রায় ১ দিন ২২ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।

সতর্কতাঃ

বর্তমানে অনেক অসাধু দালাল ও এজেন্সি কম খরচে অবৈধভাবে লুক্সেমবার্গ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে প্রতারণা করছে।

এদের থেকে সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। সবসময় বৈধ উপায়ে, যাচাইযোগ্য এজেন্সি বা সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিদেশ যাত্রা নিশ্চিত করুন।

শেষ কথা

লুক্সেমবার্গে কাজ বা পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে সঠিক তথ্য ও প্রক্রিয়া জানা অত্যন্ত জরুরি। ভিসার আবেদন, কাগজপত্র প্রস্তুতি এবং আর্থিক খরচ সম্পর্কে আগেই পরিকল্পনা করলে প্রতারণা এড়িয়ে নিরাপদে বিদেশ যাত্রা সম্ভব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button